শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

বিদায় ‘মেসেঞ্জার লাইট’

বিদায় ‘মেসেঞ্জার লাইট’

 

বিদায় ‘মেসেঞ্জার লাইট’


সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবা ‘মেসেঞ্জার’ এর লাইট সংস্করণ স্মার্টফোন থেকে চিরতরে বিদায় নিচ্ছে। আইফোনের পর এবার অ্যান্ড্রয়েডেও বন্ধ হচ্ছে এই ম্যাসেজিং অ্যাপ। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে নিয়েছে মেটা। এর ফলে নতুন ব্যবহারকারীরা ‘মেসেঞ্জার লাইট’ ইনস্টল করতে পারছেন না। খবর ডিবিসি।

এক সময় ধীরগতির ইন্টারনেট এবং পুরনো বা নিম্ন স্পেসিফিকেশনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেঞ্জারের “লাইট” সংস্করণ আনে ফেসবুক। অ্যাপটিতে বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া গেলেও মেসেঞ্জারের সকল সুবিধা ছিল না। তারপরও অনেকেই অ্যাপটি নিয়মিত ব্যবহার করতেন। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই অ্যাপ আর ব্যবহার করতে পারবেন না বর্তমান ব্যবহারকারীরাও। এখন এই অ্যাপ চালু করলেই তা ব্যবহারকারীকে সরাসরি মেসেঞ্জার বা ফেসবুকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বর্তমানে অ্যাপটি চালু করলেই একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। বার্তায় ম্যাসেঞ্জার লাইট অ্যাপটি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি মেসেঞ্জারের মূল অ্যাপ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

অ্যাপ বিশ্লেষক কোম্পানি “ডেটা ডটএআই”-এর তথ্য অনুসারে, মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ সারা বিশ্বে প্রায় ৭৬ কোটিবার ডাউনলোড হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে ভারতে। পরের অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া। এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৮ নম্বরে।

এর আগে ২০১৬ সালে মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ চালু করে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। স্বল্প স্টোরেজের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য এই অ্যাপ আনা হয়। এই অ্যাপে মেসেজিংয়ের জন্য অল্প কিছু প্রধান ফিচার আছে, যাতে অ্যাপটি কম পাওয়ার ও স্টোরেজ নিয়ে চলতে পারে।

অ্যাপলের ফোনের জন্যও মেসেঞ্জার লাইট চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে মেটা সেটি বন্ধ করে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি ভুয়া কি না চেক করবেন যেভাবে!

সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি ভুয়া কি না চেক করবেন যেভাবে!

সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি ভুয়া কি না চেক করবেন যেভাবে!


সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব বয়সী ব্যবহারকারী রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নিজের মনের কথা, প্রতি মিনিটের আপডেট শেয়ার করেন অনেকেই। কোথায় যাচ্ছেন, কি খাচ্ছেন সবই শেয়ার করেন বন্ধুদের সঙ্গে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে অনেক ছবি সামনে আসে। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার এ সময়ে, যে কোনো কিছু খুব দ্রুত ভাইরাল হয়। ফটোশপের মাধ্যমে বা যে কোনো অনলাইন টুলের মাধ্যমে ফটো এডিট করে, নকল ছবি তৈরি করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। সেই নকল ছবি ধীরে-ধীরে ফরোয়ার্ড হতে থাকে। ফলে মানুষ ভুল তথ্য পেতে শুরু করে। কিন্তু কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে জাল ছবি চিনতে পারবেন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক সেসব উপায়-

গুগল লেন্স
>> অনলাইন কন্টেন্ট চেক করার জন্য লেন্স হল গুগলের সেরা টুল। প্রথমে ডেস্কটপ থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজ করুন।

>> ইমেজে রাইট-ক্লিক করুন এবং ‘সার্চ ইমেজ উইথ গুগল’ নির্বাচন করুন।

>> গুগল লেন্স আপনাকে সেই ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে। কিন্তু আপনি যদি ছবিটির আগের উৎস খুঁজে বের করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে প্রথম দিকের তারিখে স্ক্রোল করে সার্চ রেজাল্ট অপশনে যেতে পারেন।

>> গুগল লেন্স আপনাকে কোনো লেখা অন্য ভাষায় অনুবাদ করতেও সহায়তা করে, যেমন একটি ফটোতে একটি রাস্তা বা দোকানের নাম রয়েছে। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না নামটা কি লেখা, সেক্ষেত্রে আপনি অনুবাদ করে নিয়ে দোকানের নামটি দেখতে পারেন।

ইয়ানডেক্স
গুগল লেন্স ছাড়াও, ফটো ট্রেস করার জন্য একটি জরুরি টুল হলো ইয়ানডেক্স। এটি ফটোতে অবস্থান বা কোনো ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে কি না তা জানতে সাহায্য করতে পারে।

>> আপনি যে ফটোটি আপনার মোবাইল ডিভাইস বা ল্যাপটপে যাচাই করতে চান সেটিকে সেভ করুন।

>> ছবির লিঙ্ক/ইউআরএলও ব্যবহার করতে পারেন।

>> ইয়ানডেক্স ওয়েবসাইটে গিয়ে ইমেজ আইকনে আলতো চেপে ধরুন।

>> এরপর সামনের ক্যামেরা আইকনে আলতো চাপুন। একটি পেজ খুলে যাবে, তাতে আপনি ফটো আপলোড করার অপশন পাবেন। এখানে আপনি ইউআরএল সার্চ বক্সে ছবির লিঙ্ক পেস্ট করুন।

 

ভিডিও কল করা যাবে টুইটারে!

ভিডিও কল করা যাবে টুইটারে!

 

ভিডিও কল করা যাবে টুইটারে!


ভিডিও কলিং ফিচার যুক্ত হচ্ছে টুইটারে। সংবাদমাধ্যম এনগেজেটের সূত্রে জানা যায়, এটি প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও লিন্ডা ইয়াক্কারিনো এবং মালিক ইলন মাস্কের যৌথ পরিকল্পনার অংশ। এটিকে তারা সবকিছুর প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

সিএনবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডা বলেন, খুব শিগগিরই আপনারা কোনো ফোন নম্বর শেয়ার না করে ভিডিও চ্যাটে অংশ নিতে পারবেন এই প্ল্যাটফরম থেকে। লিন্ডা এবং মাস্কের অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে দীর্ঘমেয়াদি ভিডিও, পেমেন্ট ও ক্রিয়েটর সাবস্ক্রিপশন।

এনগেজেট আরও জানায়, নতুন এই ফিচার ব্যবহারকারীদের জরুরি চাহিদা কতটা মেটাতে পারবে তা নিশ্চিত নয়। বাজারে ভিডিও চ্যাটের অনেক ভালো ভালো প্ল্যাটফরম রয়েছে যেমন জুম, মাইক্রোসফট টিমস, গুগল মিট, অ্যাপল ফেসটাইমসহ অনেক কিছু। তবে মাস্ক এবং লিন্ডা মিলে প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। লিন্ডা বলেন, টুইটার রিব্র্যান্ড করার মূলে যা রয়েছে তা হলো আমাদের মনকে উন্মুক্ত করতে হবে যেখানে ফ্রি এক্সপ্রেশনের সহায়তায় গ্লোবাল টাউন স্কয়ারের অগ্রগতি হচ্ছে এবং জনগণ রিয়েল টাইমে সেখানে অংশ নিচ্ছে।

সম্প্রতি টুইটারের অন্যান্য অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ভিডিও। এই ফিচারে প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করা যায়। এ ছাড়া টুইটারের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অর্থ পাওয়া শুরু করেছেন। সম্প্রতি একজন ২৪ হাজার ডলার পেয়েছেন বলে দাবিও করেন। এ ছাড়া এটাকে একটি পেমেন্ট প্ল্যাটফরম হিসেবেও সবার সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান লিন্ডা।