বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

 স্বপ্নের ক্যাম্পাস DUET সম্পর্কে জেনে নিন !

স্বপ্নের ক্যাম্পাস DUET সম্পর্কে জেনে নিন !

 স্বপ্নের ক্যাম্পাস DUET সম্পর্কে জেনে নিন


প্রশ্ন:- DUET আসলে কি?
উত্তর:- DUET এর পূর্ণ অর্থ Dhaka University of Engineering & Technology.
প্রশ্ন:- DUET এ কখন পড়তে হয়?
উত্তর:- 4 বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য পড়তে হয়।
প্রশ্ন:- DUET এ ভর্তি হতে কত পয়েন্ট থাকতে হয়?
উত্তর:- এসএসসিতে জিপিএ ৩:০০ এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ সিজিপিএ ৩:০০ থাকতে হবে।রেজাল্ট কোনো ফ্যাক্ট না,,,,
প্রশ্ন:- DUET থেকে বিএসসি করতে কত বছর সময় লাগে?
উত্তর:- DUET থেকে বিএসসি করত ৩.৫ বছর সময় লাগে।
প্রশ্ন:- DUET পড়তে হলে কি প্রাইভেট বা সরকারি পলিটেকনিক বা টেকনিক্যাল কলেজ হিসেবে কোন সমস্যা হবে ?
উত্তর:- সমস্যা হবে না। সবাই ডুয়েটে ভর্তির যোগ্য।
প্রশ্ন:- DUET কিভাবে ভর্তি হতে হবে?
উত্তর:- DUET এ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে চান্স পেতে হবে
প্রশ্ন:- DUET আমি কি চান্স পাব?
উত্তর:- হ্যা আপনি চান্স পেতে পারেন। তবে এটা নির্ভর করবে আপনি নিজেকে কিভাবে পড়াশুনার মাধ্যমে তৈরি করবেন।যারা পরিশ্রম করে ভাল এক্সম দিবে,,তারাই চান্স পাবে।
প্রশ্ন:- DUET এ কোন কোন ডিপার্টমেন্ট আছে?
উত্তর:- সিভিল-১২০ সিট, মেকানিক্যাল-১২০, ইইই-১২০, সিএসই -১২০, টেক্সটাইল-৬০, আর্টিকিটেকচার-৩০, কেমিক্যাল & ফুড ৩০, আইপিই-৩০, মেটেরিয়াল & মেটালার্জিকাল -৩০
প্রশ্ন:- DUET অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা কি পড়তে পারবে না?
উত্তর:- পারবে। তবে তাকে ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তন করতে হবে।
প্রশ্ন:- DUET এ চান্স পেতে কখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিৎ?
উত্তর:- আপনি বর্তমানে যে সেমিস্টারে আছেন এই সেমিস্টার থেকে এখনই শুরু করুন।
ফেসবুকে কারো ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কেউ একাউন্ট খুললে করণীয় কি?

ফেসবুকে কারো ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কেউ একাউন্ট খুললে করণীয় কি?

♦ ফেসবুকে কারো ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কেউ একাউন্ট খুললে করণীয় কি?



১) কারো ছবি এবং পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুললে আসল পরিচয়ধারী ব্যক্তি এবং তার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের উক্ত ফেইক একাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে হবে।
♦ কোনো ফেইক ফেসবুক একাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে হলে যা করণীয়ঃ
💠 প্রথমে ফেইক আইডিটি ওপেন করতে হবে। তারপর ঐ পেইজের Message বক্সের পাশে তিনটি ডট (...) চিহ্নিত আইকনে ক্লিক করে Find Support or Report Profile-এ ক্লিক করতে হবে।
💠 এরপর Please select a problem to continue শিরোনামে একটি অপশন আসলে সেখানে বিভিন্ন ক্যটাগরি থেকে Pretending to be someone সিলেক্ট করতে হবে।
💠 ভুক্তভোগী ব্যক্তি নিজে রিপোর্ট করলে Who are they pretending to be? এই অপশনে Me নির্বাচন করে রিপোর্ট করা সম্পন্ন করতে হবে।
💠 ফেসবুক বন্ধুরা রিপোর্ট করলে Who are they pretending to be? অপশন থেকে A Friend অপশনে ক্লিক করলে Which friend? এর স্থলে আসল একাউন্টধারী ভুক্তভোগী ফেসবুক বন্ধুর প্রোফাইলটি নির্বাচন করে রিপোর্ট করা সম্পন্ন করতে হবে।
২) ফেইক আইডিটির সম্পূর্ণ প্রোফাইল লিঙ্কসহ স্ক্রিনশট নিয়ে সংরক্ষণ করে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করুন। অথবা
৩) সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারে আপনি সরাসরি নিজে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও নিম্নবর্ণিত যে কোন মাধ্যমে অভিযোগ পাঠাতে পারেন।
▪হটলাইনঃ ০১৭৩০-৩৩৬৪৩১
▪ইমেইলঃ smmcpc2018@gmail.com
▪ফেসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/cpccidbdpolice/
নিজে সচেতন হই
অন্যকে সচচেতন করি
নিরাপদ জীবন গড়ি
তথ্যসূত্রঃ ✅ বাংলাদেশ পুলিশ ✅
♦ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
 অল্প সময়ে পড়ার পদ্ধতি- !

অল্প সময়ে পড়ার পদ্ধতি- !

 অল্প সময়ে পড়ার পদ্ধতি-


পড়াশোনার সময় পায় না প্রায় সব শিক্ষার্থীরই এমন অভিযোগ থাকে। আসলেই কি তাই? নাকি মূল সমস্যা সময়ের সদ্ব্যবহারের অভাব? ‘সময়কে ঠিক মতো গুছিয়ে নিতে পারলে আপনার দ্বারা সবই সম্ভব’—বহু বছর ধরেই এ কথাটি প্রচলিত। কথাটি নেহায়েতই মিথ্যা নয়। সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল টাইম ম্যানেজমেন্ট।
আপনি যদি আপনার সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনার সাফল্য আপনার কাছে আপনা আপনি চলে আসবে। কথাটি শুধু শিক্ষার্থীর জন্য নয় বরং অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সময় ব্যবস্থাপনার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট ভিত্তিক অনেক কৌশল অবলম্বন করা যায়।
এর মধ্যে একটি হল ‘পোমোডোরো টেকনিক’
১৯৮০ এর শেষ দিকে ফ্রান্সেসকো শিরিলো পদ্ধতিটি সবার কাছে তুলে ধরেন। ফ্রান্সেসকো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখন তার কাছে একটি টাইমার থাকতো যা দেখতে অনেকটা টমেটোর মতো। এই টাইমারটি তার কাজকে সময়ের সঙ্গে চলতে সাহায্য করেছিল।
টমেটোকে ইতালিয়ান ভাষায় বলা হয় পোমোডোরো। সেই থেকেই টেকনিকটির নাম হয়ে যায় পোমোডোরো। বর্তমানে টেকনিকটি বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট টেকনিক। টেকনিকটি শিক্ষার্থী ছাড়াও আপনি যদি চাকরি করেন তবে সেক্ষেত্রেও কাজে দিবে।
যেভাবে করবেন:
পোমোডোরো করার জন্য আপনার লাগবে শুধুমাত্র একটি টাইমার। টাইমার না থাকলে ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মোবাইল যথা সম্ভব ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এক্ষেত্রে আপনার মনোযোগ মোবাইলে চলে যেতে পারে। পোমোডোরোয় মূলত ৬ টি ধাপ রয়েছে।
আসুন জেনে নেই ধাপগুলো:
১ম ধাপ: আপনার কাজটি ঠিক করুন। কাজটি হতে পারে পড়াশোনার কোনো টপিক বা আপনার অফিসের কোন কাজ। নিজেকে বিভ্রান্তিতে না রেখে সুনির্দিষ্ট কাজটি নির্ধারণ করুন।
২য় ধাপ: টাইমারটি ২৫ মিনিটের জন্য সেট করুন।
৩য় ধাপ: টাইমারটি চালু করে আপনার কাজটি শুরু করে দিন। টাইমারে ২৫ মিনিট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজটি করতে থাকুন। কাজটি করার সময় অনেক হাবিজাবি বা অন্যান্য চিন্তা আপনার মাথায় আসতে পারে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা বাদ দিন। তবে হতে পারে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা আপনার মনে পড়ে গেলো যেটি হয়তো পরে করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি ছোট কাগজের টুকরোয় ওই কাজের কথাটি চটপট শর্টকাটে লিখে ফেলুন। নোট লেখার পর পুনরায় আপনার কাজে মন দিন। এভাবে টার্গেটের কাজটি করতে থাকুন টাইমার সংকেত না দেয়া পর্যন্ত।
৪র্থ ধাপ: টাইমারে ২৫ মিনিট শেষ হওয়ার সাথে সাথে থেমে যান ও তৎক্ষণাৎ কাজটি বন্ধ করুন। এবার একটি কাগজে একবার ক্রস চিহ্ন আঁকুন। আপনার একটি পোমোডোরো সেশন শেষ হলো।
৫ম ধাপ: এবার পাঁচ মিনিটের জন্য টাইমার সেট করুন। এই পাঁচ মিনিট আপনার বিশ্রামের সময়। এ সময়টিতে কাজের কথা একদম ভাববেন না। প্রয়োজনে চোখ বন্ধ করে থাকুন। পাঁচ মিনিট শেষ হওয়ার পর পুনরায় টাইমারে ২৫ মিনিট সেট করুন ও ২য় ধাপে ফিরে যান। নতুন উদ্যমে কাজটি আবার ২৫ মিনিটের জন্য শুরু করুন।
৬ষ্ঠ ধাপ: এভাবে চারটি ক্রসমার্ক হলে অর্থাৎ চারটি সেশন শেষ হলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন। এ সময়টিতে আপনার যা ইচ্ছে তা করতে পারবেন পড়া কিংবা অফিশিয়াল কাজ বাদে। চাইলে এ সময়টিতে প্রিয় কোনো গান শুনতে পারেন, হাঁটতে পারেন অথবা নিশ্চিত করা যেতে পারে এককাপ চা অথবা কফি। এভাবে ৩০ মিনিটের লম্ব বিরতির পর পুনরায় ১ম ধাপ থেকে শুরু করবেন।
কেনো বিশ্রামের প্রয়োজন:
গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের মস্তিষ্ক একনাগাড়ে ২৫-৩০ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। এরপর থেকেই মস্তিষ্ক মনোযোগ হারিয়ে ফেলে এবং ক্লান্তি, ক্ষুধা, মানসিক চাপ ও অনাগ্রহ দেখা দেয়। বিশ্রামের সুযোগ থাকায় পোমোডরো পদ্ধতি দীর্ঘ সময় পড়াশুনা করার জন্য যথেষ্ট ইফেকটিভ।
দিতে হবে সম্পূর্ণ মনোযোগ:
মনে রাখতে হবে একটি কাজ চলাকালীন অন্য কোনোকিছু একদম করা যাবেনা। সম্পূর্ণ মনোযোগ ওই কাজেই দিবেন সেশনজুড়ে। তবে যদি কোনো জরুরি কাজ পড়ে যায় যেটি না করলেই নয়, সেক্ষেত্রে ওই সেশনটি বাতিল করে দিন। আপনার জরুরি কাজটি শেষ করে পুনরায় ১ম ধাপ থেকে শুরু করবেন। এক্ষেত্রে অর্ধেক কাজের জন্য ক্রসমার্ক দিবেন না। ক্রসমার্ক দেয়ার শর্ত হলো সম্পূর্ণ ২৫ মিনিট শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে একটি ছোটখাটো খাতা বানিয়ে ক্রসমার্কের জন্য অগ্রিম ঘর তৈরি করে রাখতে পারেন সময়ভিত্তিক। যদি আপনার কাজটি ২৫ মিনিট আগে শেষ হয়ে যায় তবে এ সময়ের মধ্যে পরবর্তী কাজটি সম্পর্কে পরিকল্পনা করবেন।
পুরো বিশ্বেই বহুল জনপ্রিয় এ পোমোডোরো পদ্ধতি। পদ্ধতিটির মাধ্যমে আপনার সময়ের অভাবে পড়ে থাকা কাজ নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। এ পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে। কথাগুলো যদি বিশ্বাস না হয় তবে একটিবার চেষ্টা করেই দেখুন না!