মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

জীবনের মানে কি আসলে?

জীবনের মানে কি আসলে?

জীবনের শুরুতে আমরা সবাই নিজের জন্যই বাঁচি—নিজের স্বপ্ন, নিজের চাওয়া, নিজের ভালো লাগা দিয়ে ভরে রাখি প্রতিটা সকাল-সন্ধ্যা। কিন্তু সময় যতই গড়াতে থাকে, ততই আমাদের সেই ‘নিজের’ জায়গাগুলোতে ঢুকে পড়ে অন্যদের উপস্থিতি।


প্রথমে পরিবার, তারপর সমাজ, সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব—এক এক করে তারা এসে দখল করে নেয় আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, সিদ্ধান্ত এমনকি স্বপ্নগুলোও।


কখন যে কারো খুশির জন্য নিজের ইচ্ছেগুলোকে বিসর্জন দিতে শিখে ফেলি, কখন যে নিজের সুখকে আটকে রেখে অন্যের শান্তির জন্য লড়াই করি, বুঝে উঠতে পারি না।


নিজেকে ধীরে ধীরে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যাই, যেখানে আমি থাকি, কিন্তু নিজের জন্য না। আমার হাঁটায় থাকে গন্তব্য, কিন্তু সেটা আমার নয়। আমার হাসিতে থাকে আলোর ঝিলিক, কিন্তু তা আমার আনন্দ থেকে জন্ম নেয় না। আমার ভালো থাকা নির্ভর করে অন্যদের মনের ওপর, আর আমার খারাপ থাকা চাপা পড়ে যায় দায়িত্বের ভারে।


এরপর একটা সময় আসে, যখন আয়নায় তাকালেও নিজের চোখের গভীরে এক ফাঁকা শূন্যতা দেখি।

নিজেকে প্রশ্ন করি—"আমি এখনো আছি তো?"

উত্তর আসে, "হ্যাঁ, আছো… কিন্তু নিজের জন্য নও।"


এমন জীবন কি সত্যিই পূর্ণ জীবন?

নিজেকে হারিয়ে দিয়ে কেবল অন্যের জন্য বাঁচা, এটা কি আত্মত্যাগ? নাকি আত্মবিসর্জন?


আমরা ভুলে যাই—নিজেকে ভালোবাসা, নিজের প্রয়োজনগুলো গুরুত্ব দেওয়া, নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরা কোনো স্বার্থপরতা নয়। এটা এক ধরণের আত্ম-সম্মান, এক ধরণের ন্যায্য অধিকার।

নিজের খালি ভেতর দিয়ে অন্যকে ভরাতে গেলে একসময় নিজেরই আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।


সবকিছুর শেষে বলতে হয় যে, এটাই বাস্তব!  হাহাহা!

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

   স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?

স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?

 

স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ না করলে কি করবেন?


মোবাইল ফোন এখন শুধু কথা বলা বা ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করতে স্মার্টফোনে অনেক বাড়তি ফাংশন দেওয়া হয়। আর এই কাজগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় সেন্সরের। বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই ফিচারের মাধ্যমে যেমন দ্রুত স্মার্টফোনের লক খোলা যায়, ঠিক তেমনি ফোনের নিরাপত্তাও বজায় রাখা যায়। তবে অনেক সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ঠিক মতো কাজ করেনা। ফলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। আর এমন সময় ফোন আনলক করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করারও বেশ কয়েকটি উপায় আছে। যেগুলি সম্পর্কে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পরিষ্কার করুন: মোবাইল ফোন ধুলো জমে যাওয়ার ফলে অনেক সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাই মাঝে মাঝেই পরিষ্কার কাপড় অথবা মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পরিষ্কার করা উচিত।

সঠিকভাবে আঙ্গুলের ছাপ সেট করুন: বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ডিভাইসে প্রথম বার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করার সময় সম্পূর্ণ আঙুল ব্যবহার করে থাকেন। আর প্রতিবার লক খোলার সময় স্বভাবসুলভভাবে সঠিক ভাবে আঙুলের ছাপ দেন না, আর এতেই বাধে বিপত্তি। তাই স্মার্টফোন আনলক করার সময় সচেতন ভাবে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা উচিত।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করার সময় একাধিক আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করুন : কিছু কিছু স্মার্টফোন মডেল দুই বা ততোধিক আঙুলের ছাপ দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সেট করার অনুমতি দেয়। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সেট করার সময় একটির বদলে দুটি বা তিনটি আঙুলের ছাপ ব্যবহার করুন।

সফটওয়্যার আপডেট : সর্বদা স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং প্যাচগুলি আপডেট রাখা উচিত। কারণ অনেক সময় সফটওয়্যার আপডেট না করা থাকলেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ঠিকভাবে কাজ করে না।

স্মার্টফোনটি রিবুট করুন: যদি উপরের সবকটি পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যদি কাজ না করে, তাহলে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি রিবুট করে দেখতে পারেন।


সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!

সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!

 

সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!




সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ বাজারে এলো। এই ল্যাপটপ এনেছে জেবরোনিক্স নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মডেল প্রো সিরিজ ওয়াই। এই ল্যাপটপ দেশটির বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ হাজার ৯৯০ রুপিতে।

প্রো সিরিজ ওয়াই সিলভার বা সেজ গ্রিন রঙে কিনতে পারবেন, অন্যদিকে প্রো সিরিজ জেড স্পেস গ্রে, মিডনাইট ব্লু এবং ব্লু রঙে পাওয়া যাবে।

জেবরোনিক্স তাদের নতুন ল্যাপটপে অনেক অভিনব ফিচার এবং সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট, মসৃণ মেটাল বডি, ইন্টেল প্রসেসর, উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ১৬ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম এবং ১ টিবি স্টোরেজ। এই ল্যাপটপের ডিজাইনও বেশ চমকপ্রদ।

জেব্রোনিক্স প্রো সিরিজ ওয়াই মডেলের ল্যাপটপে একটি প্রিমিয়াম মেটালিক ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। ওজনও মাত্র ১.৭ কেজি। এতে একটি ১৫.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে ব্য়বহার করা হয়েছে। এই ল্যাপটপে ১১ তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ বা ৫ প্রসেসর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১৬ জিবি র‌্যাম ও ৫১২জিবি স্টোরেজ।

জেব্রোনিক্স প্রো সিরিজ ওয়াই ল্যাপটপে ডুয়াল-ড্রাইভার স্পিকার এবং একটি ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক রয়েছে। এছাড়া টাইপ-সি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করতে পারবেন। ৬৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ফিচারও রয়েছে। কানেকশনের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, মিনি এইচডিএমআই, টাইপ ৩.২ পোর্ট এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট।