জেনে নিন অ্যাম্বুলেন্সের সামনের লেখা উল্টো (ƎƆИA⅃UꓭMA) করে লেখা হয় কেনো !

জেনে নিন অ্যাম্বুলেন্সের সামনের লেখা উল্টো (ƎƆИA⅃UꓭMA) করে লেখা হয় কেনো !

 জেনে নিন অ্যাম্বুলেন্সের সামনের লেখা উল্টো (ƎƆИA⅃UꓭMA) করে লেখা হয় কেনো ! 


অ্যাম্বুলেন্স জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত একটি বাহন । মানুষের অসুস্থতায় জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে বাহনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।


কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন যে, অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশে “অ্যাম্বুলেন্স” শব্দের ইংরেজি বর্ণগুলো উল্টো করে লেখা থাকে? ( ƎƆИA⅃UꓭMA )


🔯কেনো এমন করা হয়ে থাকে? 

🔯এটা কি কোনো ভুল নাকি এর পেছনে কোনো কারণ রয়েছে ? 




আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, আমরা আয়নায় যখন কোনো জিনিসের প্রতিবিম্ব দেখি; তখন তা আনুভূমিকভাবে উল্টো দেখি । যেমন আয়নায় আমাদের ডান হাতকে বাম হাত দেখায় । ঠিক তেমনি আয়নায় কোনো শব্দ দেখলে তা উল্টো দেখা যায় । যা বাস্তবে ডান থেকে শুরু হয়, তা আয়নায় বাম থেকে ।


🔯এখন বলি অ্যাম্বুলেন্স (ƎƆИA⅃UꓭMA) লেখাটি কেনো উল্টো করে লেখা হয় : 

গাড়ির সামনে যে লুকিং গ্লাস থাকে তাতে ড্রাইভার পেছনে থাকা গাড়ির অবস্থান দেখতে পারেন। অ্যাম্বুলেন্সের সামনে কোনো গাড়ি থাকলে সে গাড়ির ড্রাইভার লুকিং গ্লাসে উল্টো অ্যাম্বুলেন্সের সঠিক প্রতিবিম্ব দেখতে পাবেন এবং সহজে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পথ ছেড়ে দিতে পারবেন। 

মূলত এ ভাবনা থেকেই অ্যাম্বুলেন্সের সামনে শব্দটি উল্টো করে লেখা থাকে ।


এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তো নির্ধারিত সাইরেন রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজে বোঝা যায় । তাহলে এ লেখার কী দরকার ?

↪এক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের জরুরি অবস্থান বোঝাতে শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি উভয়কে কাজে লাগানোর জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।


🔯বি: দ্র: আপনি কখনো ড্রাইভারের আসনে থাকলে পেছনে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে জায়গা করে দিন । হয়তো তাতে কোন গুরুতর অসুস্থ বা আহত রোগীর জীবন বাঁচাতে আপনার ভূমিকা ফলপ্রসু হবে ।

আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। 

আইপি কি ?

আইপি কি ?

 আইপি কি ? 


ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত প্রতিটি ডিভাইস এ একটি ঠিকানা থাকে সেই ঠিকানাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে । IP এর পূর্ণ রুপ Internet Protocol যা নেটওয়ার্ক ডিভাইস গুলতে থাকে । আইপি অ্যাড্রেস ইন্টারনেট এ কানেক্টেড প্রতিটি ডিভাইসেই থাকে । এটি মুলোতো প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসকে ইন্টারনেটের মহাসমুদ্রে খুজে পেতে সহায়তা করে।


আইপি অ্যাড্রেস ৩২ বিট (IPv4 বা IP version 4, যেমন: 121.255.215.0 ) বিশিষ্ট  একটি নাম্বার যে কোন হোস্ট কম্পিউটার, পিন্টার কিংবা রাউটার খুজে পেতে সাহায্য করে । যেমন আপনি একটি বাড়ি তৈরি করেছেন আপনার বাড়ির ঠিকানা কেউ যদি না জানে, তবে আপনার বাড়িটিকে যেমন কেউ চিনবেনা। 

 একটি বাড়ির ঠিকানার মত ।  IPv4 এর প্রতিটি অংশ 0 থেকে 255 পর্যন্ত হয়, আসলে এটি 2^8= 256 , কিন্তু 0 থেকে শুরু হয় বলে 255 পর্যন্ত। IPv4  এর আইপি গুলো হয় 0.0.0.0  থেকে 255.255.255.255 পর্যন্ত।


কিন্তু সময়ের চাহিদায় এখন শুরু IPv4 ই যথেষ্ট নয় । আর তাই সময়ের চাহিদা মেটাতে এসেছে IPv6 । IPv6 IPv4 এর থেকে অনেক বেশি সংখ্যক এড্রেস তৈরি করতে পারে, 


উদাহরণস্বরূপ: 2001:0db8:0000:0042:0000:8a2e:0370:7334

 

র‍্যানসমওয়্যার এট্যাক কি ?

র‍্যানসমওয়্যার এট্যাক কি ?

 

র‍্যানসমওয়্যার এট্যাক কি ? 

- এর প্রতিকার!


প্রতিনিয়তই শুনতে পাই কারো না কারো কম্পউটারে র‍্যানসমওয়্যার এট্যাক  দিয়েছে। অনেক পোস্টও দেখেছি বিভিন্ন গ্রুপে, ফোরাম সাইটে আরো অনেকেই ইনবক্সে মেসেজও করেন । কিভাবে র‍্যানসমওয়্যার এট্যাক বাঁচা যাবে ।আপনারা হয়তো রিসেন্টলি কিছু প্রোজেক্টে বিড করলে ক্লায়েন্ট এসেই বড় একটা মেসেজ দিয়ে আপনাদেরকে “এন ডি এ (নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট)” বা এই টাইপের কথা বলে ফাইলটা ওপেন করতে বলেন । ক্লায়েন্ট এটাও বলে দেয়, “আপনার এন্টিভাইরাস এই ফাইল্টাকে ডিটেক্ট করতে পারে এর জন্য আপনার এন্টিভাইরাস কে ডিজেবল করে রাখবেন” । সাব্বাস হকার সব্বাস। :p


তাহলে কি আছে এই ফাইলের মধ্যে?

তাহলে বলি এর মধ্যে কি আছে। ফাইলটার মধ্যে আছে ম্যালওয়্যার আছে । এখন বলতে পারেন ম্যালওয়্যার আবার কি জিনিস? তালে চলুন জেনে আসিঃ


 ম্যালওয়্যার কি?

ম্যালওয়্যার একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যেটি থার্ড পার্টির সুবিধার জন্য ইউজারের অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য হস্তান্তর করতে পারে। এটি আপনার কম্পিউটারকে এট্যাক করে ও আপনার পিসিকে অকার্যকর করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি কোনো ম্যালওয়্যার সনাক্ত করেন তৎক্ষনাৎ আপনাকে এন্টিম্যালওয়ার ডাউনলোড করতে হবে। অনেক ধরনের ম্যালওয়্যার আছে । চলুন জেনে আসি সেগুলোর ব্যাপারে।


বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়্যারঃ

যদিও প্রত্যেক বছর মিলিওন রকমের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার হাজির হয়, এদেরকে কিছু শ্রেণীতে শেয়ার করা হয়। বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়্যারগুলো হলো ভাইরাস, ট্রোজান হর্স, ওর্মস, স্কেয়ারওয়্যার, রুটকিট ও স্পাইওয়্যার। ম্যালওয়্যার এর ব্যাপারে একটু বিস্তারিত জেনে আসি।


কম্পিউটার ভাইরাসঃ

কম্পিউটার ভাইরাস একটি প্রচলিত সাইবার থ্রেট । যেটা নিজেকে রেপ্লিকেট করে এবং ফাইল ও ফোল্ডার সমূহকে ডিলিট করে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো ফ্রী বা পাইরেটেড সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসটিতে ডাউনলোডেড হয় যার । এর পরে ইউজার এর পিসি থেকে কার্যক্রম শুরু করে দেয়।


ট্রোজান হর্সঃ

ট্রোজান হর্স একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যেটি স্বাভাবিক সফটওয়্যারের রূপ ধারণ করে অলক্ষিত অবস্থায় থাকে। এটি আপনার ডিভাইসকে স্লো বা অকার্যকর করে দিতে পারে।


ওর্মসঃ

ওর্মস হচ্ছে ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যেটি লোকাল ডিভাইসে, নেটওয়ার্ক শেয়ার এবং অনুরূপ জায়গায় নিজের কপি করে। এটি ইমেইল এটাচমেন্টের মাধ্যমে ডিভাইসে ঢুকতে পারে।


স্কেয়ারওয়্যারঃ

এটি ইউজারকে অনাকাঙ্খিত সফটওয়্যার কিনতে বা ডাউনলোড করতে প্রলোভন দেখায়। সাবধান! অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপনার ডিভাইসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।


এডওয়্যারঃ

এটি প্রোগ্রাম চলার সময় এডভার্টাইসিং ব্যানার প্রদর্শন করে। ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্সটল হতে পারে। অনেক কোম্পানি মার্কেটিং এর জন্য এটিকে ব্যবহার করে।


স্পাইওয়্যারঃ

ইউজারের পারমিশন ছাড়া স্পাইওয়্যার প্রোগ্রাম ডিভাইসে ইন্সটল হতে পারে। ইন্টারনেটে ইউজারের কার্যক্রম মনিটর করা এবং থার্ড পার্টির কাছে সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা এটির কাজ।


কিভাবে এটি একটি পিসিতে প্রবেশ করে?

ম্যালওয়্যার বিভিন্ন উপায়ে পিসিতে প্রবেশ করে যেমন স্প্যাম ইমেল, সংক্রামিত অপসারণযোগ্য ড্রাইভ এবং অনিরাপদ ওয়েব পেইজগুলির মাধ্যমে। সুতরাং আপনি যদি কোনও অনির্ভরযোগ্য সাইট থেকে কোনও সফটওয়্যার ডাউনলোড করেন, তবে এটি আপনার পিসিকে় সংক্রামিত করতে পারে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এটি একটি পিসিকে কিভাবে প্রভাবিত করে?


একবার যখন একটি ম্যালওয়ার কোনো ডিভাইসে ঢোকে, এটি অনেক অযাচিত কাজ করে। যেমন:

• পিসির গতি হ্রাস করে।

• একটি ওয়েব ব্রাউজারে যেসব ট্যাব খোলা থাকে সেগুলো বন্ধ করে দেয়।

• ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয়

• ওয়েবসাইটগুলির উইন্ডোতে অপ্রয়োজনীয় পপ-আপ দেখায়।


ম্যালওয়্যার রিমুভ করবেন কিভাবে?

একটি ম্যালওয়্যার অপসারণ করার জন্য, আপনার পিসিতে ক্লিনার ইনস্টল থাকা উচিত। উন্নত ম্যালওয়্যার ক্লিনার ফিচারযুক্ত একটি অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে স্ক্যান করতে এবং আপনার কম্পিউটারে লুকানো সংক্রমিত প্রোগ্রামগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। যদি আপনি আপনার পিসির জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষা চান তবে ফ্রি সংস্করণের পরিবর্তে অ্যান্টিভাইরাসগুলির একটি প্রিমিয়াম সংস্করণ নিন। অ্যান্টিভাইরাসের প্রিমিয়াম সংস্করণগুলি ম্যালওয়্যার দ্রুত সনাক্তকরণের জন্য অনেক উন্নত ফিচার-সমৃদ্ধ ম্যালওয়্যার স্ক্যানার বা অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সহ আসে।


স্ক্যানওয়্যার বনাম র‍্যানসমওয়্যারঃ

স্কেয়ারওয়্যার এবং রেনসওয়ওয়ারের মধ্যে মূল পার্থক্য হ’ল স্কেয়ারওয়্যারটি ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করবে যা ডেটা চুরি করতে ব্যবহৃত হবে যখন বিটকয়েনের মতো মুদ্রায় দাবি করা মুক্তিপণের পরিমাণের জন্য আপনার ডেটা এনক্রিপ্ট করতে এবং লক করে রাখতে ব্যবহার করা হয় ransomware। স্ক্যামাররা কঠোর উপার্জনযোগ্য নগদ এবং ব্যক্তিগত তথ্য থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চেষ্টা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। স্কেরওয়্যার এবং ransomware যেমন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এর মধ্যে একটির অপরটির চেয়ে গুরুতর বিষয়। তারা কীভাবে ব্যবহারকারীদের হুমকি দেয় তা দেখার জন্য উভয় সফ্টওয়্যার ঘনিষ্ঠভাবে দেখে নেওয়া যাক।


স্কয়ারওয়্যার কী?

স্কয়ারওয়্যারটি মূলত প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি দুর্বৃত্ত স্ক্যানার হিসাবেও পরিচিত। এই সফ্টওয়্যারটির মূল উদ্দেশ্য হ’ল এই সফ্টওয়্যারটি কেনার বা ইনস্টল করার ক্ষেত্রে লোকজনকে ভীতি প্রদর্শন করা। একটি ট্রোজান সফ্টওয়্যার একই পদ্ধতিতে, স্কয়ারওয়্যার ব্যবহারকারীদের পণ্য ডাবল-ক্লিক এবং ইনস্টল করতে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হয়। ভয়ঙ্কর পর্দা প্রদর্শন করার মতো কেলেঙ্কারী কৌশলগুলি আপনাকে দেখায় যে আপনার কম্পিউটারের আক্রমণ চলছে। স্কয়ারওয়্যার সিস্টেমের সমস্যার বার্তা এবং ভাইরাস সতর্কতার নকল সংস্করণ ব্যবহার করে। এই পর্দাগুলি নকল এবং বেশিরভাগ লোককে বোকা বানাবে। এই প্রদর্শনগুলির পরে, স্কয়ারওয়্যারটি নিজেকে কম্পিউটার অ্যাটাকের সমাধান হিসাবে একটি অ্যান্টিভাইরাস বলে দাবি করবে। রুজ স্ক্যানার এবং স্কয়ারওয়্যার বহু মিলিয়ন ডলারের কেলেঙ্কারী ব্যবসায়ের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। কোনও ব্যক্তি তার স্ক্রিনে প্রদর্শিত বোগাস ভাইরাস আক্রমণের কারণে স্কয়ারওয়্যার কেনার ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারী হতে পারে। হাজার হাজার ব্যবহারকারী এই কেলেঙ্কারীর জন্য প্রতিমাসে পড়ে। তারা মানুষের ভয় এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবকে ব্যবহার করে।


ব্যক্তিগত এবং ব্যাংকিং তথ্যের কীস্ট্রোক রেকর্ড করার প্রয়াসে স্কেরওয়্যার আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ করতে পারে। স্কয়ারওয়্যার আপনার কম্পিউটারটিকে স্প্যাম-প্রেরণকারী রোবট হিসাবে পরিবেশন করতে দূরবর্তীভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারে।


স্কয়ারওয়্যার কীভাবে এড়ানো যায়?

সন্দিহান এবং সচেতন হওয়া আপনাকে অনলাইন কেলেঙ্কারীগুলি এড়াতে সহায়তা করতে পারে। যখনই কোনও উইন্ডো আপনাকে ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে জিজ্ঞাসা করে তখনই সর্বদা বিনামূল্যে অফারগুলির প্রশ্ন করুন। বৈধ অ্যান্টিভাইরাস পণ্য ব্যবহার আপনাকে স্কয়ারওয়্যার এড়াতে সহায়তা করবে। সাধারণ পাঠ্যে ইমেল পড়াও সহায়তা করবে। যদিও এ জাতীয় উপায়ে পড়া সমস্ত গ্রাফিকগুলি অপসারণের সাথে প্রসাধনীভাবে সন্তুষ্ট নয় তবে এটি সন্দেহজনক লিঙ্কগুলি প্রদর্শন করতে সহায়তা করবে।


এছাড়াও, অপরিচিতদের কাছ থেকে ফাইল সংযুক্তিগুলি খোলার বিষয়টি এড়িয়ে চলুন। সন্দেহজনক সফ্টওয়্যার পরিষেবা খুলবেন না। সংযুক্তিগুলির সাথে আসা যে কোনও ইমেল অফারগুলিকে অবিশ্বাস করুন যেহেতু এই ইমেলগুলিতে সাধারণত স্প্যাম থাকে। এই জাতীয় বার্তাগুলি কম্পিউটারে সংক্রামিত হওয়ার আগে আপনার তাদের মুছে ফেলা উচিত। আপনার ব্রাউজারটি বন্ধ করতে এবং অনলাইন অফার সম্পর্কিত সন্দেহজনক হতে প্রস্তুত হন। আপনি যদি অ্যালার্মের কোনও ধারণা অনুভব করেন, তবে Alt এবং F4 বোতাম টিপলে আপনার ব্রাউজারটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোনও স্কয়ারওয়্যার ডাউনলোড হতে দেওয়া বন্ধ হবে stop


র‍্যানসমওয়্যার কী?

র‍্যানসমওয়্যার একটি দূষিত কোড ব্যবহার করে যা লক স্ক্রিন এবং ডেটা অপহরণ আক্রমণ চালানোর জন্য অপরাধীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের আক্রমণগুলির উদ্দেশ্যটি অন্যান্য আক্রমণের মতো নয়, আর্থিক। ক্ষতিগ্রস্থকে শোষণের বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং আক্রমণ থেকে কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হবে। অপরাধীর পরিচয় রক্ষার জন্য ভার্চুয়াল মুদ্রার আকারে অর্থ দাবি করা হবে।


ইমেল সংযুক্তি, সংক্রামিত বাহ্যিক স্টোরেজ, সংক্রামিত সফ্টওয়্যার এবং আপোসযুক্ত ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে র‍্যানসমওয়্যার ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে। লক স্ক্রিন আক্রমণে, ভুক্তভোগীর শংসাপত্রগুলি কম্পিউটার ডিভাইসে পরিবর্তিত হতে পারে। অপহরণকারী আক্রমণে, ম্যালওয়্যারটি সংক্রামিত ডিভাইস এবং সংযুক্ত নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলিতে ফাইলগুলি এনক্রিপ্ট করতে ব্যবহৃত হবে। ডিপ ওয়েবে উপলভ্য র‍্যানসমওয়্যার কিটগুলি মুক্তিপণ প্রোগ্রামগুলি ক্রয় করতে খুব কম চেষ্টা করে এবং আক্রমণ চালাতে সামান্য বা কোনও প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন অপরাধীদের সক্ষম করেছে। আক্রমণকারীরা এই পদ্ধতিগুলি ডিজিটাল মুদ্রা আমদানি করতে এবং তাদের ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে ডিজিটাল ডেটা রফতানি করতে ব্যবহার করবে।


ক্ষতিগ্রস্থরা একটি পপ-আপ স্ক্রিন বা ইমেল সতর্কতা গ্রহণ করবে যে ডিভাইসটি আনলক করতে বা ফাইলগুলি ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রাইভেট কীটি মুক্তিপণ প্রদান করা না হলে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভুক্তভোগীকে ভেবেও বোকা বানানো যেতে পারে যে সে অফিসিয়াল তদন্তের বিষয়। ভুক্তভোগীকে জানানো হবে যে ভুক্তভোগীর কম্পিউটারে অবৈধ ওয়েব বা লাইসেন্সবিহীন সফ্টওয়্যার পাওয়া গেছে। এটি কীভাবে বৈদ্যুতিন জরিমানা পরিশোধ করতে হবে তার নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে।


কীভাবে র‍্যানসমওয়্যার থেকে রক্ষা করবেন?

র‌্যানসমওয়্যার এবং সাইবার চাঁদাবাজির মতো আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিতভাবে অ্যান্টিভাইরাস জাতীয় সফ্টওয়্যার আপডেট করতে এবং আপনার কম্পিউটারকে ব্যাকআপ করার আহ্বান জানান। অপরিচিতদের ইমেলগুলি ক্লিক করার সময় এবং সংযুক্তিগুলি খোলার সময় শেষ ব্যবহারকারীদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যায় না। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার করার জন্য ব্যক্তি ও সংস্থাগুলি গ্রহণ করতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে। মূল স্টোরেজ পুলের বাইরে স্টোরেজ স্ন্যাপশট রাখার মতো কৌশল, কঠোর সীমাবদ্ধতা প্রয়োগ করা এবং বগি প্রমাণীকরণ সিস্টেমগুলি সহায়তা করবে।


সংক্ষিপ্তসার – স্ক্যানওয়্যার বনাম র‍্যানসমওয়্যারঃ

স্কয়ারওয়্যার এবং র‍্যানসমওয়্যার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শোষণের দুটি উপায়। স্কেয়ারওয়্যার এবং র‍্যানসমওয়্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ভর করে তারা কীভাবে আক্রমণ ব্যবহার করে; স্ক্যানওয়্যার আপনার ডেটা চুরি করে যেখানে র‍্যানসমওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারকে লক করে এবং মুক্তিপণের জন্য আপনার ব্যক্তিগত ডেটা এনক্রিপ্ট করে। উপরের আক্রমণগুলি থেকে নিরাপদ থাকতে সন্দেহজনক সাইটগুলি থেকে দূরে থাকুন, টরেন্ট ফাইলগুলি ডাউনলোড করবেন না বা সন্দেহজনক ইমেলগুলি খুলবেন না।


গবেষণা ও লেখাঃ এম এইচ মামুন।

Deepfake ভিডিও কি ?

Deepfake ভিডিও কি ?

 Deepfake ভিডিও কি  ?


বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ারর নতুন বিপদ হচ্ছে Deepfake ভিডিও এই Deep coder মাধ্যমে যে কাউকে যে কেউ ফাসিয়ে দিতে পারে।


সরাসরি বলেতে গেলে এক জনের চেহারা কে নকল করা এবং ভিডিও তৈরি করা।

সম্প্রতি এই ডিপ ফেক ভিতিও নিয়ে অনেক তোলপার চলছে সোশাল মিডিয়া গুলো।

সেই মানুষের নিরাপত্তার সংখ্যাও রয়েছে।

ডিপফেক ভিডিও আমি বা আপনার কাছে নতুন হলে ও এটা নিয়ে প্রযুক্তিরর দুনিয়ায় অনেক আলোচনা সমচলনা চলছে।


সে সাথে প্রযুক্তি বিদরা অনেক বেশি চিন্তায় রয়েছে এই টপিক টা নিয়ে।

আসলে এই ভিডিও টা কি?

আসলে এই ভিডিও হচ্ছে একটা কোড যা হ্যাকারা তৈরি করো ভিবিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ছেরে দিয়েছে।

তো এই ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে এক জনের চেহারে কে হুবোহু কপি করে নতুন একটা ভিডিও তৈরি করা যায়।সো আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার ভয়ের কারণ টা কি?


এই ডিপফেক কোডটা ব্যবহার করার কারণে আপনার চেহারা নকল করে ভিডিও তৈরি করা যেতে এবং সেই ভিডিও টি যদি হয় কোন হুম মূলক বা উসকানি মূলক ও সন্ত্রাসী কথাবার্তা মূলক কোন ভিডিও তাহলে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।অন্য সব মানুষ ভাববে যে আপনি এই ভিডিও টা করেছেন।সম্প্রতি ফেসবুক এবং টিকটক ফেকভিডিও কোডটি ছড়িয়ে পরেছে এবং অনেকের ভিডিও গুলো কিন্তু রিসেন্টলি পাবলিশ হয়েছে।

গুগোল এবং ইউটিউবে সার্চ করলে এই ভিডিও গুলো পেয়ে যাবেন।

যেমন:মার্ক জুকার বার্গ আছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আছে,পুতিন আছে,বারামোকা আছে আরো কত কে।

তো বুঝতে পারছেন এই ডিপফেক ভিডিও কোড এনে যে কেউের ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।


এই কারণে আমার নিরাপত্তা দরকার কারণ আমাদের যদি নিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করে তাহলে আমরা ও বিপদে পরে যেতে পারি।

সো ফেসবুক সম্প্রতি এই ডিপফেক ভিডিও কোডটি তাদের সার্ভার থেকে ব্যান করে দিয়েছে কিন্তু টিকটকে ডিপফেক ভিডিওটি বেশি ভাইরাল হয়ে গেছে।এছাড়াও অনন্যা ও সোশাল মিডিয়া ডিপফেক কোড টি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


এই কোড টি কোথাও ছড়িয়ে দিতে পারলে এই ফেকভিডিও তৈরি করা সম্ভব।

আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কে নিয়ে যদিও এমনি ভিডিও তৈরি হবে না তারপর ও এটা কে হেলায় ফেলায় দিতে পারি না।

এই ডিপফেক ভিডিও মূলত তৈরি হচ্চে মূলত বড় বড় সেলিব্রটি এবং রাজনিতি বিদ নিয়ে তৈরি হচ্ছে ও প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে।

এজন্য আমাদের কে নিয়েও যদি এমন ভিডিও তৈরি করে তাহলে আমরা ও কিন্তু ফেসে যেতে পারি।


যারা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তারা

এদিকে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে...!

ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে...!
ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে...!



ন্টারনেটের সবচেয়ে ভালো দিক হলো যে এখানে তথ্যের কোন অভাব নেই। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ থেকে শুরু করে কোটি কোটি ওয়েবপেইজ আপনি পাবেন ইন্টারনেটে যার প্রতিটিতেই রয়েছে কোন না কোন তথ্য। কিন্তু এর পাশাপাশি আরেকটি অন্যরকম দিকও রয়েছে আর যা হলো সেই তথ্যকে সঠিকভাবে খুঁজে বের করে না আনতে পারা। যখন আপনার কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে জানার দরকার হয়ে পড়ে তখন আপনি কিভাবে সেই কাঙ্খিত বিষ্যটি বের করে আনবেন ইন্টারনেট থেকে? সেই কাজে সহায়তা করার জন্যই জন্ম নিয়েছে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন। আসুন দেখা যাক ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে।
সবার আগে জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন আসলে কী? ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন হলো ওয়েবে বিশেষ কিছু সাইট যা ডিজানই করা হয়েছে অন্যান্য সাইটে যে জন্য জমা আছে সেগুলোকে খুজে সেই পেইজটি আইডেন্টিফাই করা এবং ইউজারের সামনে নিয়ে আসা। সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাজের ধরনে বেশ কিছু তফাৎ থাকলেও প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনকেই বেসিক তিনটি জিনিস করতে হয়।

১. সার্চ ইঞ্জিনগুলো ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে – অথবা কখনো কখনো ইন্টারনেটের বিশেষ অংশে যেমন কেবলমাত্র বিশেষ কিছু ডমেইন নেমের ভিত্রে।
২. সার্চ ইঞ্জিনগুলো যেসব শব্দ খুজে পায় তার একটি ইন্ডেক্স নিজের কাছে জমা রাখে এবং কোথায় পেলো সেটিও সংরক্ষন করে থাকে।
৩. এরা ইউজারকে সেই শব্দ বা শব্দমালার কম্বিনেশনে সার্চ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে।

আগের দিনে একটি সার্চ ইঞ্জিন হয়তো কয়েকহাজার পেইজ ও ডকুমেন্ট ইন্ডেক্স নিয়ে তৈরী হতো এবং সারা দিনে হয়তো এক কি দুই হাজার ইনকয়ারি পেতো। কিন্তু বর্তমান দিনে সার্চ ইঞ্জিনের ইন্ডেক্স সংখ্যা শত মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে এবং কোয়ারির সংখ্যা প্রতিদিনের হিসাবে মিলিয়ন।

যখনই ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন শব্দটি বলা হয় তখন তার অর্থ করা হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনের কথা। এমনকি যখন ইন্টারনেটে ওয়েব তত বিস্তৃতি লাভ করেনি তখনও সার্চ ইঞ্জিন ছিলো। এগুলো ছিলো প্রোগ্রামের মতো যেমন গোফার এবং আর্চি যেগুলো সার্ভারে যেসব ফাইল থাকতো তার ইন্ডেক্স জমা রাখতো যা ব্যবহার করে ইন্টারনেটে যেকোন প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্ট খুজে বের করার সময় অনেক সাশ্রয় করা যেতো।১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে গোফার, আর্চি, ভেরোনিকা ইত্যাদি ব্যবহার করা খুব প্রচলিত একটি ইন্টারনেট অভ্যাসের ভিতরে ছিলো। আজকাল সার্চ করার কৌশন তখনকার দিক থেকে বেশ কিছুটা পাল্টে গেছে এবং এখন থেকে বেশ কিছুটা পাল্টে গেছে এবং এখন মূলত ওয়েব পেইজের কনটেন্ট কি তার উপরেই বেশী সার্চ করা হয়ে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে আমরা কি দেখতে পাই? বেশ কিছু রেজাল্ট সম্বলিত ওয়েবপেইজের বা ওয়েব এ্যাড্রেসের ঠিকানা। কিন্তু আমরা যে বিষয়ে সার্চ করতে আগ্রহী তা পাওয়ার আগে নিশ্চয়ই সেটিকে খুজে বের করতে হয় হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ ওয়েব পেইজের ভিতর থেকে তথ্য খুজে বের করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো কাজে লাগায় বিশেষ সফটওয়্যার রোবট যাদেরকে ডাকা হয় স্পাইডার নামে। এই স্পাইডারগুলো যা করে তা হচ্ছে ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত শব্দগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করে। যখন স্পাইডারগুলো এই লিস্ট তৈরী করে সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ওয়েব ক্রলিং। কাজের একটি লিস্ট তৈরী করতে সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডারগুলোকে প্রচুর ওয়েবপেইজে খোজার কাজটি করতে হয়।

কিভাবে একটি স্পাইডার ওয়েবে তার যাত্রা শুরু হবে? সাধারনত যেসব সার্ভার এবং যেসব পেইজ খুব বেশী মাত্রায় একসেস হয়ে থাকে সেগুলোকেই স্পাইডাররা তাদের মূল ও প্রথম টার্গেট করে। স্পাইডার প্রথমে একটি জনপ্রিয় সাইট থেকে শুরু করে এবং সেই পেইজের সব শব্দকে তার ইন্ডেক্সে এন্ট্রি করে, তার সাথে সাথে এটি যত লিঙ্ক আছে সেগুলোকেও অনুসরন করে। এভাবে আরম্ভ করে স্পাইডারগুলো সম্পূর্ণ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে তাদের সার্চ সম্পন্ন করে থাকে।

গুগল (www.google.com) নামের একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এই সার্চ ইঞ্জিনটি মূলত যাত্রা শুরু করে একটি এ্যাকাডেমিক সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে। তাদের স্পাইডারগুলো খুবই দুত কাজ করতে পারে। এই সার্চ ইঞ্জিনের স্রষ্টা দুইজন সার্গেই ব্রিন এবং লরেন্স পেইজ। তারা প্রথমে যে সিস্টেমটি তৈরী করে সেখানে একের অধিক স্পাইডার ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি স্পাইডার এক সাথে ওপেন আছে এরকম ৩০০ কানেকশন ধরে রাখতে পারে। তাদের সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সের সময়ে চারটি স্পাইডার সিস্টেমে ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ১০০টি ওয়েব পেইজে ক্রল করে প্রতি সেকেন্ড ৬০০ কিলোবাইট ডাটা সংগ্রহ করে থাকে। সবকিছু খুব দ্রুত করার লক্ষে এমন একটি সিস্টেম ডিজাইন করা জরুরী যেটা স্পাইডারকে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত সরবরাহ করতে পারে। প্রথম দিকে গুগল সিস্টেমটিতে একটি সার্ভার থাকতো যেটি স্পাইডারগুলোকে ওয়েব ঠিকানা বা ইউআরএল প্রদান করতো। কিন্তু এতে ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সার্ভারের জন্য নির্ভর করতে হতো কোন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের উপরে। এজন্য এখন গুগল নিজস্ব একটি ডিএনএস ব্যবহার করে সময় গ্যাপ আরো কমিয়ে এনেছে।

গুগলের স্পাইডার যখন একটি এইচটিএমএল ওয়েবপেইজ এ চোখ বোলায় তখন দুইটি জিনিসের নোট নেয়।
প্রথমত পেইজের ভিতরে যে শব্দগুলো আছে সেগুলো এবং কোথায় এই শব্দগুলো পাওয়া গেছে। একজন ইউজার যখন সার্চ করে থাকে তখন সার্চ ইঞ্জিন মূলত টাইটেল, সাবটাইটেল এবং মেটাট্যাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়াগায় প্রথমে শব্দগুলো সার্চ করে। গুগল স্পাইডারকে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে প্রতিটি পেইজের কেবলমাত্র a, an, the, or ইত্যাদি শব্দ বাদ দিয়ে বাকি সব গুরুত্বপূর্ণ শব্দকে ইন্ডেক্স করে। তবে অন্যান্য স্পাইডার ভিন্ন পন্থায় কাজ করতে পারে।

ভিন্ন ভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের ভিন্ন ভিন্ন স্পাইডারের কাজের ভিন্ন পন্থার পেছনে মূল কারন হচ্ছে কত দ্রুত একটি সার্চ সম্পন্ন করা যায় সেই প্রচেষ্টা। কেউ কেউ ইউজারকে খুব নিখুত সার্চ রেজাল্ট দিতে প্রাধান্য দেয় আবার কেউ কেউ চায় দ্রুত সার্চ রেজাল্ট দেওয়া। লাইকস (www.lycos.com) ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনটি অন্য একটি পন্থায় সার্চ করে। এগুলো হেডিং, সাবহেডিং, লিঙ্ক সহ পেইজের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ১০০টি শব্দকে গ্রহন করে এবং প্রথমে ২০ লাইন টেক্সট থেকে শব্দগুলো নেয়। আলতাভিস্তা (www.altavista.com) নামের সার্চ ইঞ্জিনটি আবার প্রতিটি পেইজের সব শব্দকেই ইন্ডেক্স করে। এমনকি a, an, the পর্যন্ত। তারপরে এগুলো মেটাট্যাগগুলোর উপরে তাদের সার্চ রেজাল্টের জোর দেয়।

মেটাট্যাগের কৌশল:
যখন একটি ওয়েবপেইজ কেউ তৈরী করে তখন মেটাট্যাগ নামের কোড অংশে ইউজার সাধারনত তার পেইজ এর কী-ওয়ার্ড বা প্রধান শব্দগুলো রেখে দেয় যার উপরে ভিত্তি করে সেগুলোকে পরে বাছাই করা যায়। মেটাট্যাগগুলোই সার্চ ইঞ্জিনকে পরিচালিত করে কোন ওয়েবপেইজটি কি সে সম্পর্কে। কখনো কখনো কোন কোন মেটাট্যাগ ওয়েব ডেভলপার এমন সব শব্দ নিয়ে দেয় যা তার কনটেন্টের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন নয়। এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবপেইজের সাথে মেটাট্যাগের শব্দগুলো মিলিয়ে দেখে থাকে। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় মেটাট্যাগ কী-ওয়ার্ড স্পাইডার ইগনোর করে থাকে।

ইন্ডেক্স তৈরী করা:
যখনই একটি স্পাইডার কোন ওয়েবপেইজের তথ্য খুজে বের করার কাজটি সম্পন্ন করে তখন এটিকে জমা করার প্রয়োজন হয়। আসলে ইন্টারনেটের প্রকৃতি এমন যে এতে স্পাইডারগুলোর কাজ কখনোই শেষ হয় না, এগুলো সবসময়ই ক্রল করে নতুন ওয়েবপেইজ থেকে তথ্য বের করতে থাকে। তারপরেও যখন কিছু তথ্য জমা হয়ে যায় তখন তথ্যকে এমনভাবে জমা রাখতে হয় যাতে সেগুলো ভবিষ্যতে কাজের উপযোগীভাবে পাওয়া যায়। সাধারনত ইউজারকে জেনারেটেড ডাটা পাওয়ার জন্য দুইটি প্রসেস গুরুত্বপূর্ণ। এক হলো যে তথ্য জমা হয় তা, দুই হলো যে পদ্ধতিতে তথ্যকে ইন্ডেক্স করা হয় সেটি।

একদম সহজ ভাষায় চিন্তা করলে একটি সার্চ ইঞ্জিন ওয়েব ইউআরএল বা ঠিকানার সাথে শব্দগুলো জমা রাখতে পারে। কিন্তু এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার সীমিত হয়ে যেত। এর ফলে জানা যাবে না যে শব্দগুলো বারবার খোঁজা হয়েছে কি না, সাইটটিতে আরো লিঙ্ক আছে কিনা ইত্যাদি। এর ফলে সহজেই একটি রেংকিং তৈরি করা যাবে যার ফলে সার্চ রেজাল্টগুলোকে সাজানো যায়। এ কারণে সার্চ রেজাল্টকে আরো অর্থপূর্ণ করতে এন্ট্রিগুলোকে নিজস্ব ওয়েট বা গুরুত্ব অনুসারে সাজানো হয়। যেসব শব্দগুলো ডকুমেন্টের শুরুতে থাকে বা মেটাট্যাগে থাকে তা রাখা হয় আগে। প্রতিটি কমার্সিয়াল সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব পন্থায় এই কাজটি করে থাকে। যত নিখুঁত কম্বিনেশনে এই তথ্য রাখা হোক না কেন সার্চ ইঞ্জিনগুলো সব ডাটাকেই জমা রাখার জন্য এনকোড করে থাকে যাতে জায়গা সাশ্রয় করা যায়। তথ্যকে কম্প্যাক্ট করার পরে তা ইন্ডেক্সের জন্য প্রস্তুত হয়। একটি ইন্ডেক্সের উদ্দেশ্য প্রধানত একটি, তা হলো তথ্যকে দ্রুত খুজে পাওয়া। অনেক উপায়েই ইন্ডেক্স তৈরি করা হয় যার ভিতরে একটি কার্যকর উপায় হলো হ্যাশ টেবিল তৈরি করা। হ্যাশিং পদ্ধতিতে একটি সূত্র ব্যবহার করে প্রতিটি শব্দকে সংখ্যা দিয়ে রিপ্রেজেন্ট করা হয়। এর ফলে এন্ট্রিকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভাগে ভাগ করা হয়। এই নিউম্যারিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশন এ্যালফাবেটিক ডিস্ট্রিবিউশন থেকে আলাদা এবং এটাই হ্যাশ টেবিলের কার্যকরতার মূল। উদাহরণ স্বরূপ ইংরেজী ভাষায় এম অক্ষরের শব্দ সংখ্যা এক্স অক্ষরের শব্দ সংখ্যার চাইতে অনেক বেশী। এভাবে দেখা যায় কোন কোন শব্দের এন্ট্রি অনেক বেশী, আবার কোন কোন অক্ষরের এন্ট্রি অনেক কম। এই সমস্যাটিই হ্যাশ টেবিল সমাধান করে থাকে যেখানে ডিস্ট্রিবিউশন হয় সমান।

সার্চ গড়ে তোলা:
প্রথমে একজন ইউজারকে কোন বিষয়ে সার্চ করার জন্য একটি কোয়্যারি বা প্রশ্ন পাঠাতে হয় প্রশ্নটি একটি শব্দেরো হতেপারে যার মানে হলো সার্চ ইঞ্জিনকে প্রশ্ন করা সেই বিষয়ে কি জানে। আবার কোয়্যারি হতে পারে জটিল যার জন্য বুলিয়ান অপারেটর ব্যবহার করে সার্চ করা যেতে পারে। কিছু বুলিয়ান অপারেটর যেমনঃ
AND, OR, NOT, FOLLOWED BY, NEAR, Quotation Marks ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করে সার্চ কোয়্যারিকে অনেক রিফাইন করা যায়। কোন কোন সার্চ ইঞ্জিনে বিল্টইন বুলিয়ান সাপোর্ট থাকে, কোন কোনটিতে আবার বুলিয়ান ইগনোর করে।

ভবিষ্যতের সার্চ:
যতই দিন যাচ্ছে ততই সার্চ ইঞ্জিন কৌশল আরো নিখুঁত হচ্ছে। এখনও অনেক সার্চ ইঞ্জিন যে সার্চ রেজাল্ট প্রদান করে থাকে তার ভিতরে প্রচুর রেজাল্ট পাবেন যা আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়ের নয়। গবেষণা চলছে কিভাবে এই সীমাবদ্ধগুলো দূর করা যায়। একই শব্দের অনেকগুলো মানে থাকার কারনেও এই ধরনের বিপত্তি দেখা দেয় সার্চ করার সময়ে।

কনসেপ্ট বেইজড সার্চিং নামের একটি কৌশলের উপরে ভবিষ্যতে ওয়েবসার্চ জোর দেওয়া হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এক্ষেত্রে স্ট্যাটিস্টিক্যাল এনালাইসিস প্রয়োগের কথা চিন্তা করা হচ্ছে যেসব ওয়েবপেইজ পাওয়া যাবে তার উপরে। যার ফলে সঠিক ওয়েবসাইট বের করার সম্ভাবনাকে আরো বাড়ানো যাবে। আরেকটি দল অবশ্য চেষ্টা চালাচ্ছে কিভাবে পারফর্মেন্স এবং রেজাল্ট একইসাথে বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়া ন্যাচারাল-ল্যাঙ্গুয়েজ কোয়্যারী নামেও আরেকটি ক্ষেত্রে গবেষণা চলছে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে। এক্ষেত্রে আমরা সাধারনভাবে যেভাবে আরেকজনকে প্রশ্ন করি কোন বিষয় নিয়ে সেরকম কোয়্যারী দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনকে ব্যবহার করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এরকম একটি সার্চ ইঞ্জিন হলো www.askjeeves.com। ন্যাচারাল-ল্যাঙ্গুয়েজ কোয়্যারীর ফলে অনেক জটিল কোয়্যারীও সার্চ ইঞ্জিনকে দেওয়া সম্ভব।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু সার্চ ইঞ্জিন:
Altavista www.altavista.com
Dogpile www.dogpile.com
Excite www.excite.com
Go www.go.com
Google www.google.com
HotBot www.hotbot.com
Looksmart www.looksmart.com
Lycos www.lycos.com
Mamma www.mamma.com
Web Crawler www.webcrawler.com
Yahoo www.yahoo.com


লেখকের নাম – সাদিক মোহাম্মদ আলম

USB killer - কম্পিউটার ঘাতক!

USB killer - কম্পিউটার ঘাতক!
USB killer - কম্পিউটার ঘাতক



একটি ইউএসবি কিলার এমন একটি ডিভাইস যা একটি পেন ড্রাইভ বা কার্ড রিডার এর মত দেখতে। এটি যখন কোনও ডিভাইসে কানেক্ট করলে এটি ওই ডিভাইস এ উচ্চ-ভোল্টেজ শক্তি প্রেরণ করে যা হার্ডওয়্যার গুলিকে নষ্ট করতে পারে সেকেন্ডে ।

কিভাবে কাজ করেঃ

ডিভাইস টিতে একাধিক ক্যাপাসিটর থাকে যা যখন কম্পিউটার বা ফোনের সাথে যুক্ত হয় তখন এই ক্যাপাসিটর গুলো চার্জ করে নিজেদের ৫ ভোল্ট ডিসি কারেন্ট থেকে এবং এই ৫ ভোল্টের কারেন্ট কে ২২০ ডিসি ভোল্ট করে ছড়িয়ে দেয় ওই কম্পিউটারে, কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড সাথে সাথে নষ্ট করে।

আর যেসব ডিভাইস কে নষ্ট করতে না পারে তাদের ওই usb পোর্ট নষ্ট হয়ে যায়। সেটা ফোন হোক কিংবা কম্পিউটার।

এখনকার উন্নত ডিভাইস যেমন ম্যাক বুক, এইফোন, স্যামসাং, ওয়ান প্লাস কিংবা টেসালা গাড়ি গুলোতে তারা ফিউজ ব্যবহার করে কিন্তু তবুও ইউএসবি পোর্ট টি নষ্ট হয়ে যায়।

স্মার্ট টিভি, গাড়ীর কম্পিউটার সিস্টেম , এক্সবক্স, প্লে স্টেশন, কম্পিউটার যেসব কিছুতে ইউএসবি পোর্ট থাকে সব কিছু নষ্ট করে দিতে এর সর্বোচ্চ ৩-৪ সেকেন্ড সময় নেয় । আর একবার এ যদি নষ্ট না হয় ডিভাইস তবে এটি ততক্ষণ এই ২২০v দিতে থাকে যতক্ষণ এর মাদারবোর্ড নষ্ট হয়ে মাদারবোর্ড ইউএসবি পোর্টে পাওয়ার দেয়া বন্ধও না করে৷

বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় পেন-ড্রাইভ পেলেই নিয়ে আগে চেক করতে যায়। সাবধান এটির সাথে সাধারণ পেন ড্রাইভ এর কোনও পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। কারণ usb killer এর সার্কিট টি এতো ছোট যে এটি যেকোনো পেন ড্রাইভ বা কার্ড রিডার এর জায়গায় ফিট হতে পারে।

কত টা ভয়ানকঃ

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে, ভারতের সেন্ট রোজ কলেজের ২৭ বছর বয়সী প্রাক্তন ছাত্র, বিশ্বনাথ আকুটোটা তার USB killer ব্যবহার করে তাঁর কলেজের ৫৯ টি কম্পিউটার নষ্ট করেছিল। , যার ফলে 50,000 ডলার এরও বেশি ক্ষতি হয়েছিল।সে সাতটি কম্পিউটার মনিটর ও নষ্ট করেছিলে। তাকে আগস্ট ২০১৯ এ তাকে ১২ বছরের জন্য জেল দেয়া হয়, যদিও $ 58,471 ডলার ক্ষতি পূরণ দিয়ে যদিও তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

Collected

যেভাবে কাজ করে মাইক্রোপ্রসেসর..!

যেভাবে কাজ করে মাইক্রোপ্রসেসর..!
যেভাবে কাজ করে মাইক্রোপ্রসেসর..!



কম্পিউটার যে কাজ করে থাকে তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যার সেটি হলো প্রসেসর। প্রসসরের ভূমিকার কারণেই একটি কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারের চাইতে বেশি গতিসম্পন্ন। বিগত অল্প সময়ের ভেতরে প্রসেসর দুনিয়ায় যে পরিমাণ উন্নতি হয়েছে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। নিত্য নতুন প্রজন্মের প্রসেসর এখন জায়গা করে নিচ্ছে কম্পিউটারে ইতিহাসে। খুব অল্প সময়ের ভেতরে গিগাহার্জ মাইলফলকগুলো পার হয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টেল, এএমডি। প্রসেসরের গতির ক্ষেত্রে ১ গিগাহার্জ এক সময়ে বিশাল এক অর্জন মনে হলেও এখন ৩ গিগাহার্জের প্রসেসরের কাছে সেই সাফল্য ইতিহাস মাত্র। নতুন প্রজন্মের প্রসেসর বলতে এখন বোঝা হয় ইন্টেল থেকে পেন্টিয়াম ফোর এবং এএমডি থেকে এথলন এক্সপি। গতির প্রতিযোগিতায় এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামনে এগিয়ে চলছে বিপুল বেগে। জেনে নেয়া যাক প্রসেসরের অন্তর্নিহিত প্রযুক্তি।
কম্পিউটার যে কাজ করে থাকে তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যার সেটি হল প্রসেসর। যে কোনো মাইক্রোপ্রসেসর একটি নির্ধারিত মেশিন ইন্সট্রাকশনের সেট ব্যবহার করে অত্যন্ত সূক্ষ্মও স্পর্শকাতর অপারেশন করে থাকে। ইন্সট্রাকশনের ভিত্তিতে, মাইক্রোপ্রসেসরের কাজকে তিনভাগে ভাগ করা হয়।
১. ALU (Artimetic Logic Unit) ব্যবহার করে মাইক্রোপ্রসেসর যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের মতো গাণিতিক অপারেশনগুলো সম্পাদন করে। আধুনিক মাইক্রোপ্রসেসরে স্বয়ংক্রিয় Floating point processor থাকে যার মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘ দশমিক সংখ্যার অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।
২. মাইক্রোপ্রসেসরের এক মেমোরি লোকেশন থেকে অন্য লোকেশনে ডাটা সরানোর কাজ করে থাকে।
৩. মাইক্রোপ্রসেসর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এবং এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ইন্সট্রাকশন সম্পন্ন করে।
এবারে আসুন, পাশের ডায়াগ্রাম থেকে মাইক্রোপ্রসেসরের নিম্নলিখিত অংশসমূহকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
৮.১৬ অথবা ৩২ বিট প্রশস্ত Address bus মেমোরিতে Address পাঠানোর কাজ করে থাকে।
৮.১৬ এবং ৩২ বিট প্রশস্ত Data bus মেমোরি ডাটা পাঠায় এবং মেমোরি থেকে ডাটা গ্রহণ করে।
RD (Read) এবং WR (Write) লাইন মেমোরিতে Address নির্ধারন করার অথবা Address কৃত লোকেশন জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
Clock লাইন প্রসেসরকে clock পালস প্রদান করে।
Reset লাইন প্রোগ্রাম কাউন্টারকে শূন্যতে Reset করে এবং পুনরায় যথারীতি ইন্সট্রাকশনসমূহ সম্পাদন করে।
Address bus এবং Data bus উভয়কে ৮বিট প্রশস্ত বলে ধরে নেয়া যাক। তাহলে একটি অত্যন্ত সরল মাইক্রোপ্রসেসরে অংশগুলোকে হয়তো এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
রেজিস্টার A, B, C ফ্লিপফ্লপ দ্বারা তৈরি কতগুলো অত্যন্ত সাধারণ ল্যাচ।
Address ল্যাচ রেজিস্টার A, B, C –এর অনুরূপ কাজ করে।
প্রোগ্রাম কাউন্টার এমন এক ধরনের ল্যাচ যা নিজেই নিজের কাউন্টারের মান ১ বাড়াতে পারে কিংবা কাউন্টারের মান ‘০’ তে Reset করতে পারে।
ALU একটি সাধারণ ৮বিট Address –এর মতো কেবল ৮ বিট সংখ্যা যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে পারে।
টেস্ট রেজিস্টার একটি ব্যতিক্রমী ল্যাচ যা ALU কর্তৃক তুলনাকৃত বিভিন্ন মান ধারণ করে। ALU সাধারণত দুটি সংখ্যা তুলনা করে বং সংখ্যাদ্বয় সমান, কিংবা একটি অপরটির চেয়ে বড় বা ছোট কি-না তা নির্ধারণ করে। টেস্ট রেজিস্টার Adder অপারেশনের শেষ ধাপে উৎপন্ন Carry বিটও ধারণ করে। টেস্ট রেজিস্টার ফ্লিপফ্লপে এই মানগুলো জমা করে এবং ইন্সট্রাকশন ডিকোডার এই মানগুলো ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উপরের ছবিতে ৬টি বক্সকে (3-State) নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বক্সগুলো ট্রাই-টেস্ট বাফার। একটি ট্রাই স্টেট বাফার ‘এক’ অথবা ‘শূন্য’ প্রবাহিত করতে পারে অথবা প্রয়োজনে এটি আউটপুট থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। একটি ট্রাই স্টেট বাফার অনেকগুলো আউটপুট একটি তারের সাথে সংযোগের ব্যবস্থা করে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি সংযোগেই ‘এক অথবা ‘শূন্য’ প্রবাহিত হয়।
ইন্সট্রাকশন রেজিস্টার এবং ইন্সট্রাকশন ডিকোডার মাইক্রোপ্রসেসরের সমস্ত অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ইন্সট্রাকশন ডিকোডার বেশ কিছু কন্ট্রোল লাইন রয়েছে। নিচে কন্ট্রোল লাইনগুলোর কাজের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো-
প্রোগ্রাম কাউন্টারের মান ‘১’ বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেয়।
প্রোগ্রাম কাউন্টারের মান ‘শূন্য’-তে স্থির করার নির্দেশ দেয়।
ছয়টি ট্রাই স্টেট বাফারের যে কোনো একটিকে সক্রিয় করে।
ALU কে পরবর্তী অপারেশনের নির্দেশ দেয়।
RD লাইনকে সক্রিয় করে।
WR লাইনকে সক্রিয় করে।
মাইক্রোপ্রসেসর ইন্সট্রাকশন সেট
অসম্ভব রকমের সাধারণ একটি মাইক্রোপ্রসেসরেরও বিশাল ইন্সট্রাকশন সেট থাকতে পারে। ইন্সট্রাকশনগুলো কতগুলো বিট প্যাটার্ন আকারে প্রয়োগ করা হয়। যখন এটি ইন্সট্রাকশন মাইক্রোপ্রসেসরের ইন্সট্রাকশন রেজিস্টারে লোড হয়, তখন এক একটি ইন্সট্রাকশনের বিট প্যাটার্ন এক এক ধরনের অর্থ বহন করে। বিভিন্ন বিট প্যাটার্নের এই ইন্সট্রাকশনগুলোকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য এবং অত্যন্ত সহজ ইন্সট্রাকশনকে শব্দাকারে উপস্থাপন করা হলো-
LOADA mem মেমোরি এড্রেসের মানকে A রেজিস্টারে লোড করে।
LOADA mem মেমোরি এড্রেসের মানকে B রেজিস্টারে লোড করে।
ConB Con-B রেজিস্টারে একটি ধ্রুব সংখ্যা লোড করে।
SAVEC mem-B রেজিস্টারে মানকে মেমোরি লোকেশনে সেভ করে।
SAVEC mem-C রেজিস্টারের মানকে মেমোরি লোকেশনে সেভ করে।
ADD রেজিস্টার A ও B –এর মানদ্বয়কে যোগ করে যোগফল C রেজিস্টারে রাখে।
MUL রেজিস্টার A ও B –এর মানদ্বয় তুলনা করে এবং যোগফল রেজিস্টার C –তে রাখে।
Jump addr একটি এড্রেসে জাম করে।
Stop এক্সিবিউশন বন্ধ করে।
ইতিহাস
জানেন কি আজকের পারসোনাল কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ, অর্থাৎ আইবিএম পার্সোনাল কম্পিউটার প্রথম কত প্রসেসর স্পিডের ছিলো?
প্রথম আইবিএম পিসিটির স্পিড ছিলো ৪.৭৭ মেগাহার্জ। এটিতে ইন্টেলের ৮০৮৮ মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়। ১৬ কিলোবাইটের মেমোরি, ১৬০ কিলোবাইটের ফ্লপি আর সাদাকালো একটি মনিটর, এই ছিলো সেই কম্পিউটারের সব কিছু। দামের কথা যদি বলা হয় তবে মাথা ঘুরে যাবে। মার্কিন ডলারে ১৯৮১ সালে পার্সোনাল পিসির দাম ছিলো ১৫৬৫ ডলার, যার আজকের মূল্য হতো ৪০০০ ডলারের সমপরিমাণ। টাকায় হিসেব করলে প্রথম আইবিএম পিসির দাম আজকের টাকায় দুই লাখ ষাট হাজার টাকা।
পরিভাষা
ক্লক স্পিড
অন্য আরেকটি নাম ক্লক রেট। এটি হলো মাইক্রোপ্রসেসরের ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশমালা এক্সিকিউট করার গতি। প্রতিটি কম্পিউটারের ভেতরে একোটি ইন্টারনাল ক্লক থাকে যেটি বিভিন্ন ইন্সট্রাকশন এক্সিকিউট করে থাকে এবং বিভিন্ন কম্পোনেন্টের ভেতরে সিঙ্গোনাইজেশন ঘটায়। ক্লক স্পিডকে সাধারণত মেগাহার্জ বা গিগাহার্জে প্রকাশ করা হয়। এক মেগাহার্জ অর্থ প্রতি সেকেন্ডে ১ মিলিয়ন সাইকেল। সিপিইউর মতো কম্পিউটারের এক্সপ্যানশন বাসগুলোরও নিজস্ব ক্লক স্পিড আছে।
ফ্লিপ–ফ্লপ
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো এক ধরনের স্মৃতি বর্তনী এটি ০ অথবা ১ এই দুটি লজিক্যাল অবস্থার যে কোনো একটিকে সংরক্ষণ করতে পারে। সেজন্য এটি দু স্থায়ী বা বাইস্টেবল নামে পরিচিত। ট্রানজিস্টর অথবা ইলেক্ট্রনিক্স টিউব দিয়ে এটি তৈরি করা সম্ভব।
ল্যাচ
এটি একটি প্রাথমিক ফ্লিপ-ফ্লপ সার্কিট এই বর্তনীর নির্গমণ মুখের দুটি অবস্থাকে সেট এবং রিসেট বলা হয়। ল্যাচ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ হলো দরজার হুড়কো। দরজা বন্ধ করে হুড়কো লাগালে দরজা বন্ধ অবস্থায় থাকে। আবার হুড়কো খুলে দরজা খোলা অবস্থায় রাখা সম্ভব। তেমনি ল্যাচ বর্তনীর সেট অবস্থায় ১ এবং রিসেট অবস্থায় ০ যুক্তি সংরক্ষণ করে। তাই এ বর্তনী ল্যাচ নামে পরিচিত।
বেঞ্চমার্ক
বেঞ্চমার্ক বলতে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার (বা সফটওয়্যার) পারফরমেন্স তুলনা করার জন্য কিছু বিশেষ টেস্ট বা পরীক্ষাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে হতে পারে প্রসেসর বেঞ্চমার্কিং যাতে কিছু নির্দিষ্ট ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশমালা প্রসেসরের উপরে চালানো হয় এবং তা কত দ্রুত সম্পাদন হয় তা দেখা হয়। এই ফলাফল কিছু স্ট্যান্ডার্ড প্রসেসরের ফলাফলের সাথে তুলনা করে গ্রাফ বা অনুরূপ কোনোভাবে বেঞ্চমার্ক রেজাল্ট করা দেওয়া হয়।

ঈদ মোবারক..!

ঈদ মোবারক..!
ঈদ মোবারক ,  স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি ,  নিজে সুরক্ষিত থাকি , অন্যকে সুরক্ষিত রাখি!! 
প্রত্যেকটা মুহুর্ত আনন্দময় হোক!