হ্যাকিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হ্যাকিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!

   সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!

 

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!


সাইবার ক্রাইম একটি চলমান হুমকি। আপনি ভাবতে পারেন যে সাইবার অপরাধের একমাত্র ফর্মটি আপনাকে চিন্তিত করতে হবে হ্যাকাররা আপনার আর্থিক তথ্য চুরি করে। তবে এটি এত সহজ নাও হতে পারে। কেবলমাত্র বেসিক আর্থিকগুলির চেয়েও অনেক বেশি উদ্বেগ রয়েছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিবছর নতুন নতুন হুমকির স্রোত ঘটাতে শুরু করে। আপনি যখন সেখানে সাইবার ক্রাইমস এর পরিসীমা সম্পর্কে শুনেন এবং পড়েন তখন আপনি পুরোপুরি ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করতে প্রলুব্ধ হতে পারেন। এটি সম্ভবত খুব কঠোর। পরিবর্তে সাইবার ক্রাইমকে কীভাবে চিনতে হবে তা জানা ভাল যা নিজেকে এবং আপনার ডেটা সুরক্ষায় সহায়তা করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। কিছু প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা এবং আপনি যখন অনলাইনে অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত দেখেন তখন কার সাথে যোগাযোগ করবেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি কীভাবে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করবেন তা শিখতে চাইতে পারেন তবে জিনিসটি আপনি পারবেন না। তবে আপনি এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।

সাইবার ক্রাইম কী?

সাইবার ক্রাইম হলো অনলাইনে বা প্রাথমিকভাবে অনলাইন হয় এমন কোনও অপরাধ। সাইবার অপরাধীরা প্রায়শই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিভাইসকে লক্ষ্য করে অপরাধ করে। সাইবার ক্রাইম সুরক্ষা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে পরিচয় চুরি পর্যন্ত হতে পারে। অন্যান্য সাইবার অপরাধে সন্ত্রাসবাদীরা ইন্টারনেটে সহযোগিতা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অপরাধকে সাইবার স্পেসে স্থানান্তরিত করে।কীভাবে সাইবার ক্রাইম থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যে কোনও ব্যক্তিকে কিছু প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এখানে ৬ টি টিপস যা আপনি নিজেরাই সাইবার অপরাধের সীমার বাইরে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন।

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

বিভিন্ন সাইটে আপনার পাসওয়ার্ডগুলি পুনরাবৃত্তি করবেন না এবং আপনার পাসওয়ার্ডগুলি নিয়মিত পরিবর্তন করুন। তাদের জটিল করুন। এর অর্থ কমপক্ষে ১০ টি অক্ষর সংখ্যা এবং প্রতীকগুলির সংমিশ্রণটি ব্যবহার করা। একটি পাসওয়ার্ড পরিচালনার অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডগুলি লকড রাখতে সহায়তা করতে পারে।

২. আপনার সফ্টওয়্যারটি আপডেট করুন

এটি আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা সফ্টওয়্যারটির সাথে বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার অপরাধী আপনার সিস্টেমে অ্যাক্সেস পেতে আপনার সফ্টওয়্যারটিতে প্রায়শই শোষণ বা ত্রুটিগুলি ব্যবহার করেন। এই শোষণ এবং ত্রুটিগুলি প্যাচ করা আপনার পক্ষে সাইবার ক্রাইম টার্গেটে পরিণত হবেন এমন সম্ভাবনা কম।

৩. আপনার সামাজিক মিডিয়া সেটিংস পরিচালনা করুন

আপনার ব্যক্তিগত এবং ব্যক্তিগত তথ্য লকড রাখুন। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাইবার ক্রিমিনালগুলি প্রায়শই কেবলমাত্র কয়েকটি ডেটা পয়েন্টের সাহায্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে পারে তাই আপনি প্রকাশ্যে যত কম ভাগ করবেন তত ভাল উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি আপনার পোষা প্রাণীর নাম পোস্ট করেন বা আপনার মায়ের প্রথম নামটি প্রকাশ করেন তবে আপনি দুটি সাধারণ সুরক্ষা প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করতে পারেন।

৪. আপনার বাড়ির নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করুন

ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে শুরু করা ভাল ধারণা। একটি ভিপিএন আপনার গন্তব্যস্থলে না পৌঁছা পর্যন্ত আপনার ডিভাইসগুলি রেখে সমস্ত ট্র্যাফিক করবে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার যোগাযোগের লাইনটি হ্যাক করতে পরিচালিত করে তবে ডেটা ছাড়া আর কিছুতেই বাধা দেবে না। আপনি যখনই কোনও লাইব্রেরি হোটেল বা বিমানবন্দরে থাকুক না কেন ভিপিএন ব্যবহার করা ভাল ধারণা।

৫. পরিচয় চুরির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন

পরিচয় চুরি তখন ঘটে যখন কোনো ব্যক্তি ভুলভাবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা এমনভাবে জালিয়াতি বা প্রতারণার সাথে জড়িত থাকে সাধারণত অর্থনৈতিক লাভের জন্য। কীভাবে? উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে পারে বা কোনও চোর অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাক্সেস করতে আপনার মেইলটি চুরি করতে পারে। এজন্য আপনার ব্যক্তিগত ডেটা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভিপিএন ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের জন্য সংক্ষিপ্ত আপনি অনলাইনে প্রেরণ এবং প্রাপ্ত ডেটা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করতে পারে বিশেষত সর্বজনীন ওয়াই ফাইতে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার সময়।

৬.  আপনি যদি সাইবার ক্রাইমে শিকার হন তবে কী করতে হবে তা জেনে নিন

আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি কোনও সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন আপনার স্থানীয় পুলিশ এবং কিছু ক্ষেত্রে এফবিআই এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে সতর্ক করতে হবে। অপরাধটি সামান্য বলে মনে হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সহায়তা করতে পারে বা ভবিষ্যতে অপরাধীদেরকে অন্য ব্যক্তির সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন সাইবার অপরাধীরা আপনার পরিচয় চুরি করেছে এগুলি আপনাকে বিবেচনা করা উচিত 

ওয়েবসাইটকে 'হ্যাকিং' থেকে বাঁচাবেন যেভাবে!

ওয়েবসাইটকে 'হ্যাকিং' থেকে বাঁচাবেন যেভাবে!

 


ওয়েবসাইটকে 'হ্যাকিং' থেকে বাঁচাবেন যেভাবে



...
ওয়েবসাইট হ্যাকিং...

ওয়েবসাইট হলো তথ্য সংরক্ষণের অনলাইন ভিত্তিক একটি স্টোর। যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের বাণিজ্যিক তথ্য, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য, শিক্ষা তথ্য এবং পার্সোনাল বিষয়াদি নিয়ে লেখালোখি করা হয়। এই প্রযুক্তির যুগে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সকল কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব এক বা একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে। তাছাড়া মানুষের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেরও কমতি নেই।

একটা ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বছরের পর বছর এটার পেছনে অনেক শ্রম দিতে হয়। কিন্তু একজন হ্যাকার যখন এই ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে নেয়, তখন ওয়েবসাইট এডমিনের সকল কষ্ট শ্রমে-ঘামে গড়া শিল্পটি মাত্র এক মিনিটের মাধ্যমেই ধ্বংস হয়ে যায়! চোখের সামনে চলে আসে হতাশার এক গভীর অন্ধকার।

ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার মূল কারণ ওয়েবসাইটের দুর্বল সিকিউরিটি। যাদের ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি দুর্বল হয় তাদের ওয়েবসাইটই হ্যাকিং এর শিকার হয়ে থাকে। সরচারাচর যে কারণে ওয়েবসাইট হ্যাক হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো।

...ওয়েবসাইট পাসওয়ার্ড...

ওয়েবসাইট হ্যাকিং হওয়ার প্রথম কারণ সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের জন্য এটা সবচেয়ে কমন ধাপ। আবার অনেকেই পাসওয়ার্ডে ডিকশোনারি ওয়ার্ড ব্যবহার করে, এটা চরম একটি ভুল! একজন হ্যাকার ওয়েবসাইট হ্যাক কারার জন্য ডিকশোনারির A -Z সকল ওয়ার্ড দিয়ে পাসওয়ার্ড ট্রাই করে। তাই পাওয়ার্ডে কখনই শুধু ডিকশোনারি ওয়ার্ড ব্যবহার উচিত নয়।

আবার অনেকেই তার ফোন নাম্বার দিয়ে পাসওয়ার্ড দেয়, এটাও ভুল। অবশ্য একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, একজন সাধারণ মানুষ খুব সহজেই হ্যাকার হতে পারে না। হ্যাকার হতে তার হ্যাকিং বিষয়ের সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতে হয়। তারপর সে হ্যাকার।

সুতরাং পাসওয়ার্ড সিকিউরিটি 02145656/ ABCDEFGH / BANGLABESH / এমন সহজ দেবেন না। বরং পাসওয়ার্ডে M@205@aB7&521Name# এমনটা ব্যবহার করবেন। তবে হ্যকার সহজেই বুঝতে পারে না যে, কি ধরণের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এই পাসওয়ার্ডগুলো যদিও স্মরণ রাখা একটু কঠিন মনে হয়, তাই খাতার পাতায় লিখে রাখাটাও জরুরি। একটি শক্তিশালি পাসওয়ার্ড ওয়েবসাইট হ্যাকিং থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ঠ।

...ওয়েবসাইট লগইন ইউআরএল...

বর্তমানে বিভিন্ন CMS ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। তাছাড়া কাস্টাও ওয়েবসাইটও ব্যবহারের তালিকায় রয়েছে। তবে CMS দিয়ে তৈরি সাইট গুলোই ব্যবহারের তালিকায় শীর্ষে। এমনই একটি CMS প্লাটফর্ম হলো ওয়ার্ডপ্রেস। এখন বেশীরভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই তৈরি।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লগইন ডেশবোর্ড মূলত ডোমেইন নেমের পর /wp-admin দিলেই চলে আসে। এটা আপনি যেমন জানেন তারচেয়ে বেশি হ্যাকার জানে। তাই অবশ্যই website login url কোন প্লাগিনের সাহায্যে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেবেন। যেমন ডোমেইন নামের পর /wp-admin না রেখে /your-name বা /name25 এমন রাখতে পারেন।

প্রায় সব ধরণের CMS বা কাস্টম ওয়েবসাইটেরই লগইন ইউআরএল পরিবর্তন করা যায়। এটা করার ফলে হ্যাকার বুঝতে পারে না যে আপনার ওয়েবসাইটে কিভাবে লগইন হতে হয়। এই ফর্মূলাটি অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এটা ওয়েবসাইট হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

...ওয়েবসাইট থিম...

যে কোন সাইটেই সতর্কতার সাথে থিম ব্যবহার করতে হবে। এটা ওযেবসাইট সিকিউরিটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হতে পারে সেটা ফ্রি থিম অথবা পেইড থিম, কিংবা কাস্টম থিম। প্রায় ওয়েবসাইট নাল থিম বা ক্র্যাক থিম ব্যবহারের কারণে হ্যাক হয়। পেইড থিমগুলোকে ক্র্যাক করা সাধারণত সবাই পারে না। এগুলো বিভিন্ন হ্যাকার দ্বারা হয়।

তবে এটাও সত্য যে, অনেক কোডিং এক্সপার্ট আছে যারা থিম কোম্পানিগুলোকে লস দেওয়ার জন্য পেইড থিম গুলোর লাইসেন্স এক্টিভেশন সিস্টেম বন্ধ করে দেয়। এই থিমগুলো বিভিন্ন থার্ডপার্টি সাইটে অল্প দামে GPL বলে বিক্রি করা হয়। তবুও এই থিমগুলো শতভাগ নিরাপদ নয়। ব্যবহার করাও উচিত হবে না।

তবে এই ধরণের ক্র্যাক ভার্সনের থিমগুলো প্রায় হ্যাকারদের হাতেই ক্র্যাক করা হয়। আর এই ক্র্যাক থিমগুলোর ভেতর হ্যাকারদের কিছু আলাদা কোড যুক্ত করে দেয়, যেনো তারা এই থিমগুলো পুরোপুরি কন্ট্রোল করতে পারে। তাই এই ধরণের থিম পুরোপুরি ভাবে বর্জন করা উচিত।

আপনার সামর্থ না থাকলে ফ্রি থিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন, যেগুলো অফিসিয়ালি ফ্রি। এই ধরণের ফ্রি থিম দিয়েই যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তবে ফ্রি থিম গুলোতে সব ফিচার থাকে না। আবার ফ্রি থিমের সব কিছুই সাধারণ ভাবে কাস্টামাইজ করা যায় না। তবে আপনার যদি সামান্য কোডিং নলেজ থাকে তবে ফ্রি থিমগুলোই নিজের মতো করে কাস্টামাইজ করে নিতে পারবেন।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা অনেক ভালো কাজ করে। ক্র্যাক থিম ব্যবহার না করে ফ্রি থিমগুলো ব্যবহারে আপনি ওয়েবসাইট হ্যাকিং থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

 

...টুলস প্লাগইন...

সকলেই জানেন, এখন প্রায় সব ধরণের CMS প্লাটফর্মেই টুলস প্লাগইন সিস্টেম রয়েছে। টুলস প্লাগইন মূলত ওয়েবসাইটের ফিচার সমৃদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়। তবে থিমেও মতই টুলস প্লাগইনেরও ফ্রি এবং পেইড ভার্সন রয়েছে। এই ধরণের টুলস প্লাগইন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও থিমের বিষয়টি অনুসরণযোগ্য।

বিভিন্ন প্রয়োজনে ওয়েবসাইটের ফিচার সমৃদ্ধ করতে টুলস প্লাগইন ব্যবহার করতে হয়। তবে অবশ্যই টুলস প্লাগইন ওয়েবসাইটে ইনিস্টল দেওয়ার আগে সেই টুলস বা প্লাগইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। পছন্দের টুলস বা প্লাগইন কোন কোম্পানি তৈরি করেছে। টুলস বা প্লাগইনটির ইউজার সংখ্যা কত এবং সেই ইউজারেরা টুলস বা প্লাগইনটি সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছে এগুলো ঘেটে ঘেটে দেখা উচিত। তারপর পছন্দ হলে টুলস বা প্লাগইনটি ইনস্টল এবং ব্যবহার করা যেতে পারে।

টুলস প্লাগইন এর মধ্যেই ক্র্যাক টুলস প্লাগইন রয়েছে। এগুলোও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে আপনি ফ্রি টুলস প্লাগইন ব্যবহার করেন। এত কোন প্রকার সমস্যা নেই। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন, তবে ফ্রি টুলস প্লাগইন দিয়েই প্রায় সব ধরণের ফিচার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে পারবেন।

সব ফিচার হয়ত একটি ফ্রি টুলস বা প্লাগইনে পাবেন না। ফ্রিতেই বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের জন্য একাধিক প্লাগইনের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

 

...সিকিউরিটি প্লাগইন...

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন, তবে আপনার জন্য একটি সুখবর হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের সিকিউরিটি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। যদিও ওয়ার্ডপ্রেস সাইট খুব বেশী হ্যাক হয় না। হ্যাক হলেও উপরোল্লিখিত দুর্বলতাগুলোর জন্য হয়। যাইহোক, তবুও আপনার সাইটকে আরো সিকিউর করার জন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।

 

গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু কথাঃ

ওয়েবসাইট হ্যাকিং হয় মূলত আমাদের কিছু ভুলের কারণেই। এজন্য সচেতনতাকে ওয়েবসাইট হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বড় এবং কার্যকরী প্রদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এটাও সত্য যে, ইন্টারনেটে কোন কিছুই শতভাগ সুরক্ষিত নয়। সকলেই জানি এবং ইতিহাস সাক্ষী, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু এর মতো বড় বড় সাইটগুলোও প্রায় কয়েকবার হ্যাকিয়ের শিকার হয়েছে।

যদিও ওদের সিকিউরিটি ভাঙা অনেক ট্রাফ। তবে যতটুকু জানতে পারি, তাদের ওয়েবসাইট হ্যাকিং হয়েছিল সংশ্লিস্ট ব্যক্তিদের দ্বারাই। যাইহোক, ওদিকে যে তো চাইনা।

আপনি যদি উপরোল্লিখিত এই পাঁচটি কাজ সচেতনতার সাথে করতে পারেন, তবে ওয়েবসাইট হ্যাকিং হওয়া থেকে বেঁচে থাকবে পারবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো দিয়েই বেশীর ভাগ সাইট হ্যাক হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রত্যেক ওয়েব মাস্টারের একান্ত কর্তব্য।

 

প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি ওয়েবসাইট হ্যাকিং থেকে বাঁচাবেন কিভাবে তা আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে এখনই জানিয়ে দিন।

ধন্যবাদ।