জানার আছে অনেক কিছু! লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জানার আছে অনেক কিছু! লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?

   স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?

 

স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?


মোবাইল ফোন এখন শুধু কথা বলা বা ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করতে স্মার্টফোনে অনেক বাড়তি ফাংশন দেওয়া হয়। আর এই কাজগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় সেন্সরের। বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই ফিচারের মাধ্যমে যেমন দ্রুত স্মার্টফোনের লক খোলা যায়, ঠিক তেমনি ফোনের নিরাপত্তাও বজায় রাখা যায়। তবে অনেক সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ঠিক মতো কাজ করেনা। ফলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। আর এমন সময় ফোন আনলক করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করারও বেশ কয়েকটি উপায় আছে। যেগুলি সম্পর্কে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পরিষ্কার করুন: মোবাইল ফোন ধুলো জমে যাওয়ার ফলে অনেক সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাই মাঝে মাঝেই পরিষ্কার কাপড় অথবা মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পরিষ্কার করা উচিত।

সঠিকভাবে আঙ্গুলের ছাপ সেট করুন: বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ডিভাইসে প্রথম বার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করার সময় সম্পূর্ণ আঙুল ব্যবহার করে থাকেন। আর প্রতিবার লক খোলার সময় স্বভাবসুলভভাবে সঠিক ভাবে আঙুলের ছাপ দেন না, আর এতেই বাধে বিপত্তি। তাই স্মার্টফোন আনলক করার সময় সচেতন ভাবে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা উচিত।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করার সময় একাধিক আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করুন : কিছু কিছু স্মার্টফোন মডেল দুই বা ততোধিক আঙুলের ছাপ দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সেট করার অনুমতি দেয়। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সেট করার সময় একটির বদলে দুটি বা তিনটি আঙুলের ছাপ ব্যবহার করুন।

সফটওয়্যার আপডেট : সর্বদা স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং প্যাচগুলি আপডেট রাখা উচিত। কারণ অনেক সময় সফটওয়্যার আপডেট না করা থাকলেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ঠিকভাবে কাজ করে না।

স্মার্টফোনটি রিবুট করুন: যদি উপরের সবকটি পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যদি কাজ না করে, তাহলে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি রিবুট করে দেখতে পারেন।


কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?

 

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?




কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কখনোই ‘A’ কিংবা ‘B’ ড্রাইভ থাকে না। ড্রাইভগুলোর নাম ‘C’ থেকে শুরু হয়। কিন্তু কেন?

আপনি যদি কম্পিউটারের শুরুর দিককার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনার জানার কথা। কিন্তু আপনি যদি বর্তমান প্রজন্মের ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার মনে এই প্রশ্ন উদয় হয় যে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ড্রাইভের নাম ‘C’ থেকে শুরু কেন?

অর্থাৎ কম্পিউটারের মূল ড্রাইভ সর্বদা ‘C’ থেকে শুরু হয় এবং এরপর অন্যান্য ড্রাইভগুলো ধারাবাহিকভাবে ‘D’, ‘E’, ‘F’ এরকম হয়ে থাকে। আর যদি কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি ‘G’ এবং ‘H’ হয়ে থাকে। সুতরাং ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভের কী হলো?

যা হোক, এবার উত্তরটি জেনে নিন। কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে, তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। কম্পিউটারে স্টোরেজ হিসেবে শুরুর দিকে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো। ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রাথমিক অবস্থায় ‘A’ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের মাপের ছিল  ৫ ১/৪ ইঞ্চি এবং ৩ ১/২ ইঞ্চি। ফলে কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তা ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ নামে ছিল।

এরপর ১৯৮০ সালের দিকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন সেটি ধারাবাহিকতা অনুসারে ‘C’ ড্রাইভ নামে ব্যবহৃত হতে থাকে। কারণ তখনো কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ ছিল। হার্ডডিস্কে সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় অতি অল্প স্টোরেজ ক্ষমতার ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার কম্পিউটার কমতে থাকে। এবং পরবর্তী সময়ে ফ্লপি ডিস্ক পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ায়, কম্পিউটার থেকে থেকে বিদায় নেয় ফ্লপি ডিস্ক এবং ‘A’ এবং ‘B’ নাম দুইটি। কিন্তু হার্ডডিস্ক আজও অক্ষুণ্ন থাকায় মূল ড্রাইভ হিসেবে হার্ডডিস্ক ‘C’ নামেই রয়েছে।

তবে আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ড্রাইভটি যে ‘C’ হিসেবেই আজীবনের জন্য নির্ধারিত তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে ড্রাইভের নাম ‘A’ করতে নিতে পারবেন।

স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল!

   স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল!

 

স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল!



সম্প্রতি হু হু করে বিক্রি বেড়েছে ডাম্বফোনের। কেন স্মার্টফোনের ছেড়ে এই ডিভাইস ব্যবহার শুরু করছেন নতুন প্রজন্ম? কোথায় এগিয়ে ডাম্বফোন?

বিজ্ঞানীরা বলছেন অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানুষ বোকা, অসামাজিক ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই কথা বিশ্বাস না হলে এই দাবির পিছনে আসল বিজ্ঞান জানা জরুরি। ক্রমাগত নোটিফিকেশন, আপডেটের মাধ্যমে স্মার্টফোন আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে স্মার্টফোন।

ফলে দিনের শেষে ক্লান্তি নেমে আসে। একই ডিভাইস থেকে একদিনে যেমন সারাদিন বিনোদন চলছে, অন্যদিকে খবরের উৎস, GPS নেভিগেশন, পেমেন্ট সহ দিনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে সারাদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রোল করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি কেউই। এই কারণেই ক্রমাগত এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যেতে ঘুরতে থাকেন। বিজ্ঞানীদের মতে এই কারণে মানুষের মনঃসংযোগ কমেছে অনেকটাই।

আর এই কারণেই এখন অনেকেই দামি স্মার্টফোন ছেড়ে পুরনো ডাব্বাফোনে ফিরে যাচ্ছেন। এই ফোনগুলিকেই ডাম্বফোন বলছে নতুন প্রজন্ম। কিন্তু আপনি জানেন কি একাধিক বিভাগে আধুনিক স্মার্টফোনের থেকে এগিয়ে এই ফোনগুলি? কোন কোন বিষয়ে এখনও পুরনো ফিচার ফোন স্মার্টফোনকে পিছনে ফেলছে? দেখে নিন।

স্মার্টফোন কিনতে অন্তত ৭০০০-১০০০০ টাকা খরচ হয়। যদিও এই দামে বেসিক স্মার্টফোন পাওয়া যায়। ভালো প্রসেসর ও ক্যামেরার স্মার্টফোন কিনতে অন্তত ২০০০০ টাকা খরচ করতে হবেই। কিন্তু ডাম্বফোন কেনার খরচ খুবই কম। ২০০০-৫০০০ টাকার মধ্যেই কেনা যাবে বিভিন্ন মডেল। তাই অযথা অতিরিক্ত খরচ না করে এখন স্মার্টফোনের বদলে ডাম্বফোনকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

স্মার্টফোন কিনলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বেশি দামের প্ল্যান রিচার্জ করতে হয়। যদিও ফিচার ফোনে রিচার্জের খরচ অনেকটাই কম। এখন বেশীরভাগ ফিচার ফোনে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেও খুব বেশি ডেটার প্রয়োজন হয় না। তাই রিচার্জের সময়ও সাশ্রয় হয়।

স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলে বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে স্মার্টফোনের স্ক্রিন ভেঙে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় সকলেরই রয়েছে। কিন্তু ফিচার ফোন স্মার্টফোনের থেকে অনেকটাই মজবুত হয়। তাই হাত থেকে পড়ে গেলে ভাঙার সম্ভাবনা থাকে না।

ফিচার ফোনে ব্যাক কভার যে কোনও সময় খুলে ফেলা সম্ভব। তাই চাইলে ব্যাটারি অথবা সিম কার্ড যে কোনও সময় বদল করা সম্ভব। যদিও এখন স্মার্টফোনগুলিতে আর সেই সুবিধা পাওয়া যায় না। সিম বদল করা গেলেও সিম ট্রে বের করতে প্রয়োজন হয় বিশেষ পিন। যা সঙ্গে না থাকলে চাইলেও স্মার্টফোনের সিম বদল করতে পারবেন না।

ক্রমাগত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের নোটিফিকেশনে বিরক্ত হলে আপনি ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এই ফোনগুলিতে লিমিটেড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেও নোটিফিকেশন আসে না। ফলে নিজের কাজে মন দিতে পারেন।

এখন স্মার্টফোন ব্যাটারি প্রতিদিন চার্জ করতে হয়। কিন্তু আগে এমন ছিল না। এক চার্জে দিনের পর দিন চলত কিপ্যাড ফোনগুলি। স্মার্টফোন ব্যবহার শুরুর পর থেকেই ব্যাগে চার্জার নিয়ে ঘোরেন অনেকেই। কিন্তু ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করলে ফের এক চার্জে গোটা সপ্তাহ চলবে আপনার ফোন।

ডাম্বফোন ব্যবহার করলে নোটিফিকেশন ও আপডেট আসবে না। সেই কারণে ধীরে ধীরে আপনার জীবনে মনঃসংযোগ বাড়বে। ফলে আপনি নিজের জীবন আরও ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!

   সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!

 

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৬ টি উপায়!


সাইবার ক্রাইম একটি চলমান হুমকি। আপনি ভাবতে পারেন যে সাইবার অপরাধের একমাত্র ফর্মটি আপনাকে চিন্তিত করতে হবে হ্যাকাররা আপনার আর্থিক তথ্য চুরি করে। তবে এটি এত সহজ নাও হতে পারে। কেবলমাত্র বেসিক আর্থিকগুলির চেয়েও অনেক বেশি উদ্বেগ রয়েছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিবছর নতুন নতুন হুমকির স্রোত ঘটাতে শুরু করে। আপনি যখন সেখানে সাইবার ক্রাইমস এর পরিসীমা সম্পর্কে শুনেন এবং পড়েন তখন আপনি পুরোপুরি ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করতে প্রলুব্ধ হতে পারেন। এটি সম্ভবত খুব কঠোর। পরিবর্তে সাইবার ক্রাইমকে কীভাবে চিনতে হবে তা জানা ভাল যা নিজেকে এবং আপনার ডেটা সুরক্ষায় সহায়তা করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। কিছু প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা এবং আপনি যখন অনলাইনে অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত দেখেন তখন কার সাথে যোগাযোগ করবেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি কীভাবে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করবেন তা শিখতে চাইতে পারেন তবে জিনিসটি আপনি পারবেন না। তবে আপনি এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।

সাইবার ক্রাইম কী?

সাইবার ক্রাইম হলো অনলাইনে বা প্রাথমিকভাবে অনলাইন হয় এমন কোনও অপরাধ। সাইবার অপরাধীরা প্রায়শই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিভাইসকে লক্ষ্য করে অপরাধ করে। সাইবার ক্রাইম সুরক্ষা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে পরিচয় চুরি পর্যন্ত হতে পারে। অন্যান্য সাইবার অপরাধে সন্ত্রাসবাদীরা ইন্টারনেটে সহযোগিতা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অপরাধকে সাইবার স্পেসে স্থানান্তরিত করে।কীভাবে সাইবার ক্রাইম থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যে কোনও ব্যক্তিকে কিছু প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এখানে ৬ টি টিপস যা আপনি নিজেরাই সাইবার অপরাধের সীমার বাইরে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন।

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

বিভিন্ন সাইটে আপনার পাসওয়ার্ডগুলি পুনরাবৃত্তি করবেন না এবং আপনার পাসওয়ার্ডগুলি নিয়মিত পরিবর্তন করুন। তাদের জটিল করুন। এর অর্থ কমপক্ষে ১০ টি অক্ষর সংখ্যা এবং প্রতীকগুলির সংমিশ্রণটি ব্যবহার করা। একটি পাসওয়ার্ড পরিচালনার অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডগুলি লকড রাখতে সহায়তা করতে পারে।

২. আপনার সফ্টওয়্যারটি আপডেট করুন

এটি আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা সফ্টওয়্যারটির সাথে বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার অপরাধী আপনার সিস্টেমে অ্যাক্সেস পেতে আপনার সফ্টওয়্যারটিতে প্রায়শই শোষণ বা ত্রুটিগুলি ব্যবহার করেন। এই শোষণ এবং ত্রুটিগুলি প্যাচ করা আপনার পক্ষে সাইবার ক্রাইম টার্গেটে পরিণত হবেন এমন সম্ভাবনা কম।

৩. আপনার সামাজিক মিডিয়া সেটিংস পরিচালনা করুন

আপনার ব্যক্তিগত এবং ব্যক্তিগত তথ্য লকড রাখুন। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাইবার ক্রিমিনালগুলি প্রায়শই কেবলমাত্র কয়েকটি ডেটা পয়েন্টের সাহায্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে পারে তাই আপনি প্রকাশ্যে যত কম ভাগ করবেন তত ভাল উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি আপনার পোষা প্রাণীর নাম পোস্ট করেন বা আপনার মায়ের প্রথম নামটি প্রকাশ করেন তবে আপনি দুটি সাধারণ সুরক্ষা প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করতে পারেন।

৪. আপনার বাড়ির নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করুন

ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে শুরু করা ভাল ধারণা। একটি ভিপিএন আপনার গন্তব্যস্থলে না পৌঁছা পর্যন্ত আপনার ডিভাইসগুলি রেখে সমস্ত ট্র্যাফিক করবে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার যোগাযোগের লাইনটি হ্যাক করতে পরিচালিত করে তবে ডেটা ছাড়া আর কিছুতেই বাধা দেবে না। আপনি যখনই কোনও লাইব্রেরি হোটেল বা বিমানবন্দরে থাকুক না কেন ভিপিএন ব্যবহার করা ভাল ধারণা।

৫. পরিচয় চুরির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন

পরিচয় চুরি তখন ঘটে যখন কোনো ব্যক্তি ভুলভাবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা এমনভাবে জালিয়াতি বা প্রতারণার সাথে জড়িত থাকে সাধারণত অর্থনৈতিক লাভের জন্য। কীভাবে? উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে পারে বা কোনও চোর অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাক্সেস করতে আপনার মেইলটি চুরি করতে পারে। এজন্য আপনার ব্যক্তিগত ডেটা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভিপিএন ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের জন্য সংক্ষিপ্ত আপনি অনলাইনে প্রেরণ এবং প্রাপ্ত ডেটা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করতে পারে বিশেষত সর্বজনীন ওয়াই ফাইতে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার সময়।

৬.  আপনি যদি সাইবার ক্রাইমে শিকার হন তবে কী করতে হবে তা জেনে নিন

আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি কোনও সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন আপনার স্থানীয় পুলিশ এবং কিছু ক্ষেত্রে এফবিআই এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে সতর্ক করতে হবে। অপরাধটি সামান্য বলে মনে হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সহায়তা করতে পারে বা ভবিষ্যতে অপরাধীদেরকে অন্য ব্যক্তির সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন সাইবার অপরাধীরা আপনার পরিচয় চুরি করেছে এগুলি আপনাকে বিবেচনা করা উচিত 

ফেসবুক চালাতে দিতে হবে টাকা!

   ফেসবুক চালাতে দিতে হবে টাকা!

 

ফেসবুক চালাতে দিতে হবে টাকা!



বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে মেটার। এ সমস্যার সমাধানে নতুন এক উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইইউর দেশগুলোতে দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পেইড সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মেটা।

বিজ্ঞাপনের কারণে অনেকেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চালাতে গিয়ে বিরক্ত হন। এ কথা ভেবে অনেক আগেই পেইড সিস্টেম চালু করেছিল ইউটিউব। এমনকি বাংলাদেশেও এই ফিচার যুক্ত হয়েছে। এবার ইইউর দেশগুলোতে একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে মেটা।

মেটার তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সরকারি বিভিন্ন নীতির কারণে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। আমেরিকায় যে নিয়মে সহজেই ব্যবসা করা যাচ্ছে, ইউরোপে তেমনভাবে করা যাচ্ছে না।

তবে কবে নাগাদ এই ফিচার যুক্ত হবে, এ তিনজন তা জানাননি। এই ফিচার আনা হলে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে মেটায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে এই ফিচার নিলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা অ্যাপে আর কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন না।

এই বিজ্ঞাপনের কারণেই ইউরোপে একের পর এক মামলা হচ্ছে মেটার নামে। গচ্চা যাচ্ছে কোটি কোটি ডলার।

পেইড সিস্টেম চালু থাকলেও ফ্রি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চালানোর ব্যবস্থাও রাখবে মেটা। নতুন ফিচার পেতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে, এ ব্যাপারে মেটার এই তিন কর্মকর্তা তেমন কিছুই জানাননি। মেটার মুখপাত্রের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।



৬০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে দিলো ইউটিউব!

 ৬০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে দিলো ইউটিউব!

 ৬০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে দিলো ইউটিউব!


বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতি মিনিটে কয়েক কোটি ব্যবহারকারী এতে যুক্ত হচ্ছেন। গান, নাটক, সিনেমা, কিংবা পড়ার কোনো বিষয় জানতে সারাক্ষণই ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন। অনেকে ইউটিউব থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

তবে ইউটিউবের নিয়ম ভঙ্গের কারণে ভিডিও ও চ্যানেল মুছে দেয় ইউটিউব। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ, এই তিনমাসের মধ্যে ১০ লাখ ৮০ হাজার ভিডিও ইউটিউবের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া আমেরিকা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৮, রাশিয়ায় ৪ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৩ এবং ব্রাজিলের ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৯টি ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব।

একই সময়সীমার মধ্যে ইউটিউব ৬.৪৮ মিলিয়নের বেশি ভিডিও তার প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েছে কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার অভিযোগে। এর আগেও ইউটিউব লাখ লাখ ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে। মূলত ইউটিউবের নীতি অমান্য করার অভিযোগে মুছে দেওয়া হয় এসব ভিডিও।

যাদের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তারা আরও সাবধান হোন। কপিরাইট কিংবা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ছড়ায় এমন ভিডিও চ্যানেল থেকে আপলোড করবেন না। এছাড়া গুজব ছড়ায় এমন ভিডিও ইউটিউব মুছে দিতে পারে। সেখানে আপনার কোটি কোটি ভিউ থাকলেও ইউটিউব তা সরিয়ে দেবে এমনকি চ্যানেলটাও মুছে দিতে পারে।


দুর্দান্ত ডিজাইনের স্মার্টফোন আনল নকিয়া!

দুর্দান্ত ডিজাইনের স্মার্টফোন আনল নকিয়া!

 

দুর্দান্ত ডিজাইনের স্মার্টফোন আনল নকিয়া!


স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমান যুগ অচল। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই একের পর এক ফোন লঞ্চ করছে কোম্পানিগুলো। স্যামসাং, রেডমি, ভিভোর মতো কোম্পানিগুলো গ্রাহককে চমকে দেওয়ার মতো ফোন আনছে বাজারে।

তবে এবার চমক দেখাবে নোকিয়া। দুর্দান্ত একটি স্মার্টফোন লঞ্চ করতে কোম্পানিটি। মডেলের নাম নকিয়া ৬৩১০ ৫জি (Nokia 6310 5G)। দুর্দান্ত এই স্মার্টফোনটির ভিতর মিলবে ৪জিবি র‍্যাম এবং ৬জিবি র‍্যামের মতো অপশন। আরও থাকবে ওয়াইফাই, ব্লুটুথের মতো ফিচারগুলোও।

এই স্মার্টফোনের ভিতরে একটি ৪.৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে থাকবে। এছাড়াও এই স্মার্টফোনে কিউডাব্লুআরটিই কীপ্যাড দেখতে পাবেন। থাকছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টলের সুযোগ।

মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমের কথা বলতে গেলে ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেম দেখতে পাবেন। এতে থাকছে অক্টা-কোর প্রসেসর, ১.৫ গিগাহার্জ প্রসেসর। আরও থাকবে ৩৪ মেগাপিক্সেল এলইডি ফ্ল্যাশ লাইটসহ শক্তিশালী ব্যাক ক্যামেরা। সেলফি বা ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৮০০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। এ ছাড়াও বলা হচ্ছে এতে টাইপ সি চার্জিং সকেট থাকতে পারে, পাশাপাশি এতে যেকোনো চার্জিং সুবিধাও দেখা যাবে।

মোবাইলটির দাম কত হতে পারে? ধারণা করা হচ্ছে এই স্মার্টফোনের দাম আনুমানিক ২৬০০০ টাকা হতে পারে। যদিও আসল দামের তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।




স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!

   স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!

 

স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!



বর্তমান সময়ে ওয়াইফাই এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওয়াইফাই মূলত একটি তারবিহীন প্রযুক্তি যা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। ওয়াইফাই রাউটার এর সাহায্যে ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করে সেলুলার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেক্ট করা হয়।

অনেক সময় আমাদের স্মার্টফোনের ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি সাধারণত নানা কারনে হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়াইফাই ইন্টারফেসের র‍্যান্ডম গ্লিচ, নেটওয়ার্ক সেটিংসের মধ্যে ঝামেলা কিংবা রাউটারের ভুল সেটাপ। আজকের আর্টিকেলে আমরা আমাদের স্মার্টফোনের ওয়াইফাই মাঝে মাঝে বিঘ্নিত হবার সমস্যা এবং এটি থেকে বাঁচার জন্য করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

এ্যারো প্লেন মোড চালু ও বন্ধ করা

স্মার্টফোনের অপ্রত্যাশিত ইন্টারনেট সংযোগ জনিত সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হলো এ্যারো প্লেন মোড চালু ও বন্ধ করা। কাজটি করার জন্য আপনার স্ক্রিনের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সোয়াপ ডাউন করে কুইক সেটিংস প্যানেল নামিয়ে নিন। এরপরে সেখানে এ্যারো প্লেন বা ফ্লাইট মোড অপশনটিতে ট্যাপ করে চালু করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। কিছু সময় পরে পুনরায় সেখান থেকে এ্যারোপ্লেন বা ফ্লাইট মোড বন্ধ করে দিন।

সিগন্যালের শক্তি চেক করা

নির বিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রাউটার কিংবা এক্সেস পয়েন্ট এর কাছাকাছি অবস্থানে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। আপনার মোবাইল ফোনের ওয়াইফাই ইন্ডিকেটরকে সব সময় দুই তৃতীয়াংশ ভরাট রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি বাহ্যিক অবকাঠামো কিংবা ওয়্যারলেস ইন্টারফেস এর কারনে কোনো প্রকার এলোমেলো সংযোগ বিচ্ছিন্নের সম্মুখীন হবেন না।

নেটওয়ার্ক মুছে ফেলে নতুন করে সংযুক্ত করা

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক মুছে ফেলে পুনরায় সংযুক্ত করার ফলে আপনি খুব সহজেই ওয়াইফাই সংযোগ হবার বিচ্ছিন্ন হবার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন। তবে এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হলে করা শ্রেয়। এটি করার উপায় –

  • সেটিংস অ্যাপ ওপেন করুন। 
  • সেখানে থাকা নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এবার ইন্টারনেট সেকশনে গিয়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এর নামের পাশে থাকা গিয়ার আইকনে ক্লিক করুন।
  • এখানে আপনি ফরগেট অপশনটি পেয়ে যাবেন। সেটি ট্যাপ করুন।
  • পুনরায় চালু করার জন্য ওয়াইফাই অপশন অন করে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নামে ক্লিক করুন।
  • ওয়াইফাই এর নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড প্রদান করে পুনরায় ওই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যোগদান করুন।

অবাঞ্চনীয় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো মুছে ফেলা

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যদি অনেকগুলো ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সেভ থাকে তাহলে এটির কারণেও হঠাৎ করে আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেট কানেকশন স্ক্রিনে পুনরায় গিয়ে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে সেভ থাকা পুরাতন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক যেগুলো আপনার আর কোনো প্রয়োজন নেই সেগুলো মুছে ফেলুন।

ওয়াইফাই রাউটার অথবা মডেম রিস্টার্ট করা

রাউটারের কিংবা মডেমের গ্লিচগুলি সমস্ত ধরণের সংযোগ জনিত সমস্যা তৈরি করে। যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ বজায় রাখতে সমস্যা হতে থাকে তবে রাউটারটি পুনরায় চালু করুন। সাধারণত এটি আপনার এই সমস্যা ঠিক করতে সহায়তা করে। আপনার রাউটারের কাছে গিয়ে পাওয়ার বাটনে প্রেস করে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে পুনরায় চালু করুন।

এন্ড্রয়েড ফোন রিবুট করা

আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ওয়াইফাই যদি যেকোনো নেটওয়ার্ক এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ওয়াইফাই ইটারফেস এ কোনো প্রকার সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ডিভাইস রিবুট করা সাহায্য করতে পারে। এজন্য আপনার পাওয়ার বাটন প্রেস করে ধরে রাখুন এবং রিস্টার্ট এ ট্যাপ করুন। কিছু কিছু এন্ড্রয়েড ফোনে আপনাকে একই সাথে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ অথবা ডাউন বাটন চেপে ধরে রাখলে রিস্টার্টের অপশন আসে। আপনার ফোনের ক্ষেত্রে যেভাবে রিস্টার্ট করা যায় সেটি বিবেচনা করে এন্ড্রয়েড ফোন রিস্টার্ট করুন। 


এডাপটিভ ওয়াইফাই এবং এডাপটিভ কানেকশন বন্ধ করা

কিছু কিছু এন্ড্রয়েড ফোনে এডাপটিভ কানেকশন নামে একটি ফিচার রয়েছে। এটি ওয়াইফাই এর সিগন্যাল এর শক্তির উপর ভিত্তি করে ওয়াইফাই ম্যানেজ করে থাকে যার কয়ারনে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল দীর্ঘায়িত হয়। এই ফিচারটি বন্ধ করে দিলে হুট হাট ওয়াইফাই কানেকশন বন্ধ হয়ে যাবার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে। এটি করার উপায়-

  • সেটিংস অ্যাপ ওপেন করুন। 
  • সেখানে থাকা নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এবার এখানে থাকা এডাপটিভ কানেক্টিভিটি সেকশনে প্রবেশ করুন।
  • এই সেকশনে প্রবেশ করে এডাপটিভ কানেক্টিভিটি অফ করে দিন।

আপনার ওয়াইফাই কানেকশন বিশ্লেষণ করে পুনরায় কনফিগার করা

যদি আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সমস্যাটি একটি নির্দিষ্ট ওয়াইফাই কেন্দ্রিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপমার ওয়াইফাই বিশ্লেষন করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে চ্যানেল বা গিগা হার্জ ব্যান্ড পরিবর্তন করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি রাউটারটি ২.৪ গিগা হার্জ ব্যান্ডে সম্প্রচার করে, কিন্তু নেটওয়ার্কটি ওয়াইফাই হটস্পটগুলির আশেপাশে ওভারল্যাপ করে, আপনি ১, ৬, এবং ১১ চ্যানেলগুলি ব্যবহার করতে বা ৫ গিগা হার্জ ব্যান্ডে যেয়ে দেখতে পারেন।


রাউটার ফার্মওয়্যার আপডেট বা রিসেট করা

যদি সমস্যাটি একটি প্রাইভেট ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এটি করার জন্য আপনার রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে যান। সেখানে রাউটার আপডেট ট্যাব বা অপশনটি খুঁজুন। এর পর অনলাইনে আপডেট রয়েছে কিনা সেটি চেক করুন অথবা রাউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ফার্ম ওয়্যার ফাইল আপলোড করুন। 

ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা

নতুন ওএস আপডেট অনেক সময় সফটওয়্যার প্রব্লেম সমাধান করে যার কারনে ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার মতো ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের বা আইফোনের সফটওয়্যার আপডেট সম্পর্কে জানতে এবং ইন্সটল করতে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস মেনুতে যেয়ে সিস্টেম সেকশনে থাকা সিস্টেম আপডেট বা সফটওয়্যার আপডেট ট্যাপ করুন।

নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করা

যদি উপরে বর্ণিত কোনো উপায়েই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান না করতে পারেন তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করতে পারেন। আপনার ফোনে যদি এমন কোনো সেটিংস অন থাকে যেটি আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে ব্যবহৃত হচ্ছে তাহলে এই নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার মাধ্যমে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।


এটি করার উপায়-

  • সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
  • সেটিংসে থাকা সিস্টেম সেকশনে প্রবেশ করুন।
  • এখানে রিসেট অপশনে ঢুকলে আপনি রিসেট ওয়াইফাই, মোবাইল এবং ব্লু টুথ অপশন দেখতে পারবেন।
  • সেটিতে ক্লিক করে রিসেট সেটিংস এ ট্যাপ করুন।

আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস ফ্যাক্টরি রিসেট করার পরে সেটিংস এ গিয়ে নেটওয়ার্ক এন্ড ইন্টারনেট অপশন থেকে ইন্টারনেট ট্যাপ করে ম্যানুয়ালি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এ পুনরায় সংযুক্ত করে ফেলুন।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়াইফাই অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। হঠাৎ করে ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। নিত্য নতুন টেকনোলজি বিষয়ক আর্টিকেল এবং নানা ধরনের টিপস পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?



ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার কথা মাথায় আসলে একটি প্রশ্ন সচরাচর সবার মনে জাগে। সেটি হচ্ছে  ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনব নাকি ডেস্কটপ কিনব? এক কথায় এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ কম্পিউটারের কনফিগারেশন নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন তার উপর। তাছাড়া ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের আলাদা আলাদা কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা এক কথায় বোঝানো সম্ভব নয়। আমাদের আজকের আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কেমন ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং একক কোনো একটি বিষয় নয়, এখানে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন কনফিগারেশন এর কম্পিউটার প্রয়োজন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য যে কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে, একজন ওয়েব ডেভেলপার এর জন্য সেই কনফিগারেশন এর প্রয়োজন হবে না। আবার একজন ওয়েব ডেভেলপারের যে কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে একজন আর্টিকেল রাইটার এর সেই কনফিগারেশনের দরকার হবে না। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের কাজ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

একজন এসইও এক্সপার্ট এর অনেকগুলো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে, একটি  ব্রাউজারে অনেকগুলো ট্যাব নিয়ে কাজ করতে হবে, মাল্টিটাস্কিং করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারে র‍্যাম এর বেশি প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি একটি এসএসডি থাকতে হবে যেন দ্রুত সবকিছু অ্যাক্সেস করা যায়। এধরনের মাল্টিটাস্কিং সম্পর্কিত কাজগুলো যারা করবেন তারা কম্পিউটার কনফিগারেশনে RAM এবং এসএসডির কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখবেন। এক্ষেত্রে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে যেকোনো কোম্পানির কম্পিউটার সেটাপ করলেই তা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যথেষ্ট হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার অবশ্যই ভালো মানের একটি কম্পিউটার সেটআপ থাকতে হবে, কেননা এখানে এডোবি ফটোশপ এবং এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর মত ভারি ভারি সফটওয়্যার ইউজ করতে হবে যা সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে ডিজাইনিং রিলেটেড কাজ করতে চাইলে এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড কম্পিউটারে থাকতে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের প্রসেসর ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি মনিটর কেনার সময় চেষ্টা করবেন কমপক্ষে  ২১ ইঞ্চি সাইজের মনিটর কিনতে এবং সেখানে যেন অন্তত ১৯২০ x ১০৮০ অর্থাৎ ফুল এইচডি রেজুলেশন থাকে। আপনার বাজেটের মধ্যে যে কোন ব্র্যান্ডের মনিটরই নিতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইন এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ করতে হলে আপনার বাজেট ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার থাকতে হবে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত কম্পিউটার সেটআপ হলেই আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। এই সেক্টরে খুব ভারী কোন সফটওয়্যার ইউজ হয় না বিধায় সহজেই সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে কম্পিউটার কোডিং করতে পারবেন। তবে কম্পিউটারের সাথে একটি ভাল মানের এসএসডি যুক্ত হলে আপনার কাজের গতিকে আরও বৃদ্ধি করবে। এবং ২১ ইঞ্চি ভালো মানের একটি মনিটর হলে ওয়েব ডেভেলপ করতে আপনার সুবিধা হবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি কম্পিউটার সেটআপ হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য কম্পিউটার সেট আপ

লেখালেখি করে ইনকাম করার জন্য অতি অত্যাধুনিক ফিচারের কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই এ কথাটি অনেকাংশ সত্য হলেও কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কিছু আলাদা ফিচার সমৃদ্ধ কম্পিউটার কেনা আপনার জন্য লাভজনক হবে। কন্টেন্ট রাইটিং এ বিষয়বস্তুর উপর গবেষণা করার জন্য অনেক বেশি মাত্রায় ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হয় বিধায় একটি ভালো র‍্যাম সমৃদ্ধ কম্পিউটার আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। এছাড়া কন্টেন্ট রাইটিং এ যেহেতু আপনাকে অনেক ফাইল নিয়ে কাজ করতে হবে তাই আপনার কম্পিউটারের স্টোরেজ যাতে বেশি থাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে কী বোর্ডের ব্যবহার অত্যাধিক থাকায় ব্যাকলাইট সম্পন্ন কী বোর্ড কেনার চেষ্টা করুন। যাতে করে আপনি অন্ধকার বা কম আলোর মধ্যেও ভালো ভাবে টাইপিং করতে পারবেন। আপনি মোটামুটি ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে কম্পিউটার সেটআপ দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। এর পর কাজের বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন বাড়াতে পারেন।


বেসিক কম্পিউটার শেখার জন্য কম্পিউটার সেটআপ 

তবে যারা প্রাথমিকভাবে কাজ শেখার জন্য কম্পিউটার কিনবেন তারা নিজেদের বাজেটের মধ্যে সেরা কনফিগারেশনটিই কেনার চেষ্টা করবেন। কাজ শিখে পরবর্তীতে নিজের টাকায় অনেক দামি কম্পিউটারও কেনা যাবে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটি কম্পিউটার সেটআপ হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।


শুরুতেই দামী কম্পিউটার কেনার জন্য বাবা মাকে চাপ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বাস্তব জীবনে আমরা অনেককেই দেখেছি যারা বাড়িতে চাপ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা বলে দামী কম্পিউটার কিনে নিয়ে পরবর্তীতে আর ফ্রিলান্সিং পেশায় সফল হয়ে আসতে পারেনি। তাই সকলের প্রতি পরামর্শ থাকবে সাধ্যমতো যে কম্পিউটারটি কিনতে পারবেন সেরকম কম্পিউটার কিনে কাজ শেখা শুরু করা। পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ আপনি নিজের টাকায় অনেক দামী কম্পিউটার কিনতে পারবেন।


ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি আমার জন্য ভালো হবে?

কম্পিউটার কেনার কথা মাথায় আসলেই একটা বিষয়ে আমাদেরকে দ্বিধার মধ্যে ফেলে দেয় সেটি হচ্ছে ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি নেব ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য। উভয় প্রকার কম্পিউটারেরই আলাদা আলাদা কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। 


প্রথমেই যে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে যে আপনি কোন কাজে কম্পিউটারটি ব্যবহার করবেন এবং আপনার বাজেট কেমন। ল্যাপটপ কিনলে যে সুবিধাটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে যে কোন জায়গায় এটি  বহনযোগ্য। অর্থাৎ আপনি সব জায়গা থেকেই আপনার কাজ করতে পারছেন একটি ল্যাপটপ থাকলে। 


যদিও ভারী কাজ করাটা সহজ হবে না কম বাজেটের ল্যাপটপে। আপনি যদি বেশি পাওয়ারফুল ল্যাপটপ নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকাও অনেক বেশি খরচ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য ডেস্কটপ নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বর্তমান বাজারে  ৩০/ ৪০  হাজার টাকার মধ্যে আপনি যে মানের ল্যাপটপ পাবেন, সেই টাকা দিয়ে এর চাইতে অনেক ভাল মানের একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব।  

শেষ কথা

সবদিক বিবেচনায় ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনা সাধারণত সুবিধার হয়ে থাকে। কেননা এটি আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করবে। তবে এটি একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য আলাদাভাবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কোনটি প্রয়োজন সেটি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। আপনার যেটি ভালো লাগে সেটিই ব্যবহার করবেন। কাজ করে আপনি নিজের কাজের পরিধি বুঝে যাবেন এবং তখন আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছা মতো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কনফিগার করে কিনে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি ভালো হবে এবং কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন এ সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। নিত্য নতুন প্রযুক্তি ভিত্তিক সকল প্রকার নতুন ধরনের তথ্য এবং টিপস সহ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে।