কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে যতো কথা...!

কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে যতো কথা...!

কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে যতো কথা...!


সোহাগ, আমার ছোট বেলার বন্ধু। এইচ. এস. সি পাশ করার
পর ও মেডিকেলে আর আমি কম্পিউটার সাইন্সে চলে আসি। একদিন মজা করে ওকে প্রশ্ন করলাম, ভাইরাস কি? ও উত্তর করল- নিউক্লিক এসিড সমন্বয়ে গঠিত অকোষী প্রাণী, যা প্রাণী দেহের বাহিরে নিজেদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করতে পারে না। আর আমি বললাম- এটা একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম। আসলে দুটোই ঠিক। তবে আজকে আমরা যে ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হচ্ছে- কম্পিউটার ভাইরাস।
ভাইরাস এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ইউজারের পারমিশন ছাড়া বা তার অজান্তে কোনো একটা এক্সিকিউটেবল ফাইলের সাথে নিজের কোড অ্যাট্যাচ্‌ড করে নেয়।
আর সেই ভাইরাস অ্যাফেক্টেড এক্সিকিউটেবল ফাইলটি যখন এক্সিকিউট হয়, তখন ভাইরাস কোডটিও এক্সিকিউট হয়। আর এ সম্পূর্ণ ব্যাপারটি ঘটে ইউজারের অজান্তে।
প্রকারভেদ
ভাইরাস এর চরিত্রগত দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আবার অনেক ভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যাই হোক সমস্ত ভাইরাসই কোনো না কোনো ভাবে কোনো না কোনো ফাইল বা অপারেটিং সিস্টেমের কোনো অংশ অ্যাফেক্ট করে। আরে এ দিক থেকে বিবেচনা করলে সমস্ত ভাইরাস প্রজাতিকে দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা যায়। এদের প্রথম ক্যাটাগরিটি বিবেচনা করা হয় “এরা কোনো ধরনের ফাইল ইনফেক্ট করছে” তার ভিত্তিতে। তবে আমরা এখানে ভাইরাস প্রজাতিকে আর একটি নতুন প্রজাতিতে বিভক্ত করতে পারি। আর সেটি হচ্ছে Worms (Write once read many) ।
ফাইল ইনফেক্টিং সিস্টেম
ভাইরাস কিভাবে ফিয়াইল ইনফেক্ট করে, এ প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে ভাইরাস গুলিকে আবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা যায়। এগুলো হচ্ছেঃ
1. Polymorphic Viruses
2. Stealth Viruses
3. Fast and Slow Viruses
4. Sparse Infectors
5. Armored Viruses
6. Multipartite Viruses
7. Cavity (Spacefiller) Viruses
8. Tunneling Viruses
9. Camouflage Viruses
10. NTFS ADS Viruses
Virus Dropper নামে এখানে আরো একটি ক্যাটাগরি চিহ্নিত করা যায়, যারা নিজের ভাইরাস না হলেও সিস্টেমে ভাইরাস ইনফেক্টিং এ সাহায্য করে।
ইনফেক্টিং আইটেমস
ভাইরাস কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও বিভিন্ন ধরনের ফাইল ইনফেক্ট করে। এগুলো হচ্ছেঃ
1. System Sector
2. File
3. Macro
4. Companion
5. Cluster
6. Batch File
7. Source Code
8. Visual Basic Worms
ভাইরাসের ইতিহাস
১৯৮৬ সালের গোড়ার দিক। Basit এবং Amjad ফ্লপিডিস্কের বুট সেক্টরে একটা এক্সিকিউটেবল কোড রেখে এটি নিয়ে পরীক্ষা চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে দেখা গেলো ফ্লপি ডিস্কটি দিয়ে যতবারই কম্পিউটার বুট করা হয় ততবারই কোডটি রান করছে। এবার তারা ঐ কোডটি কে তাদের প্রোগ্রামের সাথে অ্যাটাচ্‌ড করে এক্সিকিউট করলেন। এতে দেখা গেল এক্সিকিউটেবল কোডটি মেমোরিতে স্থান করে নিয়েছে এবং ফ্লপিড্রাইভে অন্য কোনো ফ্লপি এক্সেস করার সাথে সাথে ঐ ডিস্কটিতে ঐ এক্সিকিউটেবল কোডটির একটি কপি তৈরি হচ্ছে। এর নাম রাখা হলো ভাইরাস। কিন্তু এটি শুধু মাত্র ৩৬০কিলোবাইট ফ্লপি ডিস্ককে ইনফেক্ট করতো।
১৯৮৮ সালে মোটামুটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ভাইরাস লেখা এবং এ সালেই বের হলো এন্টিভাইরাস নামক ভাইরাস ডিটেক্ট এবং ক্লিন করার প্রোগ্রাম। এ বছরই এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলি তাদের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলি মার্কেটিং শুরু করে। যদিও প্রাথমিকভবে প্রচারই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। এ সময় এ প্রোগ্রামগুলি তারা অতি অল্পদামে (৫ থেকে ১০ ডলার) বা কখনো কখনো ফ্রি দিতো। আর এভাবেই শুরু হলো ইঁদুর বেড়ালের যুদ্ধ। এক দিকে তৈরি হতে থাকে নতুন নতুন ভাইরাস আর অন্যদিকে এন্টিভাইরাসের আপডেট ভার্সন।
১৯৮৯ সাল। ঘটনা মোড় নিলো অন্য দিকে। নাম পরিচয় বিহীন একজন Fu Manchu ভাইরাস পাঠালেন বিট্রেনের একজন ভাইরাস রিসার্চারের কাছে এবং আরো ৪০৫ টি ভাইরাস পাঠানো হলো অন্য একদল ভাইরাস রিসার্চার এর কাছে। এ সময় বিট্রেনের একজন ভাইরাস রিসার্চার ভয়ঙ্কর এক ভাইরাস লিখে পাঠালেন আরএক ব্রিটিশ ভাইরাস রিসার্চার এর কাছে। শুরু হলো ভাইরাস তৈরির এক ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা। এ সময়ই প্রথম বুলগেরিয়ানরা ও পরে রাশিয়ানরা ভাইরাস লেখায় নিজেদের অগ্রযাত্রা আরম্ভ করে। ঐ বছর মার্চের দিকে হল্যান্ডে তৈরি হলো আরো এক ধরনের ভাইরাস। একজন ডাচ্‌ (যে নিজেকে Fred Vogel নামে পরিচয় দিল) একজন ব্রিটিশ ভাইরাস রিসার্চারের সাথে যোগাযগ করে জানালেন যে সে তার হার্ডডিস্ক জুড়ে ভাইরাস দেখতে পেয়েছে। ভাইরাসটি নিজেকে Data Crime virus নামে পরিচয় দিচ্ছে। সে আরো দঃশ্চিন্তা গ্রস্ত এই ভেবে যে ভাইরাসটি নাকি পরবর্তী মাসের ১৩ তারিখে আক্রমণ করবে। শুরু হলো রিসার্চ। রেজাল্ট এলো এ ভাইরাসটি ১২ই অক্টোবরের পরে যে কোনো দিন লো লেভেল ফরমেটেড হার্ডডিস্কের জিরো সিলিন্ডারে আক্রমণ করে এর File Allocation Table নষ্ট করে ফেলতে পারে।
১৯৯০ সাল। Mark Washburn একদিন Vienna ভাইরাস নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে Polymorphic ভাইরাস নামে নতুন একটি ভাইরাস তৈরি করেন, যেটি ডিটেক্ট করতে এন্টি ভাইরাস ভেন্ডরগুলিকে মোটামুটি হিমসিম খেতে হয়।
এ বছরই Symantec কর্পোরেশন Norton Antivirus এর অগ্রযাত্রা শুরু করে। এর পর থেকে প্রতিদিন একদিকে যেমন ভাইরাসের সংখ্যা বাড়তে থাকে তেমনি অন্যদিকে এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলিও তাদের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলি আপডেট করতে থাকে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে যেখানে ভাইরাসের সংখ্যা ছিল ২০০ থেকে ৩০০ সেখানে ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০০ এ। আবার ১৯৯৬ সালে যেখানে ভাইরাসের সংখ্যা ছিল ১০০০০ সেখানে ১৯৯৮ সালে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০০০০ এবং ২০০০ সালে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০০০ এ। এভাবে প্রত্যেক দিনই বাড়ছে ভাইরাসের সংখ্যা।
ইনফেক্টেড সিম্পট্‌ম ভাইরাস ইনফেক্টেডে আপনার সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ গুলি হচ্ছে-
১. আপনার সিস্টেমটি স্লো হয়ে যেতে পারে।
২. সিস্টেমে ঘন ঘন ইলিগাল অপারেশন ম্যাসেজ দিতে পারে।
৩. হার্ডডিস্কে ফ্রি স্পেসের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
৪. ভাইরাস অ্যাফেক্টেড ফাইলটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. হার্ডডিস্কের পার্টিশন ভেঙ্গে যেতে পারে।
৬. কখনো কখনো ভাইরাসটি তার পরিচয় সূচক ম্যাসেজ দেখাতে পারে।
৭. এমনকি সিস্টেমের বায়োসটি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ভাইরাস প্রোটেকশন
ভাইরাস প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধই শ্রেয়। কারণ ভাইরাস আপনার সিস্টেমে একবার প্রবেশ করলে এর কার্যক্রম শুরু না করলেও নিজেকে আপনার সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের সাথে অ্যাটাচড করতে থাকে। আর এ ভাইরাস দুই ভাবে আপনার সিস্টেমে আত্নপ্রকাশ করতে পারে। এদের প্রথমটি হচ্ছে অ্যাটাস্টম্যান্ট এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইনফেক্ট।
সাধারনত এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামই এর একমাত্র প্রতিরোধক বা প্রতিশেধক। আর এ ধরনের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম আপনার সিস্টেমে অ্যাকটিভ রেখে আপনার সিস্টেমকে ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত রাখতে পারেন। আর আপনার সিস্টেমটি যদি পূর্বেই ভাইরাস এফেক্টেড হয়ে থাকে তবে দেরি না করে আজই লাষ্ট আপডেটেড এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দ্বারা আপনার সিস্টেমটি স্ক্যান করে নিন।

লেখকের নাম – আরিফুজ্জামান চঞ্চল

উইন্ডোজ ৭ এর ৭ টি প্রয়োজনীয় টিপস..!

উইন্ডোজ ৭ এর ৭ টি প্রয়োজনীয় টিপস..!
উইন্ডোজ ৭ এর ৭ টি প্রয়োজনীয় টিপস...!


উইন্ডোজ ৭ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। তবে কয়েকটি সেটিংস ও কিবোর্ড শর্টকাট জানা থাকলে এটি ব্যবহার করে কাজ করা আরো বেশি সহজ ও আরামদায়ক হয়ে উঠে। এখানে উইন্ডোজ ৭ এর ৭ টি প্রয়োজনীয় টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে জানানো হলো যেগুলো ব্যবহার করে আপনি এই অপারেটিং সিস্টেমটি আরো ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
১। কম্পিউটারের কোনো ফাইল মুছে ফেলার পর তা Recycle Bin এ জমা হয়। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে এখান থেকে ফাইল Restore করা যায়। তবে আপনি যদি চান ফাইলটি Recycle Bin এ জমা না হয়ে স্থায়ীভাবে ডিলিট হয়ে যাক সেক্ষেত্রে আপনি DEL Key না চেপে Shift+Del দিয়ে তারপর Shift+Enter দিয়ে কনফার্ম করতে পারেন।
২। Windows Explorer ওপেন করতে গেলে আপনার ঐ আইকনের উপর ক্লিক করতে হয় কিংবা ফাইল ব্রাউজ করার জন্য My Computer এ যেতে হয়। এ কাজকে দ্রুত করার জন্য আপনি Windows Logo+E Press করে খুব সহজে সাথে সাথে Windows Explorer ব্রাউজার খুলে ফেলতে পারেন।
৩। উইন্ডোজে অনেকগুলো মেনু শর্ট কার্ট রয়েছে। তবে By Default কিছু লুকানো শর্ট কার্ট মেনুও থাকে। এগুলো কে চালু করার জন্য Control Panel > Ease of Access Center > Change how your keyboard works এ যাবেন। এরপর “Underline keyboard shortcuts and access keys,” এর পাশের বক্স এ ক্লিক করবেন। তারপর OK or Apply বাটন দিয়ে সেইভ করে দিবেন।
৪। Windows splash screen Disable করে দিলে আপনার মোট বুট টাইমের কয়েক সেকেন্ড বেঁচে যেতে পারে। এর জন্য Windows Logo+R press করুন তারপর msconfig টাইপ করুন। এর অধীনে Boot tab এর No GUI boot এর পাশের বক্সে ক্লিক করে ওকে করুন।
৫। আপনি অফিস, লাইব্রেরি, ক্যাফে যেখানেই থাকেন না কেনো মাঝে মাঝে খুব দ্রুত উইন্ডোজ লক করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে Windows Logo+L শর্ট কার্ট ব্যবহার করুন।
৬। কম্পিউটারে লুকানো files, folders, and drives দেখার জন্য Windows search box ওপেন করে folder টাইপ করুন। folder অপশনের View tab এ যান। Hidden files and folders এর অধীনে Show hidden files, folders, and drives অপশনের পাশের বক্সে ক্লিক করুন।
৭। একসাথে অনেকগুলো ফাইলকে Rename করতে চাইলে সবগুলো ফাইলকে highlight করে F2 key চাপুন। প্রথম ফাইলটিকে Rename করে Enter বাটন চাপুন। এতে আপনার প্রতিটা ফাইল Rename হয়ে যাবে এবং প্রতিটা ফাইলের শেষে ব্র্যাকেট চলে আসবে। আপনি চাইলে Ctrl+Z দিয়ে আবার Rename undo করতে পারবেন।
তথ্য সূত্রঃ সি নেট ডট কম

কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী? এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?

কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী? এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?
কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী?
এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?





যখন আমরা টিভি দেখি, তখন অনন্য এক নম্বর এলোমেলোভাবে স্ক্রিনে উপস্থিত হয় যা 000-8769-1545-99 আকারে থাকে। এই নম্বরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থিত হয় এবং আমাদের স্ক্রিনে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই সংখ্যার কারণে, আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা লাইভ ম্যাচ দেখতে সমস্যা হয়। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই সংখ্যার অর্থ কী এবং কেন এটি আমাদের পর্দায় ঘন ঘন প্রদর্শিত হয়? এগুলি ছাড়াও যে কেউ এই নম্বরের মাধ্যমে আপনার বাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন। যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অবহিত থাকেন তবে এই নিবন্ধটি পড়ার পরে আপনি জানতে পারবেন যে টিভি পর্দায় প্রদর্শিত অনন্য সংখ্যার অর্থ কী এবং এই নম্বরটির মাধ্যমে কেউ কীভাবে আপনার বাড়িতে পৌঁছতে পারে?

টিভি স্ক্রিনে এলোমেলোভাবে প্রদর্শিত যে অনন্য নম্বরটি, আমরা যখন টিভি দেখি তখন বিভিন্ন ব্যবহারকারীর পক্ষে আলাদা। আপনি এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেক করতে পারেন। পরের বার আপনি যখন কোনও প্রোগ্রাম দেখছেন, তারপরে আপনার টিভির পর্দায় প্রদর্শিত অনন্য নম্বরটি নোট করুন, এখন আপনার বন্ধুটিকে তাত্ক্ষণিকভাবে তার টিভিতে একই প্রোগ্রামটি দেখতে বলুন এবং তার টিভি স্ক্রিনে প্রদর্শিত অনন্য নম্বরটি নোট করতে বলুন। আপনি দেখতে পাবেন যে টিভি পর্দায় প্রদর্শিত উভয় অনন্য নম্বর একে অপরের থেকে পৃথক। এর কারণ হ'ল পৃথক পৃথক সংখ্যাগুলি বিভিন্ন সেট টপ বক্সগুলির জন্য তৈরি করা হয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ স্ক্রিন রেকর্ড করে স্ট্রিম না করতে পারে।

ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ?

ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ?
ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ? 



ঘড়ি  আবিস্কার করেছিল তা ইতিহাসে পাতায় কোথাও লেখা নেই । তবে এর পিছনে আছে তিন হাজার বছরের ইতিহাস। ওই সময়ে মিশরীয়রা আবিস্কার করল জমি মাপজোক করার পদ্ধতি আর মাপজোক সন্মন্ধ্যে তাদের মধ্যে ধারনা জন্মে গেল সময়কেও তারা পরিমাপ করতে চাইল। আসল ‘সূর্য ঘড়ি’ বা ‘ছায়া ঘড়ি’। ‘সূর্যঘড়ি’ বানাতে তখন মানূষ একটা লাঠি পূতে রাখল খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়। চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানা প্রহর বুজায়। লাঠির ওপর সূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়তো মাটিতে সেখান থেকে সংকেত নির্দেশিত চক্রে আর সেখান থেকে সময় নির্ধারন হত। এমন একটি ঘড়ি আজো বার্লিন মিউজিয়ামে রক্ষিত।
দিনের বেলা না হয় সূর্যের আলো দেখে সময় পাওয়া গেল কিন্তু রাতের বেলা কিভাবে সময় পাওয়া যাবে ভাবিয়ে তুলল মানূষকে। চোখ গেল রাতের আকাশে। তারা রাতের আকাশে এমন এক নক্ষত্রের সন্ধান করতে লাগল যা সব সময় এক দিক থেকে অন্যদিকে যাবে। অবশেষে পাওয়া গেল। দেখতে খুব উজ্জল আর একটু লম্বা। এটা আকাশের উত্তর দিকে ওঠে আর ধীরে ধীরে দক্ষিন দিকে এগিয়ে যায়, শুধু তাই না তারা মেরু কে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাটার মত ঘুরতে থাকে যা দিয়ে অনায়াসে সময় নির্ধারন করা যায়। এর নাম ‘ক্যাসিওপিয়া’। দেখতে অবিকল ইংরেজী W অক্ষরের মত। এই ‘তারাঘড়ি’ প্রথম আবিস্কার করে জার্মানরা। তারা ঘড়ির পর আসে ‘পানিঘড়ি’। খ্রীষ্ট পূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিশরীয়রা প্রথম পানি ঘড়ি আবিস্কার করেন । একটি ফানেলের মধ্যে পানি ভরা হল, সেই ফানেলের নীচে লাগানো হল এক সরু পাইপ। ফানেলের পানি এক সরু পাইপ বেয়ে যেয়ে পড়ত একটি জারে। সেই জারের মধ্যে একটা হাল্কা কর্ক রেখে দিত তারা। পাত্রের অপর প্রান্তে লাগিয়ে দেয়া হত দাত যুক্ত একটা সময় নির্দেশক কাটা। ফানেল থেকে ধীরে ধীরে পানি চলে আসত জারে, জারে যত পানি পড়ত কর্ক ততই ভেসে উঠত। সেই সঙ্গে সময় নির্দেশক কাটা ঘুরতে আরম্ভ করত। যা বলে দিত সময়। গ্রীকরা একে বলত ‘ক্লিপসেড্রা’। এরপর এল ‘বালুঘড়ি’। প্রায় বারোশ বছর আগে এর প্রচলন শুরু হয়। বালু ঘড়ি ছিল কিছুটা পানি ঘড়ির মত। তবে এ ঘড়ির জন্য প্রয়োজন হয় একটা ফানেল যার মাজখানটা চ্যাপ্টা। এবার ফানেলের ওপর দিয়ে কিছুটা বালি ফানেকের মধ্যে ঢেলে দিল, সেই বালি ফানেলের মাঝখানে যেয়ে বাধা পেল। অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালি ফানেলের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে নিচে পড়া শুরু হল। ফানেলের নীচের অংশে আকা থাকত স্কেল। বালুর জমা হবার পরিমান নির্নয় করত নির্দিষ্ট সময়। রাতের বেলা মানূষ ঘড়ির বিকল্প হিসাবে মানূষ আবিস্কার করে ফেলল ‘মোমঘড়ি’। চীন দেশেই প্রথম আবিস্কার হয় ‘মোম ঘড়ি’। সূর্য ঘড়ির পদ্ধতিতে এই ঘড়ি তারা ব্যাবহার করত। অন্ধকার ঘরে তারা একটা মোমবাতি জ্বালাত। সেই আলোর কাছাকাছি তারা রেখে দিত কোন মানদন্ড। মোমের আলো গিয়ে পড়ত সেই মানদন্ডে। মানদন্ডের সামনের অংশ আলোকিত হত আর পিছনের অংশে পড়ত তার ছায়া। মোম যত ছোট হত ছায়া তত দীর্ঘ হত। এই ছায়া পরিমাপ করে মানূষ সময় পরিমাপ করত।

যন্ত্র ঘড়ি কে আবিস্কার করেন তা অজানা, তবে অনেকে মনে করেন আর্কিমিডিসের হাতে প্রথম যন্ত্র ঘড়ি জীবন পায়। যেটুক তথ্য এই মুহুর্তে আছে তাতে জানা যায় ‘গ্রেটটম’ নামে ১২৮৮ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল লন্ডনে। ফ্রান্সের রাজা চার্লস ডির জন্য ১৩৬০ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল যা আজো সচল। আমেরিকায় প্রথম ফিউজ স্পন্সর তৈরী করেন হাত ঘড়ি। বর্তমানে পারমানবিক ঘড়ি আছে যে ঘড়ি সেকেন্ডের দশ কোটি ভাগের এক ভাগ ও সময় হের ফের করেনা।
এ রকম দুটি ঘড়ি আছে ইউ এস এন বি এস ল্যাব্রেটরিতে।

404 Error কি , কেনো ?

404 Error কি ,  কেনো ?
ওয়েবপেজ খুঁজে না পাওয়া গেলে “404 Not Found” লেখা দেখা যায়? ‘404’ দিয়ে কী বোঝায়?

আপনি অবশ্যই জানেন, ইন্টারনেটের মধ্যে দুই প্রকারের কম্পিউটার থাকে —একটি ক্লায়েন্ট এবং আরেকটি সার্ভার। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার হলো আপনার আমার পার্সোনাল কম্পিউটার, যে কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুক ব্রাউজিং করি বা আপনি Trickbd থেকে আর্টিকেল পড়েন।
আর সার্ভার হলো ঐ কম্পিউটার গুলো, যেগুলো ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে পেজ সরবরাহ করে, ফাইল সরবরাহ করে। ইনটারনেট নিয়ে লেখা বিস্তারিত আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি চমৎকার ভাবে বর্ণিত করেছি! যাই হোক, যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, অবশ্যই এইচটিটিপি (HTTP) সম্পর্কে জানেন, কিংবা অন্তত এটি লেখা থাকতে দেখেছেন, কেনোনা প্রত্যেকটা ওয়েব অ্যাড্রেসের পূর্বে অবশ্যই এইচটিটিপি থাকতেই হয়। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন (ওয়েব ব্রাউজার) এইচটিটিপি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভারের সাথে কানেকশন তৈরি করে।

[][][][][][]=[][][][][][][][][][]=[][][][][]

একই প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট পর্যন্ত রেসপন্স ডাটা, কনটেন্ট যেমন- ওয়েব পেজ এবং কিছু প্রোটোকল ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি এইচটিটিপি রিকয়েস্টের রেসপন্সের সাথে একটি কোড নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেটা রেসপন্সের রেজাল্ট বর্ণনা করে।

এই রেজাল্ট কোড গুলো বিশেষ করে তিন ডিজিট নাম্বারে হয়ে থাকে এবং এদের বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। যদিও প্রত্যেকটি রেজাল্ট কোড ব্রাউজার আপনাকে প্রদর্শিত করে না, তবে আমি নিশ্চিত এর মধ্যে কিছু কোড আপনি অবশ্যই দেখে থাকবেন, যেমন- ৪০৪ এরর (এর মানে পেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি)!
১. কোড ১০০-১৯৯ ; ইনফরমেশন্যাল স্ট্যাটাস
২. কোড ২০০-২৯৯ ; সাকসেস স্ট্যাটাস
৩. কোড ৩০০-৩৯৯ ; রিডাইরেকশন স্ট্যাটাস
৪. কোড ৪০০-৪৯৯ ; ক্লায়েন্ট এরর
৫. কোড ৫০০-৫৯৯ ; সার্ভার এরর

তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন এরর কোডের রেঞ্জ কতো গুলো, কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র কিছু কোডই সাধারণত দেখতে পাওয়া যায়। পেজ লোড করার সময় ক্লায়েন্টে একসাথে অনেক এরর কোড আসতে পারে, কিন্তু সেগুলো ইউজারের কাছে হাইড রাখা হয়, যাই হোক, আপনি যেহেতু 404 এরর নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, তাই সেটা নিয়েই এবার কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা করছি!

HTTP Error 404 “Not Found”
৪০৪ এরর কোডের অর্থ হচ্ছে, ক্লায়েন্ট থেকে আসা রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ওয়েব সার্ভার সেই রিকোয়েস্ট করা পেজটি, ফাইল, বা আলাদা কনটেন্ট খুঁজে পায় নি। তবে ৪০০ এরর মানে কিন্তু ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে নেটওয়ার্ক কানেকশন ঠিক ছিল, কানেকশন সফল হয়েছে, ব্যাট পেজটি সার্ভারে নেই!
এই এরর তখন দেখা যায়, যখন আপনি ব্রাউজারে ভুল ইউআরএল প্রবেশ করান, অথবা সাইট অ্যাডমিন সার্ভার থেকে পেজটি ডিলিট করে দেয়, কিংবা পেজটি আলাদা কোন ইউআরএল এ ট্র্যান্সফার করে নিয়ে যায়, কিন্তু রিডাইরেকশন ব্যবহার করেনা। ইউজারকে এই প্রবলেম ফিক্স করার জন্য অবশ্যই ইউআরএল পরিবর্তন করতে হবে।

এছাড়াও কিছু কমন এরর কোড হচ্ছে, ৪০০, ৪০১, ৪০৩; এখানে ৪০০ হচ্ছে ব্যাড রিকোয়েস্ট। ক্লায়েন্ট থেকে প্রোটোকল ডাটাতে এরর থাকলে সার্ভার এই কোড সেন্ড করে। অনেক সময় আপনার ইন্টারনেট সমস্যার জন্য সার্ভারের কাছে ব্রাউজার থেকে ঠিকঠাক মতো রিকোয়েস্ট সেন্ড হতে পারে না, কিংবা ডাটা করাপ্টেড হয়ে যায়, তখন ৪০০ রেসপন্স কোড সেন্ড করা হয়।

আবার রিকোয়েস্টে ব্যাড সাইনট্যাক্স কোড থাকলেও ৪০০ এরর আসতে পারে। ৪০১ হচ্ছে আনঅথরাইজড এরর কোড; এখানে ব্রাউজার সার্ভারের কাছে এমন কোন রিসোর্সের রিকোয়েস্ট করে, যেটা সার্ভারে হয়তো রয়েছে, কিন্তু সেটা অ্যাক্সেস করার জন্য পারমিশন নেই। অবশ্যই প্রথমে ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে লগইন করতে হবে বা ভ্যালিড ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে হবে, তবেই রিসোর্সটি অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে।
যদি ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড ভুল হয়, এবং সেই ভুল ক্রেডিনশিয়াল নিয়েই ক্লায়েন্ট সার্ভারের কাছে রিসোর্স রিকোয়েস্ট করে, সেক্ষেত্রে ৪০৩ ফরবিডেন এরর কোড সেন্ড করা হয়। অথবা কোনভাবেই রিসোর্টটি অ্যাক্সেস করার পারমিশন নেই ক্লায়েন্টের, সেক্ষেত্রেও ৪০৩ এরর কোড সেন্ড করা হয়।


ডার্কনেট কি ?

ডার্কনেট কি ?
ডার্কনেট কি ? 

Dark নেটগুলি এমন নেটওয়ার্ক উল্লেখ করে যা সার্চ ইঞ্জিনগুলি যেমন গুগল, ইয়াহু বা বিং দ্বারা সূচিবদ্ধ করা হয় না। এই নেটওয়ার্কগুলি কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বা ব্যক্তির কাছে উপলব্ধ, সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহার কারীর জন্য নয় এবং শুধুমাত্র অনুমোদন, নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার এবং কনফিগারেশনগুলির মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য। এতে একাডেমিক ডাটাবেস এবং কর্পোরেট সাইটগুলির পাশাপাশি ব্ল্যাক মার্কেট, ফেটিশ সম্প্রদায় এবং হ্যাকিং এবং পাইরেসি হিসাবে শ্যাডিয়ার বিষয়গুলি সহ নিরপেক্ষ জায়গাগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অন্ধকারাচ্ছন্ন ইন্টারনেটে একটি ওভারলে নেটওয়ার্ক যা শুধুমাত্র বিশেষ সফটওয়্যার, কনফিগারেশন এবং বিশেষ অনুমোদনগুলি দ্বারা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে এবং এটি ইন্টারনেট দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়ার জন্য প্রায়ই অ-প্রমিত যোগাযোগ প্রোটোকলের ব্যবহার করে।

শব্দটিকে মূলত 1970 এর দশকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির উল্লেখ করা হয়েছিল যা নিরাপত্তামূলক কারণে ARPANET থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এই অন্ধকূপগুলি ARPANET থেকে যোগাযোগ পেতে সক্ষম হয়েছিল তবে নেটওয়ার্ক তালিকাগুলিতে অ্যাক্সেসযোগ্য এবং অদৃশ্য ছিল এবং পিং এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুসন্ধান উপেক্ষা করে।

এই শব্দটি 2002 সালে “দ্য ডার্কনেট অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন” পত্রিকার প্রকাশনার পরে জনপ্রিয় স্বীকৃতি লাভ করে। এই পত্রিকায়, চারটি মাইক্রোসফ্ট কর্মচারী (বিডল, ইংল্যান্ড, পিয়ানোডো এবং উইলম্যান) যুক্তি দেন যে অন্ধকারের উপস্থিতিটি প্রাথমিক বাধা অনিবার্য কপিরাইট লঙ্ঘনের প্রত্যাশার কারণে কার্যক্ষম ডিআরএম প্রযুক্তির উন্নয়ন।
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে, অন্ধকারের অর্থ অন্ধকার ওয়েবের সমার্থক হয়ে ওঠে, ইন্টারনেটের যে অংশটি সাধারণত রান-অফ-দ্য-মিল ওয়েব ব্রাউজারগুলির সাথে পরিদর্শন করা যায় না; এটি বিশেষ ব্রাউজারের মত TOR , ফ্রীনেট বা আই 2 পি প্রয়োজন। এখানে সাইটগুলি সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা সূচিবদ্ধ করা হয় না কারণ তারা কেবল তাদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, একাডেমিক ডাটাবেস শুধুমাত্র অনুষদ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ, এবং কর্পোরেট নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ। পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এবং স্ব-হোস্টেড ওয়েবসাইটগুলিও অন্ধকারের অংশ। অন্ধকারে ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করা কঠিন এবং তাই এটি বিনামূল্যে বক্তৃতা এবং অভিব্যক্তি, বিশেষ করে এমন দেশে যেখানে ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে পলিসিড এবং ব্লক করা যায় সেগুলির জন্য একটি আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অন্ধকূপ ব্যবহারকারীরা সত্যিই বেনামী, এবং এটি এই গোপনতা যে এটি অপরাধমূলক উপাদান আকৃষ্ট। এখানে তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা এবং প্রতিক্রিয়া ভয় ছাড়া নিজেদের প্রকাশ করতে বিনামূল্যে। এটা ড্রাগ ও বন্দুক বিক্রি অপরাধীদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল !!!

Source:- Wikipedia, Google, Online News Portal

নিরাপদ থাকুন ইন্টারনেটে...!

নিরাপদ থাকুন ইন্টারনেটে...!
নিরাপদ থাকুন ইন্টারনেটে...!


আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সরকারি হিসাবে সাত কোটিরও বেশি। ইন্টারনেটের সুবিধা আমাদের জীবন ধারাকে সহজ করেছে ঠিকই, কিন্তু এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকির বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকেই আজকাল নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। সত্যি বলতে আজকের দিনে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সবচেয়ে মূল্যবান। গুঞ্জন রয়েছে আমেরিকার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পিছনে ব্যাক্তিগত তথ্য চুরির এক অনবদ্য অবদান রয়েছে। ভেবেই দেখুন আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য কতো টা মূল্যবান !
সেই ভিত্তিতেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর এগুলোর মাধ্যমে কখনো সরাসরি, কখনো কৌশলে আবার কখনো প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য চুরির কাজটি করা হচ্ছে। আর এই কাজটি করছে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই। সম্প্রতি দেশের অন্যতম শীর্ষ রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও পর্যন্ত তার অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহার কারীদের সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছে। যা কিনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি স্বরুপ হয়ে দাড়িয়েছে। এদেশের সাধারণ মানুষ কেবলমাত্র ইন্টারনেটের বৈশিষ্ট্য দেখেই মুগ্ধ, ভেতরে কী চলছে তা জানার চেষ্টাটুকুও কেউ করেনা।
আপনি যখন কোন অ্যাপ ইন্সটল করেন তখন আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো কী কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার বর্ণনা দেয়া থাকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতিমালায়। এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হলেই কেবল সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা এবং অ্যাপটি ব্যবহার করা উচিত। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী এই দীর্ঘ নীতিমালা পড়েন না এবং না পড়েই অনুমতি দিয়ে দেন। যার ফলে  ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই আপনার মহা মূল্যবান ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারে। এই ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে সবার সাবধান হওয়া উচিত। বিশ্বাসযোগ্য ডেভেলপার হলে এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু আপনি যখন অপরিচিত কোনো ডেভেলপারের অ্যাপ ব্যবহার করবেন, তখন এই ছোট ব্যাপারে দৃষ্টি না দিলেই নয়। যাই হোক, ইন্টারনেটের নিরাপত্তা রক্ষার্থে বেশ কিছু ব্যাপারে সচেতন থাকলেই যথেষ্ট, সেই সচেতন হওয়ার ব্যাপারগুলো নিয়েই চলুন জানা যাক আজ।

ব্রাউজার নির্বাচনে সতর্কতা:
ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য ও সেবা পাওয়ার জন্য যেহেতু ওয়েব ব্রাউজার অধিক ব্যবহার করা হয় তাই ওয়েব ব্রাউজার এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদে ব্যবহার করা অতি জরুরী। কিন্তু কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যে ওয়েব ব্রাউজার গতানুগতিক ভাবে দেয়া থাকে অথবা আমরা যে ওয়েব ব্রাউজার ইনস্টল করি, সাধারণত তাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থাকে না। গুগল ক্রোম বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারের পাশাপাশি আরও বহু ব্রাউজিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সেগুলো দেখতে আকর্ষণীয় হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ওয়েব ব্রাউজার গুলোই আপনার সব তথ্য হাতিয়ে নেয়। তাই ব্রাউজার নির্বাচনের সময় সতর্ক হোন।

ফ্রি প্লে-স্টোর অ্যাপ ব্যাবহারে সতর্কতা:
অনেকেই প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করেন ফ্রি অ্যাপস। এই ধরণের অ্যাপগুলির ৯০ শতাংশই গুগলের সঙ্গে শেয়ার করে থাকে ইউজারদের তথ্য। যেটির জন্য অবশ্য নেওয়া হয় না ইউজারদের সম্মতি৷ যদিও বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে গুগল। তথ্য শেয়ারিং কান্ডের সঙ্গে শুধুমাত্র গুগলই জড়িত নয়৷ ৪৩ শতাংশের মত অ্যাপ ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করে থাকে। বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলি ট্যুইটার, আমাজন, মাইক্রোসফটের মত নামিদামি সংস্থাগুলির সঙ্গে ইউজারদের গোপন তথ্য শেয়ার করে থাকে। তথ্য চুরি ও শেয়ার করার ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও একইভাবে তথ্য চুরি হয়েছে৷ ইদানিং, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে সামনে আসছে বিষয়টি। আর, সেখান থেকেই নিজের তথ্য কতটা সুরক্ষিত সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হচ্ছেন ইউজাররা। তাই, প্লে-স্টোর থেকে ফ্রী অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সর্তক থাকুন।

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যাবহারে সতর্কতা:
পাবলিক ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহারে সতর্ক হোন। আমরা অনেকেই এমন যে, কোথাও পাবলিক ওয়াই-ফাই পেলেই সাথে সাথে স্মার্টফোনকে সংযুক্ত করে ফেলি। এই অভ্যাসটি  পরিবর্তন করুন অতিসত্ত্বর। আর তা না হলে এমন পাবলিক ওয়াই-ফাই থেকে হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার আক্রান্তের শিকার হতে পারেন আপনিও। সাইবার অপরাধীদের অনেকে ফ্রি এমন সংযোগের মাধ্যমে হ্যাকিং বা ভাইরাস ছাড়ানোর কাজটি করে থাকে। তাই অজানা কোনো ওয়াই-ফাই সংযোগের সঙ্গে ফোন যুক্ত করা উচিত নয়।

ফেসবুক থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যাবহারে সতর্কতা:
‘আপনি মেয়ে হলে দেখতে কেমন হতেন ?’, ‘৫০ বছর পর আপনাকে কেমন দেখাবে ?’ এমন নামে প্রতিদিনই নতুন নতুন অ্যাপ প্রকাশ পায় ফেসবুকে। আমরা অনেকেই অ্যাপটি নির্ভরযোগ্য নয় জেনেও নিকছ আনন্দের জন্য অ্যাপটিতে প্রবেশ করি। শুধু প্রবেশই করিনা টাইমলাইনে শেয়ার করে বন্ধু তালিকার সবাইকেও দেখার সুযোগ করে দেই। বন্ধু তালিকারও অনেকেই নিকছ আনন্দের জন্য অ্যাপটিতে প্রবেশ করেন। এসব অ্যাপ তৈরির একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। আর তাই অ্যাপে বলা হয়, আপনি যত বেশি তথ্য সংযোজন করবেন, এই ভবিষ্যদ্বাণী তত বেশি নির্ভুল হবে। সেই আশাতে আমরা আরও তথ্য সংযোজনের চেষ্টা করে থাকি। যার মাধ্যমে এসব অ্যাপ হাতিয়ে নেয় আপনার মহা মূল্যবান ব্যাক্তিগত তথ্য। তাই এসব ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ থকে নিজেকে বিরত থাকুন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং:
 আমরা বিপুল পরিমাণ তথ্য ছড়িয়ে দিই ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু আমরা জানিও না আমাদের ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছে বহুজন। তাই প্রায়ই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে হ্যাক হওয়া এসব তথ্য কী কাজে লাগবে ?
যুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক থেকে হ্যাকড হওয়া তথ্য খুবই মূল্যবান। ফেসবুক হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারলে তা থেকে অর্থ আয় করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এসব তথ্য তারা ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে দেয়।
বিশেষ কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ধরনের ডার্ক ওয়েবে ঢুকে ওই তথ্য তারা কেনাবেচা করে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফেসবুক থেকে চুরি করা তথ্য কাজে লাগিয়ে পরিচয় প্রতারণা (আইডেনটিটি থেফট) বা ব্ল্যাকমেলের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে দুর্বৃত্তরা।
ডার্ক ওয়েবে বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রায় বিক্রি হয় এসব অ্যাকাউন্টের তথ্য। তথ্যের গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে একেকটি অ্যাকাউন্ট বিক্রি হয় ৩ থেকে ১২ মার্কিন ডলার দামে। ফেসবুক থেকে যে পরিমাণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা এককভাবে বিক্রি করলে এর দাম হতে পারে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সনিকওয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিল কনার বলেন, ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত তথ্য খুবই মূল্যবান। কোনো প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব তথ্য নেওয়া হলে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের মানি গুরু নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর অনেক তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য কিনে তা বিজ্ঞাপন দেখানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে।

অনলাইন মিটিংয়ে জুম অ্যাপ ব্যবহার করবেন যেভাবে..!

অনলাইন মিটিংয়ে জুম অ্যাপ ব্যবহার করবেন যেভাবে..!

রোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ‘হোম অফিস বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করেছে। এ কারণে বাসা থেকেই করতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ। এমনকি মিটিংও সারতে হচ্ছে অনলাইনে। এক্ষেত্রে গত কয়েকদিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জুম নামের অ্যাপটি। ভারতীয় প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটসনাউ এক প্রতিবেদনে জানায়, উইন্ডোজ, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সমান কার্যকর জুম অ্যাপ। এর সাহায্যে মিটিং করা যাবে কোনও বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই।
জুম অ্যাপে মিটিং করার জন্য শুরুতেই আপনাকে ‘জুম ক্লাউড মিটিংস’ নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপ ডাউনলোডের সময় কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, জুম নামের অনেক অ্যাপ রয়েছে। এগুলো দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। আপনি মিটিংয়ের জন্য যে অ্যাপটি চাচ্ছেন সেটিই ডাউনলোড করুন।
জুম অ্যাপ ডাউনলোডের পর ইনস্টল প্রক্রিয়া শেষ হলে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। গুগল কিংবা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সাহায্যেও জুম অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
জুম অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার পর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাইন ইন বাটনে চাপ দিন; লগইন হওয়ার পর চারটি অপশন পাওয়া যাবে, এগুলো হলো- নিউ মিটিং, জয়েন, শিডিউল এবং শেয়ার স্ক্রিন; নিউ মিটিং অপশন থেকে আপনি মিটিং শুরু করতে পারবেন, এই অপশন থেকে জুম আইডি, ইমেইল অ্যাড্রেস বা মিটিংয়ের নাম ব্যবহার করে যে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে; জয়েন অপশনের মাধ্যমে অন্য কারও আমন্ত্রণে কোনও মিটিংয়ে যোগ দেওয়া যাবে, এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে মিটিং আইডি ও পাসওয়ার্ড; মিটিংয়ের শিডিউলের জন্য শিডিউল অপশন ব্যবহার করতে হবে, অন্যদিকে প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে শেয়ার স্ক্রিন অপশন; মিটিং শেষ হলে নিচের ডান কোণে থাকা ‘এন্ড মিটিং’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।  

সুপার কম্পিউটার কি ? সুপার কম্পিউটারের কাজ কি? – বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ

সুপার কম্পিউটার কি ?  সুপার কম্পিউটারের কাজ কি?     – বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ
সুপার কম্পিউটার কি ?  সুপার কম্পিউটারের কাজ কি?
 – বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ


কম্পিউটার” শব্দটির সাথে আমরা খুব বেশি পরিচিত হলেও “সুপারকম্পিউটার” শব্দটি আমরা খুব কমই শুনেছি। অথবা খুব বেশি কিছু জানিও না। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিমাত্রায় শক্তিশালী এই কম্পিউটার সম্পর্কে।

সংঙ্গা: সাধারণভাবে আমাদের বাসা বাড়িতে বা অফিস আদালতে ব্যাবহৃত ছোট কম্পিউটারগুলো থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং বৃহৎ আকারের কম্পিউটারকে সুপারকম্পিউটার বলা হয়।
এরা সাধারন কম্পিউটারগুলো থেকে অত্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন এবং এদের আকৃতিও অনেক অনেক বড়। গড়ে একেকটি সুপারকম্পিউটার নির্মানে খরচ পড়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং এর এক বছরের রক্ষনাবেক্ষন খরচ ৯ মিলিয়ন ডলার!! “টাইটান” নামের বিশ্বের অন্যতম বড় একটি সুপারকম্পিউটারের আকার প্রায় একটি বাস্কেটবল কোর্টের সমান। সাধারণ কম্পিউটারগুলো যেমন বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এগুলো তেমন কিনতে পাওয়া যায় না এবং বিশ্বের খুব কম প্রতিষ্ঠানের কাছেই সুপারকম্পিউটার রয়েছে। বেশিরভাগই সরকার ভিত্তিক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বৃহৎ হিসাবনিকাষে ব্যাবহৃত হয়। এগুলো রক্ষনাবেক্ষনেও প্রচুর খরচের প্রয়োজন পড়ে।

ক্ষমতা: সুপারকম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটারগুলোর থেকে অতিমাত্রায় শক্তিশালী হয়ে থাকে। আমরা সাধারনত কোনো কম্পিউটারের গতি মাপার জন্য তাদের প্রসেসর কত হার্ট্জের এবং এটি প্রতি সেকেন্ডে কত মেগাবাইট/গিগাবাইট তথ্য প্রসেস করতে পারে তা নির্নয় করি। কিন্তু সুপারকম্পিউটারদের গতি/ক্ষমতা মাপার জন্য সম্পুর্ন ভিন্ন একটি একক ব্যাবহার করা হয়। এককটি হলো FLOPS(Floating Point Operation Per Second)। এটি প্রচলিত হিসাব পদ্ধতি থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন এবং কেবলমাত্র বড় বড় প্রসেসিং মেশিন সমুহের গতি মাপার জন্যই ব্যাবহৃত হয়। চলুন FLOPS একক সম্পর্কে আপনাকে একটু ধারনা দেই- 1gigaFLOPS মানে হলো আপনাকে প্রায় ৩২ বছর ধরে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে হিসাব করে যেতে হবে!! কোনো সুপারকম্পিউটার যদি এই কাজটি এক সেকেন্ডে করতে পারে তাহলে তার ক্ষমতা হবে 1gigaFLOPS. এরকমভাবে TeraFLOPS, PetaFLOPS এককগুলোও ব্যাবহার হয়। 1000gigaFLOPS=1TeraFLOPS 1000TeraFLOPS=1PetaFLOPS!! প্রতি সেকেন্ডে ১ টি করে হিসাব করলেও 1 পেটাফ্লপস যেতে আপনার ৩ কোটি বছর লাগবে!!! এপর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারটি হলো Sunway TaihuLight এটি চীনে তৈরি এবং এর ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় ৯৩ পেটাফ্লপস! যেটি এর আগের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারটির থেকেও প্রায় তিনগুন বেশি। এখনো এর থেকেও বেশি শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ব্যাবহার: সুপারকম্পিউটারের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোই জানা হলো, এবার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে এত শক্তিশালী কম্পিউটার দিয়ে কি করা হয়? এদের প্রয়োজনই বা কি? আসলে প্রয়োজন ছাড়া পৃথিবীতে কোন জিনিসই তৈরি হয়না। যেখানে এত ব্যায়বহুল কম্পিউটারগুলোর কথা আসে তখন এদের প্রয়োগক্ষেত্রও কিন্তু বড় বড় জায়গাতেই। সাধারণত গানিতিক বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি সুপারকম্পিউটার ব্যাবহৃত হয়। গনিতের অনেক বড় বড় হিসাবনিকাশ, বৃহত্তম মৌলিক সংখ্যা বের করা, অনেক বড় এবং সময়সাপেক্ষ অংক খুব কম সময়ের মধ্যে করা ইত্যাদি কাজে সুপারকম্পিউটার ব্যাবহৃত হয়। ল্যাবরেটরিতে গবেষনার কাজে, পদার্থবিজ্ঞানে কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, আবহাওয়ার পুর্ভাবাস, জলবায়ু গবেষণা, এটমিক পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি কাজে সুপারকম্পিউটার ব্যাবহৃত হয়। নাসা, সার্ন(CERN) এর মতো বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান জোতির্বিজ্ঞান এবং মলিকিউলার ফিজিক্সে খুব সুক্ষ হিসাবনিকাশের জন্যও সুপারকম্পিউটার ব্যাবহার করে। পৃথিবীতে কোন দেশে কতটি সুপারকম্পিউটার আছে তা ওই দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে আমেরিকা, জাপান এবং চায়না অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতও এগিয়ে যাচ্ছে।

ইতিহাস: পৃথিবীর প্রথম সুপারকম্পিউটার তৈরি করা হয় ১৯৬০ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারে IBM 7030 Stretch এবং CDC(Control Data Corporation) এর কয়েকটি কম্পিউটার দ্বারা যার নাম ছিল অ্যাটলাস(Atlas) এবং এটি নির্মিত হয়েছিল সাইমর ক্রে নামের এক ব্যক্তির দ্বারা। IBM 7030 Stretch হলো ট্রান্সজিস্টর ব্যাবহার করা প্রথম কম্পিউটার। ১৯৬৪ সালে ক্রে CDC-6600 নামের একটি সুপারকম্পিউটার ডিজাইন করেন যা সিলিকন নির্মিত ট্রান্সজিস্টর ব্যাবহার করতো। প্রতিটি কম্পিউটার ৮ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হয়েছিলো। ১৯৭৬ সালে ক্রে তার নিজের কোম্পানি “ক্রে রিসার্চ” থেকে Cray-1 নামের 80 MHz ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কম্পিউটার তৈরি করেন।

ILLIAC IV মডেলটি ক্রে ১ কে টেক্কা দেয় যার সর্বোচ্চ পিক পারফরম্যান্স ছিল 1gigaFLOPS. ১৯৮৫ সালে ক্রে ২ নামের আরেকটি কম্পিউটার আসে যা সর্বোচ্চ 1.9 gigaFLOPS গতিতে প্রসেসিং করতো কিন্তু এটি মস্কোতে অবস্থিত M-13 সুপারকম্পিউটারকে পেছনে ফেলতে পারেনি। মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কৃত হওয়ায় কম্পিউটার নির্মানে এবং এর গতি বৃদ্ধিতে বিপ্লব সৃষ্টি হয়। ১৯৮২ সালে জাপানে LINKS-1 নামের একটি সুপারকম্পিউটার প্রধানত গ্রাফিক্সের কাজে ব্যাবহার করার জন্য তৈরি করা হয় যাতে একসাথে ৫১৪টি মাইক্রোপ্রসেসর ব্যাবহৃত হয়েছিল। ১৯৯০ এর দিকে জাপান এবং আমেরিকায় হাজার বা এর অধিক মাইক্রোপ্রসেসরযুক্ত সুপারকম্পিউটার নির্মান শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে Hitachi SR2201 নামের ২০৪৮ টি প্রসেসরযুক্ত একটি সুপারকম্পিউটার ৬০০ gigaFLOPS গতি তুলতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে অতিমাত্রায় সমান্তরাল প্রসেসর যুক্ত সুপারকম্পিউটার নির্মিত হতে থাকে। চায়না, জাপান, রাশিয়া ইত্যাদি দেশ তাদের নিজেদের জন্য শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার নির্মানে আগ্রহী হয়ে উঠে। বর্তমানে বিশ্বের সেরা দশটি সুপারকম্পিউটারের মধ্যে ৫টি আমেরিকার, ২টি চীনের, ১টি জাপানের এবং ১টি সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। অবশ্য প্রথম তিনটির মধ্যে দুইটিই চীনের এবং তৃতীয়টি সুইজারল্যান্ডের।

নির্মানব্যায় এবং ব্যাবহৃত শক্তি: গড়ে একেকটি সুপারকম্পিউটার নির্মানে খরচ পড়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং এর এক বছরের রক্ষনাবেক্ষন খরচ ৯ মিলিয়ন ডলার এবং এদের চালু রাখতেও কিন্তু ব্যাপক পরিমানে বিদ্যুতশক্তির প্রয়োজন পড়ে।Tianhe-1A যেটি কিনা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুপারকম্পিউটার, এটি চালু রাখার জন্য ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে! সুপারকম্পিউটারগুলো রক্ষনাবেক্ষনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এদের ব্যাপকহারে তাপ নিঃসরন। একটি কম্পিউটার চালু অবস্থায় প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে যা ঠান্ডা করার জন্য ও প্রচুর ফ্যান/এসির প্রয়োজন হয়  এবং এতে প্রচুর বিদ্যুত শক্তির অপচয় ও হয়। যদিও এখন কম তাপ উৎপন্ন করে এমন প্রসেসর নির্মানের চেষ্টা চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যাবহৃত হয় যা ফ্যানের তুলনায় অনেক দ্রুত ঠান্ডা করতে সক্ষম। কিন্তু কম্পিউটারের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্র ঠান্ডা করার জন্য পানি ব্যাবহার না করাই ভালো নয় কি?! আইসল্যান্ডে অবস্থিত একটি সুপারকম্পিউটারকে বলা হয় পৃথিবীর প্রথম জিরো এমিশন সুপারকম্পিউটার। এটি শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যাবহার করে এবং আইসল্যান্ডের ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে এটিকে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডা করার প্রয়োজন পড়ে না।

অপারেটিং সিস্টেম: প্রথমদিকের সুপারকম্পিউটারগুলো তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করলেও ধীরে ধীরে তারা লিনাক্স(Linux) ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করতে শুরু করে। যেহেতু লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং যেকেউ ইচ্ছামতো একে মডিফাই করে ব্যাবহার করতে পারে। সর্বশেষ তথ্যমতে বিশ্বের সেরা ৫০০টি সুপারকম্পিউটারই লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে!!

mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।   


ক্লাউড কম্পিউটিং কি ?

ক্লাউড কম্পিউটিং কি  ?
ক্লাউড কম্পিউটিং কি?

ধরুন আপনার এখন ডাটা ভিজুয়ালাইজেশনের জন্য ম্যাটল্যাব সফটওয়্যাটি দরকার কিন্তু আপনার পিসিতে তা নেই । তাই আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন একটি সার্ভিস প্রভাইডারের কাছে ফ্রি অথবা অর্থের বিনিময়ে কানেক্ট হবেন যা আপনাকে ম্যাটল্যাব সফটওয়্যাটির ইনভাইরনমেন্ট দেবে ব্যবহারের জন্য ।
অথবা, আপনার ১৬/ ৩২ কোর প্রসেসরের প্রসেসিং পাওয়ার দরকার হতে পারে কোন বড় ক্যালকুলেশনের জন্য কিংবা মেশিন লার্নিং এর বড় কোন মডেল রান করার জন্য , যা আপনার / আমার মত গরিবের পক্ষে দিবাস্বপ্নের মত । কিন্তু সেই জন্য কি আমরা মেশিন লার্নিং শিখতে পারবো না ? অবশ্যই পারবো । আর এই জন্য আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে (সাধারন পিসি থেকেই) কমমূল্য দিয়েই (হয়ত ঘন্টা হিসেবে) ঐ সার্ভিস পেতে পারি নেটওয়ার্কের মাধ্যেমে কানেক্টেড থেকে।
এটাই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটার। অর্থাৎ কম্পিউটার এর যন্ত্রাংশ আপনি দেখতে পাবেন না কিন্তু যেকোনো স্থান থেকে এবং যেকোনো কম্পিউটিং ডিভাইজ থেকে একে রিমোট কন্ট্রোল এর মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন। যেখানে আপনি ইচ্ছা মতো কনফিগারেশন করতে পারবেন এবং সকল উচ্চ মান এর কাজ করতে পারেন ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমে। এখানে আপনি হাজার হাজার তথ্য সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন। এমন সব কিছুই করতে পারবেন যা আপনার টেবিলে থাকা কম্পিউটার টি দিয়ে আপনি করেন। আপনার শুধু দরকার হবে একটি  ইন্টারনেট সংযোগ।
তাহলে এককথায় ক্লাউড কম্পিউটিং হলঃ কম্পিউটারের রিসোর্স গুলো মানে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিস গুলো নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রদান করা
ইউজার এর উপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত ৪ ধরনের হয়ে থাকেঃ
1. Public cloud: এক ধরনের ক্লাউড সার্ভিস যা সাধারন জনগন ব্যবহার করতে পারবে।
2. Private cloud: যেটা শুধু কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জনগন ব্যবহার করতে পারবে।
3. Hybrid cloud: এটা পাবলিক এবং প্রাইভেট দুইটার সংমিশ্রণে তৈরি।
4. Community cloud: এটা একাধিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে।


সার্ভিসের উপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটিং কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ
1. IaaS (Infrastructure-as-a-Service): এতে অবকাঠামো বা Infrastructure ভাড়া দেয়া হয়। যেমন, কারো যদি একটা মেশিন লাগে তার কাজের জন্য তাহলে ভার্চুয়ালি সেই মেশিন ভাড়া দেয়া হয় কিংবা নেটওয়ার্কিং সেবা দেয়া হয়।
2. PaaS (Platform-as-a-Service): এতে প্লাটফর্ম ভাড়া দেয়া হয়। যেমনঃ অপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেজ কিংবা কোনো সার্ভার বা মনিটরিং সিস্টেম।
3. SaaS (Software-as-a-Service): এটা হচ্ছে ক্লাউডে চলা কোনো সফটওয়ার যেটা ইউজাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন তাদের মোবাইল ফোন কিংবা পিসির সাহায্যে। এদের এক কথায় ওয়েব সার্ভিস ও বলা যায়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাঃ
কম খরচঃ যেহেতু এতে আলাদা কোন সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না বা কোন হার্ডওয়্যার এর প্রয়োজন হয় না। তাই স্বাভাবিক ভাবে খরচ কম হবেই।
সহজে ব্যবহারঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ গুলো যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায় তাই এটা সহজে ব্যবহার যোগ্য।
সফটওয়্যার ব্যবহার: ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে অনেক উচ্চমান সম্পূর্ণ কাজ করা সম্ভব। এবং প্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা সম্ভব যা হয়তো আপনাকে আলাদা টাকা দিয়ে কিনতে হতে পারত।
অটো সফটওয়্যার আপডেটঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর সফটওয়্যার গুলো আপনার আপডেট করার প্রয়োজন নেই। এগুলো অটো আপডেট হয়ে থাকে। তাই আলাদা ভাবে এটা মেইনটেন্স এর খরচ লাগে না।
যতটুকু ব্যবহার ততটুকু খরচঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এ আপনি যত টুকু ব্যবহার করবেন শুধু মাত্র ততটুকুর জন্য পয়সা আপনাকে দিতে হবে। যেটা কিনা ডেস্কটপ কম্পিউটিং এ সম্ভব না।
ডকুমেন্ট কন্ট্রোলঃ মনে করুন কোন একটা অফিসে যদি ক্লাউড কম্পিউটিং না ব্যবহার করে তবে সেই অফিসের ডকুমেন্ট সমূহ কন্ট্রোল করতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেবার জন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হবে কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এ সেই ধরনের কোন সমস্যা নেই। অতিরিক্ত লোক ছারাই সকল ডকুমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়।
ডাটা সংরক্ষন: একসাথে অনেক ডাটা সংরক্ষন করা সম্ভব। এবং সেই ডাটা কখনই হারিয়ে যাবে না বা নষ্ট হয়ে যাবে না। ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি গুলোর অনেক ডাটা সেন্টার থাকে। তাই আপনার ডাটা নিয়ে আপনাকে কনো চিন্তা করতে হবে না।
সিকিউরঃ আপনার চেয়ে আপনার ডাটার সিকিউরিটি বেশি আপনি গুম হয়ে যাইতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে কিন্তু আপনার ডাটা গুম হওয়ার ভয় নেই। আপনার যদি অনেক বেশি ডাটা থাকে আপনি হয়ত আলাদা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে ব্যাক আপ রাখলেন। কিন্তু সেই হার্ডডিস্ক যে ক্র্যাশ করবেনা সেই গ্যারান্টি নাই। আবার অন্য কোনোভাবেও আপনি ডাটা হারিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু ক্লাউডে আপনার এই ভয় নেই। আপনার ডাটা রক্ষার গ্যারান্টি ক্লাউড আপনাকে দিবে। সুতরাং এই সুযোগে আপনি নিজের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখার সময় ও পাবেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা:
১। আপনার তথ্য যদি ক্লাউডে রাখেন, তাহলে সেই তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। আপনার মহামুল্যবান তথ্য আরেক জনের হাতে তুলে দিচ্ছেন সে যে আপনার তথ্য নিয়ে গবেষণা করবে না তার কি গারান্টি আছে ? তবে সব কম্পনির ক্ষেত্রে এটা সঠিক নয়।
২। তথ্য করাপ্টেড হয়ে যেয়ে পারে নিমিষে।
৩। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নাও থাকতে পারে ।
৪। তথ্য ফাঁস হবার সম্ভাবনা।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন এবং সার্ভিসঃ
Outright: হল একটি ফাইনান্স অ্যাপ্লিকেশন। এটা ছোট খাট বিজনেসের আকাউন্ট এর কাজে ব্যবহার করা হয়। বিজনেসের প্রফিট, লস, আয়, ব্যয় ইত্যাদির খরচ খুব সহজে করা যায়।
Google Apps; গুগল অ্যাপস অনেক সুবিধা দেয় যেমনঃ ডকুমেন্ট তরি করা, স্প্রেডশিড তৈরি, স্লাইড শো তৈরি, ক্যালেন্ডার মেইনটেন্স, পার্সোনাল ইমেইল ইত্যাদি তৈরি করার সুবিধা দেয়।
Evernote: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নোট সমূহ খুব সহজে কন্ট্রোল করা, ব্যবহার করা, যেকোনো স্থানে যেই নোট সমূহ ব্যবহার করাতে Evernote খুবই উপকারি।
Quickbooks; Quickbooks এক ধরনের একাউন্ট সার্ভিস। এর মাধ্যমে ক্যাশ নিয়ন্ত্রন করা, বাজেট তৈরি, বিজনেস রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদির কাজে খুব ভাল সাপোর্ট দেয়।
Toggl; এটি একটি টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপলিকেশন। মূলত প্রোজেক্ট কন্ট্রোল এবং টাইমিং এর জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। প্রোজেক্ট তৈরিতে কত সময় লাগলো, কোন খাতে কতটুকু সময় সকল হিসাব এর মাধ্যমে জানা যায়।
Skype; Skype কম্পিউটার কে ফোনে রূপান্তর করে ফেলেছে। বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে কম্পিউটার এর মাধ্যমে কথা বলা, ভিডিও চ্যাট করা ইত্যাদির সুবিধা দিচ্ছে।
DropBox; অনেক দরকারি একটি সার্ভি স। ভার্চুয়াল হার্ডডিস্কও বলতে পারেন। মানে আপনি যেকোনো ধরনের ফাইল রাখতে পারবেন এবং সেটা যেকোনো পিসি থেকে কন্ট্রোল করতে পারবেন খুব সহজে। অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

mahbubmahi.blogspot.com এ প্রকাশিত।    


সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব
🌟পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং🌟


কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। 

⭐কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং  –এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

⭐ভর্তির যোগ্যতাঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রয়োগ হয়ে থাকে।


⭐ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মানঃ
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।  


⭐একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং আয়ঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পন্নের পর এন্ট্রি লেভেলে প্রতিষ্ঠান ও পদ অনুযায়ী বেতন হতে পারে ২০-৪০ হাজার টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এটা আরও কম। তবে  অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতন বাড়তে থাকে।

⭐ক্যারিয়ার হিসেবে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অটোমোবাইল সেক্টরেও অনেক সুযোগ আছে। দেশে অনেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। প্রত্যেক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপক্ষে একজন করে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়। একজন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অটোমোবাইল শপ করতে পারেন। দেশে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব পরিবহনের কারিগরি বিষয় দেখাশোনার জন্য পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরেকটি বিভাগ হচ্ছে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনার উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে পারেন। এসব পণ্য সার্ভিসিংয়ের জন্যও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও কাজের প্রচুর ক্ষেত্র রয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি নিজেদের কারিগরি দক্ষতা যত বাড়াতে পারবেন, এ খাতে তত ভালো করা সম্ভব। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে কাজের অভাব হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান বেতন স্কেলে দশম গ্রেডে বেতন পাওয়া যাবে। বেসরকারিতে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন ভিন্ন হয়।

mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।   

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব

🔧মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং


মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যান্ত্রিক প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি প্রাচীনতম শাখা। এটি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখাও বটে। যদিও এটি প্রকৌশলে অনেক দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান, কিন্তু উনিশ শতকের প্রথম দিকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি পৃথক শাখা হিসেবে উন্নীত করা হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মূলত প্রকৌশল, পদার্থ, গণিত এবং বস্তু  বিজ্ঞানের নীতি ব্যবহার করে যান্ত্রিক সিস্টেমের ডিজাইন, বিশ্লেষণ, তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে ট্র্যাডিশনাল শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় এবং যুগোপযোগী। জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় নিশ্চিত কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা অনেক বেশি। শিল্পোন্নয়নের সাথে সাথে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী এই বিষয়ে সামগ্রিক  জ্ঞান লাভ করতে পারে। হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে এই জ্ঞান থেকে পেশাগত দক্ষতা অর্জন সম্ভব। এই কোর্সের মাধ্যমে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গাণিতিক এবং বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয় এবং এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেকনোলজি ও ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে সাথে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেয়া হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মূলত যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো হল- মেকানিক্স, গতিবিদ্যা, থার্মোডাইনামিক্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস  এবং ইলেক্ট্রিসিটি। এই মূল বিষয়গুলো ছাড়াও কম্পিউটার-এডেড ডিজাইন (সিএডি), কম্পিউটার-এডেড ম্যানুফ্যাকচারিং (সিএএম) এবং পণ্য জীবনচক্র ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি সম্পর্কেও ধারনা দেয়া হয়।  

🔧কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং –এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

🔧ভর্তির যোগ্যতা:
চার  বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ আট বছর আগের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায়  কমপক্ষে GPA 2.00 পেয়ে পাশ করতে হবে। তবে নীতিমালা পরিবর্তন হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপডেটেড তথ্য প্রযোজ্য হবে।

🔧ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মান:
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে এর মান স্নাতক এবং বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিক স্তর।  

🔧একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব:
একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোন একটি কাজ সম্পাদনের জন্য কাজটির ধারনাকে সৃজনশীলতা,জ্ঞান এবং বিশ্লেষনধর্মী প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় করার মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দান করেন। একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে যে সকল দায়িত্ব পালন করতে হয় সেগুলো হল-
• প্রকল্পের আবশ্যিক শর্ত নির্ধারন করা।
• যান্ত্রিক উপাদান, ডিভাইস এবং ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা।
• কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন/ মডেলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা।
• টেকনিক্যাল পরামর্শ দেয়া।
• রক্ষণাবেক্ষন এবং মডিফাইয়ের মাধ্যমে যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও এর কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা।
• পণ্যের পরিক্ষণ, মূল্যায়ন, পরিবর্তন এবং পূনঃমুল্যায়ন করা।
• ডাটা এনালাইসিস এবং এর ব্যাখ্যা প্রদান করা।
• ম্যানেজার ও ক্লায়েন্টদের জন্য ডিজাইন উপস্থাপন করা।
• প্রকল্পের ব্যয়, প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ এবং বাজেট প্রণয়নে সহায়তা করা।
• তাত্ত্বিক ডিজাইনকে সিমুলেশনের মাধ্যমে যাচাই করে  প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যকরী করে তোলা।  

🔧মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে প্রায়ই প্রতিটি ক্ষেত্রে। সরকারি, বেসরকারি সেক্টরে এমন কি দেশের বাইরেও তাদের চাহিদা রয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য কিছু কর্মক্ষেত্র হল-  
• ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রান্সপোর্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং, কন্সট্রাকশন এবং প্রসেসিং কোম্পানি।
• পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র সহ অন্যান্য বৃহত্তম সরকারি প্রতিষ্ঠান।
• R & D বেইজড কোম্পানি।
• কনসালটেন্সি এজেন্সি।
• সিভিল সার্ভিস।
• রেলওয়ে, বিমান, অটোমোবাইল, রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রি।
• আর্মড ফোর্স।
• সরকারি এজেন্সি।
• ইউটিলিটিজ ( গ্যাস,পানি, বিদ্যুৎ প্রভৃতি ) কোম্পানি।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যদি বেশ কিছু বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তবে চুক্তিভিত্তিক কাজ এবং কনসালটেন্সির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও সম্ভব।

🔧উচ্চশিক্ষার সুযোগঃ

• মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে B.sc করা যায়।
• A.M.I.E  পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমেও BSc ডিগ্রি অর্জন সম্ভব।
• এছাড়া অনেকেই দেশের বাইরেও যায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য।

🔧ক্যারিয়ার হিসেবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ে সম্ভাবনাময়  ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ রয়েছে। কম্পিউটার, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল ও সিভিল টেকনোলজি সবই মেকানিক্যাল টেকনোলজির সাথে জড়িত। সকল ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য মেকানিক্যাল টেকনোলজি অপরিহার্য। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বিস্তর কর্মক্ষেত্র রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে।
• মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা অর্জনের পর ২য় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ আছে।
• সরকারি, বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হিসেবে।
• সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি দেশের বাইরেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা আছে।
• পছন্দমত  ব্যবসা এবং কনসালটেন্সির মাধ্যমেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
এন্ট্রি লেভেলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করলেও নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রমোশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বলে এক সময় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে অরোহণ করা সম্ভব।

🔧একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ সফলভাবে ডিপ্লোমা পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেল এ চাকরি শুরু করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি সেক্টরে এন্ট্রি লেভেলে সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে বেতন শুরু হয় প্রায় ৩২,০০০ টাকা থেকে। যদিও এটা কোম্পানির উপর নির্ভর করে। যাদের অভিজ্ঞতা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি ১৫,০০০ টাকা শুরু করে থাকে।
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ প্রকৌশলিদের বেসরকারি খাতে আয় মাসে লক্ষাধিক হওয়ারও নজির আছে ।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশ সহ বিশ্বের সকল দেশেই চাকরির বাজারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরির বিভিন্ন সার্কুলারগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে আমরা তাই দেখতে পাই। সুতরাং দেশের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধি আনার জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হতে পারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

তথ্যসূত্রঃ mahbubmahin.blogspot এ প্রকাশিত।   

বিকাশে ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে যা যা করণীয়

বিকাশে ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে যা যা করণীয়
নেক সময় বিকাশে আর্থিক লেনদেনে অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্থিক লেনদেন করায় এই ভুলটি হয়ে থাকে।
এ সমস্যায় পড়ে অনেকেরই টাকা খোয়া যায়। তাই এমন ভুল হয়ে গেলে টাকা ফেরত পেতে কী কী করণীয় তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ কর্তৃপক্ষ প্রথমেই যে পরামর্শ দিচ্ছে তা হলো– টাকা ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে, তা ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে, ভুক্তভোগীর করার কিছুই থাকবে না।
সে জন্য অ্যাকাউন্ট থেকে ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বলেছে বিকাশ। সেখানে ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিকাশ অফিসে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ কর্মকর্তারা জিডি কপি এবং মেসেজ খতিয়ে দেখেন।
এর পর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির বিকাশ অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।
এর পরক্ষণই ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানায়, তখন অফিস থেকেই টাকাটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে দেয় বিকাশ।
আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তা হলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে ভুক্তভোগী প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি চিরতরের জন্য অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং🔭

সাবজেক্ট রিভিউঃ  ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং🔭
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব
🔭সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং



প্রকৌশলের প্রাচীনতম এবং সমৃদ্ধ শাখাগুলোর মধ্যে একটি হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা যেমন – হাইওয়ে, সেতু, টানেল, স্কুল, হাসপাতাল, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য ভবন, স্যুয়েজ সিস্টেম এবং পানি পরিশোধন সিস্টেম সম্পর্কিত পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষন এবং তত্ত্বাবধান এসবই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অন্তর্ভুক্ত। প্রকৌশলের এই শাখাটি শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নতিই করে না, এটি  জনসাধারন এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যগত সংরক্ষনও নিশ্চিত করে।

🔭ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং:

তাদের অবদান আমরা দেখতে পাই এরোস্পেস শিল্পে, জেট-লাইনার এবং স্পেস স্টেশন ডিজাইনে, অটোমোবাইল শিল্পে, একটি চ্যাসিসের লোড বহন ক্ষমতা নিখুঁত- করণ কাজে, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে, পাওয়ার ইন্ডাস্ট্রি, এবং যে কোনও অন্যান্য শিল্পে যেখানে নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ পাওয়া যাবে। এসব কারনে দেশ ও দেশের বাইরে সবখানেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চাহিদা অনেক বেশি। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া সভ্যতার উন্নতি কল্পনা করা যায় না। 
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং  হল একটি ডিপ্লোমা লেভেলের কোর্স। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের আধুনিক সমাজের জন্য সড়ক, সেতু, খাবার পানির যোগান, এনার্জি সিস্টেম, সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর এবং সার্বিকভাবে উন্নত অবকাঠামোর জন্য নকশা, নির্মাণ, এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলো করেন। এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং আরেকটি শাখা পরিবহন প্রকৌশলে সড়ক, রেলপথ, সাবওয়ে সিস্টেম, এবং বিমানবন্দর ডিজাইন ও তৈরি নিয়ে কাজ করে। এভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অবদান।

🔭কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং–এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

🔭ভর্তির যোগ্যতা:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমার চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে।

🔭ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মান:

ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।

🔭একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব:

• প্রজেক্টের প্ল্যান এবং ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, জরিপ প্রতিবেদন, মানচিত্র এবং অন্যান্য ডেটা বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের পরিকল্পনা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নির্মাণ খরচ, সরকারী বিধিমালা, সম্ভাব্য পরিবেশগত দুর্যোগ এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা।
• স্থাপত্যের ফাউন্ডেশনের পর্যাপ্ত দৃঢ়তা নির্ধারণ করার জন্য সয়েল টেস্টের ফলাফল বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত কংক্রিট, কাঠ, অ্যাসফল্ট বা ইস্পাতের মতো নির্মাণ সামগ্রীগুলির পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করার জন্য নির্মাণের উপকরণ, সরঞ্জাম, এবং শ্রমিকদের আনুমানিক খরচ নির্ধারণ করা।
• ডিজাইন ব্যবহার করে শিল্প ও সরকারী স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে পরিবহন সিস্টেম এবং কাঠামো পরিকল্পনা করা।
• স্থাপত্য নির্মাণের জন্য স্থান, সাইট লেআউট, রেফারেন্স পয়েন্ট, গ্রেড এবং উচ্চতা সার্ভে কাজগুলোকে পরিচালনা বা তত্ত্বাবধান করা।
• সরকারী ও ব্যক্তিগত অবকাঠামোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং প্রতিস্থাপন পরিচালনা করা।

🔭সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেশ কয়টি শাখা যেমন-নির্মাণ প্রকৌশল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফায়ার প্রটেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জেনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, সেতু প্রকৌশল, ভূমি উন্নয়ন, মেটারিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবহন প্রকৌশল, হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জল সম্পদ প্রকৌশল, পরিবেশ প্রকৌশলে স্পেশালাইজড হতে পারে। তাদের লব্ধ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সরকারি বেসরকারি সকল অবকাঠামোগত নির্মাণ এবং প্রকল্পে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করতে পারেন। যেসব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কাজের সুযোগ পান সেগুলো হল-

• সড়ক ও জনপদ বিভাগ
• গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
• রিয়েল এস্টেট
• নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
• বিভিন্ন সেতু, বাঁধ ও বন্দর নির্মাণ
• পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational company
• দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর
• জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
• ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ
• হাইওয়ে ব্রিজ
• পানি উন্নয়ন বোর্ড
• এলজিইডি(LGED)
• রেলওয়ে
• বিআরটিএ(BRTA)
• পাওয়ার প্লান্ট
• রেলওয়ে
• সিটি করপোরেশন, পৌরসভা
• মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণে
• বিভিন্ন multinational NGO তে প্রোজেক্ট প্রকৌশল হিসেবে
• নিজস্ব নির্মাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

এছাড়া দেশের বাইরেও নির্মাণ সংক্রান্ত কর্মক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যপক চাহিদা আছে।

🔭উচ্চ শিক্ষার সুযোগ:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষে একজন শিক্ষার্থী দেশের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে বিএসসি করতে পারে।
• বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
• বিএসসি ইন আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
• বিএসসি ইন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং
• বিএসসি ইন এনভায়রোমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
• ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং
• এছাড়া AMIE সার্টিফিকেট সহ বিদেশেও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ আছে।

🔭একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমা শেষে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে উপ-সহকারি প্রকৌশল হিসেবে যোগ দিলে বেতন শুরু হতে পারে ৩০,০০০ টাকা থেকে। প্রতিষ্ঠান ও পদ ভেদে এই অংক ২০ – ৪০ হাজার হতে পারে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন বেড়ে ৫০,০০০ – ১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
দেশের বাইরে একজন দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন আরও লোভনীয়। তবে এসব ক্ষেত্রে বিএসসি সম্পন্ন করা আবশ্যক।
এছাড়া কন্সালটেনসি এবং ব্যক্তিগত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও অনেকে ক্যারিয়ার গড়ছে।

🔭ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং:

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং দেশের সার্বিক কাঠামোগত উন্নয়নের কারনে বিভিন্ন ধরনের কাঠামোগত স্থাপত্য তৈরি চলছেই এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই এই ধরনের কাজগুলোর পরিকল্পনা থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু তদারকি করতে হয়। যার কারনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কখনো কমে না। সভ্যতার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত কখনই তাদের কর্মসংস্থানের কমতি ছিলোনা। সুতরাং, দেশেত বটেই দেশের বাইরেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।তবে এ পেশায় উন্নতি করতে হলে দরকার সৃজনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার। যদি কেউ সৃজনশীল এবং পরিশ্রমী হয় তাহলে এই পেশায় সফলতার শীর্ষে উঠা তার পক্ষে সম্ভব।

তথ্যসুত্রঃ mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।  

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব-

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার :
 বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কলেজ ভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অনেকেই বেকার বসে আছেন। গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে যারা চান গ্রাজুয়েশনের পর দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশ করতে তাদের জন্য ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই আকর্ষনীয় একটি প্লাটফর্ম। আমাদের মত শিল্পায়ননির্ভর দেশে কারিগরি ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। S.S.C পরীক্ষার পর পরই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমাতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

🌼একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মক্ষেত্রে কি কি কাজ করেন ?
ইলেকট্রিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সাধারণত ইলেক্ট্রিসিটি, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রম্যাগনেটিজমের বিদ্যা এবং প্রয়োগ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা হয়।
• একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের নকশা, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তারা শুধুমাত্র মানের উপরেই ফোকাস করেন না, পণ্য এবং সিস্টেম টেকসই কিনা তাও নিশ্চিত করেন।
• একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অফিস, ল্যাবস, এমনকি শিল্পকারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেম থেকে শুরু করে সিগন্যাল প্রসেসিং, কম্যুনিকেশন সিস্টেমে  কাজ করতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একজন মাল্টিটাস্কার – ক্রমাগত  ডিটেইল মডেল তৈরি করা, তাদের বাস্তবায়ন, পরীক্ষা করা এবং এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হয় তাদের। সুতরাং যদি আপনার টেকনিক্যাল বিশদের ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকে এবং কাজ করতে আপনি পছন্দ করেন তবে  ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য আপনি উপযুক্ত।

🌼ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:
• বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন-  PDB, DESCO, BWBD, পল্লী বিদ্যুৎ,  শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি মিল এবং ফ্যাক্টরি, Operation and Circuit Oriented কোম্পাণীগুলোতে।
• অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ কোম্পানি, হাউজিং কোম্পানি, Circuit-Oriented কোম্পানি, প্রাইভেট  পাওয়ার প্রোডাকশন কোম্পানি, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
• ইন্সট্রাকটর হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজগুলোতে।
• শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
• মোবাইলফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে।
• দেশের বাইরে সুপারভাইজার অথবা হেড ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবেও কাজের সুযোগ আছে।

🌼কেমন হতে পারে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

ডিপ্লোমা শেষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ২য় শ্রেণির গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে তিতাস, ডেসকোর মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দিলে তার আয় হতে পারে ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্ট্রি লেভেলে আয় শুরু হয় ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে। তবে বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে আয় কম বেশি হয়।
আর যাদের অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে সেই সব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের আয় বেসরকারি খাতে এবং কন্সালটেন্সিতে বেশ ভালো হয়ে থাকে।

🌼কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি  সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং –এ ডিপ্লোমা করার। তাছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে।

🌼ভর্তির যোগ্যতা:
চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ এবং এইচএসসি পরীক্ষার পাসকৃত শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে তবে এক্ষেত্রে পলিটেকনিকের ভর্তি নীতিমালা দেখে নিতে হবে। প্রতি বছর নীতিমালা পরিবর্তন আসতে পারে।
এইচএসসি (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৩য় সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারবে এবং এইচএসসি( ভোকেশনাল) শিক্ষার্থীরা সরাসরি চতুর্থ সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারবে তবে এক্ষেত্রে নীতিমালা লক্ষ্য করতে হবে। নীতিমালা পরিবর্তন হলে এরকম নাও হতে পারে।

🌼উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ:
একজন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার  ডিপ্লোমা কোর্সের পর EEE  টেকনোলজিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এজন্য DUET (Dhaka University of Engineering & Technology), SUST (সিলেট), JUST(যশোর), RSTU (রাজশাহী) এর মত বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুযোগ  রয়েছে। এছাড়া AMIE (Associate Member of the Institution of Engineers) ডিগ্রীসহ বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগও তাদের রয়েছে।


🌼জেনারেল এডুকেশন সিস্টেম ছেড়ে কেন ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ?
ভবিষ্যতে গতানুগতিক গ্রাজুয়েশন করতে অনিচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের জন্য এই কোর্সটি আকর্ষনীয়। আর্থিকভাবে কম শক্তিশালী কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রদের জন্যও একটি সম্ভাবনাময় পথ এবং এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি চাকরির বিজ্ঞপ্তিগুলো খেয়াল করলে দেখা যায় যে, ডিপ্লোমা এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাকরির বাজারে যোগ্যতার তেমন পার্থক্য নেই।
যেখানে বিবিএ, অনার্সের শিক্ষার্থীরা ভাল ভার্সিটিতে পড়েও বেকার, সেখানে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক কম কিন্তু সুযোগ অনেক বেশি।
তবে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করার পর উচ্চতর শিক্ষা না চাকরি কোনটি বেছে নিবেন সেটা অবশ্যই আলোচনা করে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি ভাল সুযোগ সুবিধাসহ কোন চাকরির সম্ভাবনা না থাকে তবে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের জন্য উচ্চতর শিক্ষা এবং প্রশিক্ষনই শ্রেয়। 
প্রায়শই বলা হয়, “ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি সকল শিল্পের মাতা”, অর্থ হল বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি সব শিল্প কারখানার প্রধান চালিকাশক্তি। আমাদের দেশে বিদ্যুতের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু হচ্ছে যার ফলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের  চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের দক্ষ প্রকৌশলীদের চাহিদা পূরণের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র এটি। সবশেষে বলা যায়, যদি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যাপারে যথেষ্ঠ আগ্রহ থেকে থাকে, তবে ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি আপনার জন্য অন্যতম সম্ভাবনার দ্বার।

তথ্যসূত্রঃ mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত। 

🖥কম্পিউটার টিপসঃ রান কমান্ড লিস্ট

🖥কম্পিউটার টিপসঃ রান কমান্ড লিস্ট
কম্পিউটারে Windows অপারেটিং সিষ্টেমে জেনে নিই গুরুত্বপূর্ণ Run Command গুলো



আজকে আমি কম্পিউটারের Run command সর্ম্পকে বলবো, Windows অপারেটিং সিষ্টেমে Start মেনুতে Run command এমন একটি অপশন যা কম্পিউটার ব্যবহার কারীদের বিভিন্ন কাজকে করে তুলে গতিশীল। কম্পিউটারে আমরা যে সকল কাজ করি তার মধ্যে অনেক কাজই এই অপশনটি দ্বারা করা সম্ভব। নিচে কিছু কমান্ডের নাম ও কাজ গুলো উল্লেখ করা হল-

০১. ফোল্ডার প্রপার্টিস = Control Folder

০২. ফন্টস = control fonts

০৩. ফন্টস ফোল্ডার = fonts

০৪. গেম কন্ট্রোলস = joy.cpl

০৫. গ্রুপ পলিসি এডিটর = gpedit.msc

০৬. হেল্প এন্ড সাপোর্ট = helpctr

০৭. হাইপার টার্মিনাল = hypertrm

০৮. Word প্যাড = write

০৯. উইন্ডোস এক্সপি টুর = tourstart

১০. উইন্ডোস ভার্শন = winver

১১. উইন্ডোস মেসেঞ্জার = wsmsgs

১২. উইন্ডোস মিডিয়া প্লেয়ার = wmplayer

১৩. উইন্ডোস মেনেজমেন্ট = wmimgmt.msc

১৪. উইন্ডোস ফায়ারওইয়াল = firewall.cpl

১৫. Windows এক্সপ্লোরার = explorer

১৬. টাস্ক মেনেজার = taslmgr

১৭. টিসিপি টেস্টার = tcptest

১৮. ইউটিলিটি মেনেজার = utilman

১৯. উইন্ডোস এড্রেস বুক = wab

২০. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার = iexplore

২১. ক্যালকুলেটর = calc

২২. কমান্ড প্রোম্পট = cmd

২৩. কন্ট্রোল প্যানেল = control

২৪. এডমিনিস্ট্রাটিভ টুলস = control admin tools

২৫. ডিস্ক ক্লিনাপ = cleanmgr

২৬. ডিস্ক পার্টিশন মেনেজার = diskpart

২৭. ডিক্স মেনেজমেন্ট = diskmgmmt.msc

২৮. ডিভাইস মেনেজার =devmgmt.msc

২৯. ইউজার একাউন্ট = control userpasswords2

৩০. ডিস্ক চেক = chkdsk

৩১. ডিসপ্লে প্রপারটিজ = control desktop

৩২. ইন্টারনেট প্রপারতিজ = inetcpl.cpl

৩৩. উইন্ডোস লগ অফ = logoff

৩৫. মাইক্রোসফট চ্যাট = winchat

৩৬. উইন্ডোস মুভি মেকার = moviemk

৩৭. মাইক্রোসফট পেইন্ট = mspaint

৩৮. কীবোর্ড প্রপারটিজ = control keyboard

৩৯. মাউস প্রোপার্টিজ = control mouse

৪০. নেট মিটিং = conf

৪১. নোটপ্যাড = notepad

৪২. নেটওয়ার্ক কানেকশন = netsetup.cpl

৪৩. অবজেক্ট পেজ মেকার = packager

৪৪. লোকাল সিকিউরিটি সেটীংস = secpol.msc

৪৫. সার্ভিসেস = services.msc

৪৬. রেজিস্যট্রি এডিটর = regedit

৪৭. রিমোট ডেস্কটপ = mstsc

৪৮. প্রিন্টার এন্ড ফ্যাক্স = control printers

৪৯. পাওয়ার কনফিগারেশন = powercfg.cpl

৫০. ফোন ডায়ালার = dialer

আজ এপর্যন্তই,  ধন্যবাদ সবাইকে  ☺