সর্বশেষ
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
✦ লেখক পরিচিতি
✦ লেখক পরিচিতি
মাহিন মাহবুব উল্লাহ—একজন মানবিক, প্রযুক্তিপ্রেমী ও স্বপ্নবান তরুণ, যিনি লেখালেখি, স্বেচ্ছাসেবকতা এবং প্রযুক্তি সচেতনতায় নিজেকে সমানভাবে উৎসর্গ করেছেন।
জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০১, ময়মনসিংহ জেলার এক গ্রামীণ জনপদে। প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন বড়চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, পরে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন একাধিক প্রতিভার অধিকারী—শুধু একাডেমিক নয়, নেতৃত্ব, সাহিত্যমনা ও সামাজিক অংশগ্রহণেও ছিলেন সক্রিয়।
ডিপ্লোমা করেছেন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে। এরপর Creative IT Institute-এ Web Development with JavaScript ইন্টার্নশিপ শেষ করে বর্তমানে পড়ছেন আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি'র CSE বিভাগে। একইসাথে পেশাগতভাবে কর্মরত আছেন Walton Corporate Office-এর আইটি বিভাগে।
✦ সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও সম্মাননা:
🔹 বাংলাদেশ স্কাউটস-এর হয়ে পেয়েছেন ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ও Messenger of Peace ব্যাজ।
🔹 Plastic Tide Turner Challenge-এ অংশগ্রহণ করে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রেখেছেন।
🔹 COVID-19 মহামারীকালীন সময়ে ফ্রন্টলাইনার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন—তবুও থেমে না থেকে মানুষের পাশে থেকেছেন। এজন্য ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও সনদপত্র।
🔹 বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি'র পক্ষ থেকে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।
🔹 ১০ বারের রক্তদাতা, পেয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের সম্মাননা।
🔹 TIB (Transparency International Bangladesh) এর YES Friend হিসেবে দুর্নীতি বিরোধী নানা কার্যক্রম ও প্রকল্পে কাজ করেছেন।
🔹 Clean Up Bangladesh সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
✦ প্রতিভা ও আগ্রহ:
ছোটবেলা থেকেই তিনি বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা ও লেখালেখিতে পারদর্শী। প্রতিযোগিতাগুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে অর্জন করেছেন পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
✦ অনলাইন উপস্থিতি:
📌 টেক ব্লগ:
👉 mahinmahbubullah.blogspot.com
📌 ফেসবুক আইডি:
👉 facebook.com/mahinmahbub.ullah
📌 ইউটিউব চ্যানেল:
👉 youtube.com/@MaheesMind
📌 ইমেইল এড্রেস:
👉 mahinwgbd@gmail.com
✦ জীবনদর্শন:
> “আমি বিশ্বাস করি—সফলতা তখনই প্রকৃত হয়, যখন তা সমাজ ও দেশের উপকারে আসে। তাই জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে আমি উৎসর্গ করতে চাই দেশের মানুষের জন্য, প্রযুক্তির জন্য এবং মানবতার জন্য।”
---
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

জীবনের মানে কি আসলে?
জীবনের শুরুতে আমরা সবাই নিজের জন্যই বাঁচি—নিজের স্বপ্ন, নিজের চাওয়া, নিজের ভালো লাগা দিয়ে ভরে রাখি প্রতিটা সকাল-সন্ধ্যা। কিন্তু সময় যতই গড়াতে থাকে, ততই আমাদের সেই ‘নিজের’ জায়গাগুলোতে ঢুকে পড়ে অন্যদের উপস্থিতি।
প্রথমে পরিবার, তারপর সমাজ, সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব—এক এক করে তারা এসে দখল করে নেয় আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, সিদ্ধান্ত এমনকি স্বপ্নগুলোও।
কখন যে কারো খুশির জন্য নিজের ইচ্ছেগুলোকে বিসর্জন দিতে শিখে ফেলি, কখন যে নিজের সুখকে আটকে রেখে অন্যের শান্তির জন্য লড়াই করি, বুঝে উঠতে পারি না।
নিজেকে ধীরে ধীরে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যাই, যেখানে আমি থাকি, কিন্তু নিজের জন্য না। আমার হাঁটায় থাকে গন্তব্য, কিন্তু সেটা আমার নয়। আমার হাসিতে থাকে আলোর ঝিলিক, কিন্তু তা আমার আনন্দ থেকে জন্ম নেয় না। আমার ভালো থাকা নির্ভর করে অন্যদের মনের ওপর, আর আমার খারাপ থাকা চাপা পড়ে যায় দায়িত্বের ভারে।
এরপর একটা সময় আসে, যখন আয়নায় তাকালেও নিজের চোখের গভীরে এক ফাঁকা শূন্যতা দেখি।
নিজেকে প্রশ্ন করি—"আমি এখনো আছি তো?"
উত্তর আসে, "হ্যাঁ, আছো… কিন্তু নিজের জন্য নও।"
এমন জীবন কি সত্যিই পূর্ণ জীবন?
নিজেকে হারিয়ে দিয়ে কেবল অন্যের জন্য বাঁচা, এটা কি আত্মত্যাগ? নাকি আত্মবিসর্জন?
আমরা ভুলে যাই—নিজেকে ভালোবাসা, নিজের প্রয়োজনগুলো গুরুত্ব দেওয়া, নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরা কোনো স্বার্থপরতা নয়। এটা এক ধরণের আত্ম-সম্মান, এক ধরণের ন্যায্য অধিকার।
নিজের খালি ভেতর দিয়ে অন্যকে ভরাতে গেলে একসময় নিজেরই আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
সবকিছুর শেষে বলতে হয় যে, এটাই বাস্তব! হাহাহা!