বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অজানা তথ্য !
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অজানা তথ্য।
সারা দুনিয়াজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন এই গুগল এবং অনেকের কাছেই এটি তাদের ইন্টারনেট কার্যক্রমে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। গুগল অবশ্য এখন আর শুধুই একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়, এক বিশাল প্রযুক্তি কোম্পানি।
গুগল সম্পর্কে জেনে নিন ২১টি তথ্য – যা হয়তো আপনার অজানা ছিল, অবশ্য যদি আপনি ইতোমধ্যেই এই তথ্যগুলো জেনে নিয়ে না থাকেন!
১.প্রথমটিতে হয়তো বিস্মিত হবার তেমন কিছু নেই। গুগুল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড ওয়েবসাইট, অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই এই ওয়েবসাইটটিতে অন্তত একবার ঘুরে গেছেন।
২. গুগল শুরু করেছিলেন দু’জন কলেজ ছাত্র দিয়ে – তাদের নাম ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন। তারা চেয়েছিলেন এমন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে – যার মাধ্যমে অন্য ওয়েবপেজগুলোর একটা তুলনামূলক তালিকা করা যাবে। এর ভিত্তি হবে অন্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে কতগুলো তাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন ।
৩. গুগল শব্দটা উৎপত্তি ‘গুগোল’ (googol) থেকে – যা একটি বিশেষ সংখ্যার নাম। সংখ্যাটা হলো : ১ এর পিঠে ১০০টা শূন্য বসালে যা হয় – তাই। কেন এই নাম বেছে নিয়েছিলেন ল্যারি আর সের্গেই? তাদের ওয়েবসাইট যে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত ঘাঁটাঘাঁটি-অনুসন্ধান করবে – সেটাই এই নাম দিয়ে বোঝাতে
চেয়েছিলেন তারা।
৪. প্রথম গুগল ডুডল – অর্থাৎ গুগলের হোম পেজে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা দিনের স্মারক হিসেবে যে ছবি ব্যবহৃত হয় – তা তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, বার্নিং ম্যান নামের একটি উৎসব উদযাপনের জন্য। গুগলেল প্রতিষ্ঠাতারা ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেবেন যে কেন তারা অফিসে অনুপস্থিত।
৫. গুগলের সবচেয়ে স্মরণীয় ডুডলগুলোর অন্যতম হচ্ছে চাঁদে পানির আবিষ্কার, এবং জন লেননের ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য। জন লেননের ডুডলটি আবার ছিল প্রথম ভিডিও ডুডল।
৬. প্রথম গুগল সার্ভার রাখা হয়েছিল লেগো দিয়ে তৈরি একটি কাস্টম কেসে।
৭. গুগলের হেডকোয়ার্টার পরিচিত ‘গুগলপ্লেক্স’ নামে এবং এটি অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে।
৮. গুগলপ্লেক্সে টি-রেক্স জাতীয় ডাইনোসরের একটি বিশাল মূর্তি আছে – যার ওপর প্রায়ই অসংখ্য প্লাস্টিকের তৈরি গোলাপি ফ্ল্যামিঙ্গো বসে থাকতে দেখা যায়। গুজব রয়েছে যে এটা হচ্ছে কর্মচারীদের প্রতি এক সতর্কবার্তা যেন তারা কখনো গুগলকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে না দেন।
৯. গুগলের হেডকোয়ার্টারটি বিশাল এবং এর ভেতরে অনেক সবুজ জায়গা আছে। এখানে ঘাস কাটার জন্য লন-মোয়ার মেশিন ব্যবহার করা হয় না। এ জন্য গুগল বাইরে থেকে ছাগল ভাড়া করে নিয়ে আসে।
১০. গুগল হচ্ছে প্রথম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যারা তাদের কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করে। তা ছাড়া কর্মচারীদেরকে তাদের পোষা কুকুর অফিসে নিয়ে আসতে দেয়া হয়।
১১. ২০০১ সালে চালু করা হয় গুগল ইমেজ সার্চ -যার অনুপ্রেরণা ছিল ২০০০ সালের গ্র্যামি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জেনিফার লোপেজের পরা সবুজ পোশাক। এটি গুগলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চে পরিণত হয়েছিল
১২. গুগলের নিজস্ব ইমেইল সেবা জিমেইলের কথা ঘোষণা করা হয় ২০০৪ সালে ১ এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলস ডে-তে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এটা আসলে একটা রসিকতা।
১৩. গুগলকে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে (‘গুগল করা’ অর্থে) প্রথম অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৬ সালে। মিরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান লিখেছিল, গুগল করা মানে হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে কোন তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা।’
১৪. ইউটিউব গুগল পরিবারের সদস্য হয় ২০০৬ সালে। দেড়শ’ কোটি ডলারেরও বেশি দামে ইউটিউবকে কিনে নেয় গুগল। এখন ইউটিউবের মাসিক ব্যবহারকারী প্রায় ২০০ কোটি। প্রতি মিনিটে ইউটিউবে আপলোড হয় ৪০০ ঘন্টার ভিডিও।
১৫. গুগলের একজন ইঞ্জিনিয়ার ২০০৯ সালে একবার ইন্টারনেট ব্যবস্থা ‘ধসিয়ে দিয়েছিলেন’ । তিনি দুর্ঘটনাবশত: গুগলের ব্লকড ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রিতে ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ (‘/’) চিহ্নটি যোগ করে ফেলেছিলেন। যেহেতু প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটেই ‘/’ চিহ্নটি আছে, তাই সেসময় অনলাইনে কোন ওয়েবসাইটেই ঢোকা যাচ্ছিল না।
১৬. গুগল সার্চে ১৫ শতাংশ অনুসন্ধানই হচ্ছে একেবারে নতুন – যা আগে কখনো সার্চ করা হয় নি।
১৭. গুগল ২০১৮ সালের এপ্রিলে পরিণত হয় প্রথম কোম্পানিতে যারা শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা প্রতি এক কিলোওয়াট বিদ্যুত খরচ করার সথে সাথে এক কিলোওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করছে।
১৮. গুগলের আসলে ছয়টি জন্মদিন আছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শুধু ২৭ সেপ্টেম্বরকেই তারা জন্মদিন হিসেবে পালন করবে।
১৯. গুগলের হাতে নানা রকম কূটকৌশল আছে। যেমন আপনি যদি এস্কিউ (askew) শব্দটি ইংরেজিতে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন পুরো পেজটাই একদিকে কাত হয়ে গেছে।
২০. এ্যাপোলো ১১তে চড়ে চাঁদে মানুষ পাঠাতে যতটুকু কম্পিউটিং ক্ষমতা ব্যবহৃত হয়েছিল – এখন মাত্র একটি গুগল সার্চে প্রায় সেই পরিমাণ কম্পিউটিং ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়।
২১. গুগল এখন শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়। ভবিষ্যতে এখানে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্ট্রিমিং-ভিত্তিক গেম খেলার ব্যবস্থা, এমনকি ড্রাইভারবিহীন গাড়ি।
সূত্র: বিবিসি
শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০
HTML,CSS কি , কিভাবে শিখবেন ?
আসসালামু আলাইকুম
আজকের পোস্টে আমরা জানবো এইচটিএমএল ও সিএসএস সম্পর্কে । আগেই বলে রাখি এই পোস্টটি একেবারে নতুনদের জন্য ।যারা html css সম্পর্কে জানেন না অথবা অল্প অল্প জানেন তাদের জন্য।
এ পোস্টে যারা জানেন না শুধু তাদের জন্য , এবং যারা নিজের মনের মতো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাদের জন্য । এইচটিএমএল ও সিএসএস সম্পর্কে জানেন তাদেরকে এ পোস্টটি স্কিপ করার অনুরোধ রইলো ।
এইযে আমার যত ধরনের ওয়েবসাইট দেখতেছি তা সবকিছুর মূলে রয়েছে এইচটিএমএল ও সিএসএস । তবে শুধুমাত্র এগুলো দিয়ে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় না । এগুলো হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের মূল । তবে আপনি এই দুটি শিখে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ।
HTML-এর পূর্ণরূপ হল Hypertext Markup Language । এটি ওয়েব প্রোগ্রামের একটি ল্যাঙ্গুয়েজ । এটি দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের স্ট্রাকচার তৈরি করা হয় । আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে যে ওয়েব পেজ গুলি দেখতে পারি সেগুলো সব গুলো HTML দিয়ে তৈরি । HTML দিয়ে মূলত ওয়েব পেজের বা ওয়েব ডিজাইনের স্ট্রাকচার তৈরির ক্ষেত্রে HTML ব্যবহার করা হয়।
CSS কি?
CSS এর পূর্ণরূপ Cascading Style Sheets । এটি ওয়েব প্রোগ্রামের একটি ল্যাঙ্গুয়েজ ।সহজ কথায় বলতে গেলে এটি হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের মেকআপ । একটি ওয়েবসাইটকে যত মেকআপ করতে পারবেন তাত সেটি সুন্দর দেখাবে এবং তথ্য আকর্ষণীয় হবে । CSS এমন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ যা দ্বারা ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের ডিজাইন করা সম্ভব । প্রায় সব ওয়েবসাইট এ CSS দিয়ে ডিজাইন করা হয় ।
এখন আসি কোথা থেকে শিখতে পারবেন
এইচটিএমএল ও সিএসএস শিখার জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে । তার বেশিরভাগই ইংরেজিতে । তবে বাংলাতে বেশ কিছু ভাল ওয়েব সাইট রয়েছে ।
আমি নিচে কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিলাম এখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন :