ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব
🌟পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং🌟
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
⭐কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং –এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।
⭐ভর্তির যোগ্যতাঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রয়োগ হয়ে থাকে।
⭐ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মানঃ
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।
⭐একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং আয়ঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পন্নের পর এন্ট্রি লেভেলে প্রতিষ্ঠান ও পদ অনুযায়ী বেতন হতে পারে ২০-৪০ হাজার টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এটা আরও কম। তবে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতন বাড়তে থাকে।
⭐ক্যারিয়ার হিসেবে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অটোমোবাইল সেক্টরেও অনেক সুযোগ আছে। দেশে অনেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। প্রত্যেক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপক্ষে একজন করে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়। একজন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অটোমোবাইল শপ করতে পারেন। দেশে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব পরিবহনের কারিগরি বিষয় দেখাশোনার জন্য পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরেকটি বিভাগ হচ্ছে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনার উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে পারেন। এসব পণ্য সার্ভিসিংয়ের জন্যও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও কাজের প্রচুর ক্ষেত্র রয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি নিজেদের কারিগরি দক্ষতা যত বাড়াতে পারবেন, এ খাতে তত ভালো করা সম্ভব। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে কাজের অভাব হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান বেতন স্কেলে দশম গ্রেডে বেতন পাওয়া যাবে। বেসরকারিতে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন ভিন্ন হয়।
mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।