শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

 একসঙ্গে ৪ ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ চালাবেন যেভাবে!

একসঙ্গে ৪ ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ চালাবেন যেভাবে!

 একসঙ্গে ৪ ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ চালাবেন যেভাবে!


এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রায় শতভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার কারণে মেটার এই প্ল্যাটফর্মটিও দিনদিন নিজেকে আপডেট করে চলেছে।

গত কয়েকমাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপের মাল্টি ডিভাইস ফিচারের বিটা টেস্টিং চলছিল। এবার সেই ফিচারই সব ব্যবহারকারীদের জন্য রোলআউট করা চালু হয়েছে। বিটা টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল অনেকটা এরকম যে ব্যবহারকারীরা এই মাল্টি ডিভাইস ফিচার ব্যবহার করবেন নাকি করবেন না, সেটা তারা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন।

তবে এই হোয়াটসপ ফিচারের স্টেবল ভার্সানের রোলআউট শুরুর পর থেকে এই অপশন ভিত্তিক অর্থাৎ বেছে নেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আপনাআপনিই সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এই ফিচার অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে।

ফলে একসঙ্গে চারটি বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। বারবার লগইন করার জন্য স্মার্টফোন কানেক্ট করারও প্রয়োজন পড়বে না। অনেকেই একই সঙ্গে আমরা স্মার্টফোন ও পিসিতে একই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি। তবে এই ফিচারের ফলে একসঙ্গে চারটি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

মাল্টি ডিভাইস সাপোর্ট ব্যবহারকারীদের নিজের স্মার্টফোন ছাড়াও আরও চারটি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। আর এই চারটি ডিভাইস অন্য কোনো স্মার্টফোন হবে না। অর্থাৎ একই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কখনো একসঙ্গে দুটো ফোনে ব্যবহার করা যাবে না।

তবে ডেস্কটপ বা পিসি কিংবা ট্যাবে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে। এর আগের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের ফোনে সবসময় ইন্টারনেট কানেকশন থাকার প্রয়োজন ছিল। তবে এখন আর তারও প্রয়োজন নেই। ফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ব্যবহার করতে পারবেন।

  • জেনে নিন কীভাবে মাল্টি ডিভাইস ফিচার ব্যবহার করবেন-
  • এই ফিচার ব্যবহারের জন্য প্রথমে ওয়েব ব্রাউজার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন।
  • সেখানে একটি কিউআর কোড দেখা যাবে স্ক্রিনের উপর।
  • এরপর আপনার নিজের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন।
  • এরপর উপরের ডানদিকে কোণে থাকা তিনটি ডটে ক্লিক করলে লিঙ্ক এ ডিভাইস (Link a Device) অপশন পাওয়া যাবে।
  • সেখানে ক্লিক করলে স্ক্রিনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যানের সুযোগ পাবেন।
  • এরপর ওয়েব ভার্সানে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে গেলে আপনি নিশ্চিন্তে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।

 সারাদিন ব্যবহারেও ফুরাবে না ফোনের ব্যাটারি, মানলে এই নিয়ম!

সারাদিন ব্যবহারেও ফুরাবে না ফোনের ব্যাটারি, মানলে এই নিয়ম!

 সারাদিন ব্যবহারেও ফুরাবে না ফোনের ব্যাটারি, মানলে এই নিয়ম!


অনেকেরই অভিযোগ স্মার্টফোনের আয়ু দ্রুত ফুরায়। এর কারণ অনেক। আজকাল প্রায় সব স্মার্টফোনেই একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার হয়। তুলনামূলক হালকা এই ব্যাটারিগুলো ব্যবহার করার কারণে স্মার্টফোন আরও পাতলা হয়েছে।ফোন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে থাকলে ক্রমশ ব্যাটারি ব্যাক আপ কমতে শুরু করে। কারণ প্রত্যেকবার আপনার ফোন চার্জ করলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির আয়ু ও ক্ষমতা কমতে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ফোনে লম্বা ব্যাটারি ব্যাক আপ পাবেন কীভাবে? জানুন এই প্রতিবেদনে।

০% অথবা ১০০% চার্জ দেবেন না
অনেকেই নিজের ফোন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করেন। কিন্তু এতে ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা কমতে শুরু করে। তাই ফোনের ব্যাটারি কখনই সম্পূর্ণ চার্জ করবেন না। চেষ্টা করুন ৮০-৯০ শতাংশের মধ্যে চার্জিং বন্ধ করে দিতে। আপনি যদি ৬০ শতাংশ চার্জিংয়ের পরে চার্জিং বন্ধ করতে পারেন তবে আপনার ফোনের ব্যাটারি অনেক দিন লম্বা ব্যাক আপ দেবে। এছাড়াও ফোনের ব্যাটারি কখনই ০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসচার্জ করবেন না। চেষ্টা করুন ৩০ শতাংশ চার্জের নিচে গেলে ফের চার্জ শুরু করে দিতে।

​রাতে চার্জিং বন্ধ করুন
অনেকেই রাতে ফোন চার্জে বসিয়ে ঘুমাতে যান। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি ১০০ শতাংশ চার্জ হয়ে যাওয়ার পরেও চার্জার ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি অনেকটা গরম হয়ে যায়। যা ব্যাটারির আয়ু অনেকটা কমিয়ে দেয়। সারা রাত ফোন চার্জে রাখলে কোন ঠাণ্ডা জায়গায় ফোন রাখার ব্যবস্থা করুন। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবে।

​ধীরে চার্জ করুন
আজকাল প্রায় সব ফোনেই ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হলেও ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে ফোনের ব্যাটারি চার্জ করলে দীর্ঘদিন ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পাওয়া যাবে। সম্ভব হলে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ করুন। সময় বেশি লাগলেও ধীরে চার্জ হওয়ার কারণে বাড়বে ব্যাটারির আয়ু।

ওয়াফাই, ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন
এক চার্জে বেশি সময় ব্যাক আপ পেতে ওয়াইফাই অথবা ব্লুটুথ ব্যবহার বন্ধ করুন। প্রত্যেকবার ফোনের ব্যাটারি চার্জ করার সময় ব্যাটারির আয়ু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই অকারণে ব্যাটারি অপচয় করে ফোনের ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ করতে থাকলে দীর্ঘ সময়ে ব্যাটারির আয়ু কমে যাবে। তাই বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ফোনের ওয়াইফাই বন্ধ করে নিন। অফিসে পৌঁছে ফের চালু করে নিন ওয়াইফাই। সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলে ফোনের ওয়াইফাই বন্ধ করে রাখুন। এর ফলে অনেকটা ব্যাটারি বেঁচে যাবে।

​লোকেশন সার্ভিস
আজকাল বিভিন্ন অ্যাপ সব সময় আপনার লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকে। জিপিএস, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ও সেল টাওয়ারের মাধ্যমে অনবরত আপনার লোকেশনের তথ্য বিভিন্ন অ্যাপ ডেভেলপারের কাছে পৌঁছে যায়। তাই ব্যাটারি ব্যাক আপে উন্নতি করার জন্য এই অ্যাপগুলোকে শুধুমাত্র ব্যবহারের সময় লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের অনুমতি দিন।

ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন
অনেকেই স্মার্টফোন ডিসপ্লে অতিরিক্ত উজ্জ্বল করে রাখেন। আর ফোনের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস সবথেকে বেশি ব্যাটারি ব্যবহার করে। তাই ফোনে বেশি ব্যাটারি ব্যাক আপের জন্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।

এসব কৌশল ও নিয়ম মানলে আপনার ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।

স্মার্টফোনেই তোলা যাবে ডিএসএলআরের মতো ছবি!

স্মার্টফোনেই তোলা যাবে ডিএসএলআরের মতো ছবি!

স্মার্টফোনেই তোলা যাবে ডিএসএলআরের মতো ছবি!


কমবেশি সবারই আছে ছবি তোলার শখ। কোথাও ঘুরতে গেলে শুধু নিজের ছবিই নয়, আশপাশের প্রকৃতির ছবিও তোলেন। তবে হাতের ক্যামেরা না থাকায় ভালো ছবি তুলতে পারেন না। মাঝে মাঝেই ডিএসএলআরের অভাববোধ করেন।

তবে ডিএসএলআর কেনা সম্ভব হয় না অনেকেরই। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে স্মার্টফোনেই তুলতে পারবেন ডিএসএলআরের মতো ঝকঝকে ছবি। বর্তমানে অনেক স্মার্টফোনেই দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা। সেই সঙ্গে থাকছে অ্যাডভান্স সেটিংস অপশন।

স্মার্টফোনে ছবি তোলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। তাহলে আপনিও প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের মতো ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য যে কাজ গুলো করবেন এবং করবেন না জেনে নিন-

> ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো বুঝতে হবে। সবসময় ফ্ল্যাশ অন রাখবেন না। তাহলে ছবি পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছবির কালার টোন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি রাতে ছবি তোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।

> ছবির আয়তন বুঝতে হবে। ছবির নেগেটিভ স্পেশ ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। ধরুন ছবি তোলার ক্ষেত্রে কোনো নেগেটিভ স্পেশ তৈরি হচ্ছে সেই স্পেশ কীভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করবেন তা খেয়াল রাখতে হবে।

> বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে ছবি তুলতে হবে। সচরাচর অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তোলার সঙ্গে বিভিন্ন ডিফারেন্ট অ্যাঙ্গেল থেকেও ছবি তোলার চেষ্টা করুন। ছবির মধ্যে নতুনত্ব আসবে।

> অতিরিক্ত অন্ধকার ছাড়া নাইট মোড ব্যবহার করবেন না। কারণ নাইট মোড অন রাখলে ক্যামেরা নিজে থেকে বেশ কিছু সেটিংস তৈরি করে। এর ফলে সামান্য হাত কাঁপলেই ছবি ব্লার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

> ক্যান্ডিড ছবি তোলার ক্ষেত্রে অবজেক্টের ব়্যান্ডম ছবি তুলুন। কারণ সেসময় হয়তো এমন একটি অ্যাঙ্গল থেকে ছবি উঠবে বা অবজেক্টের এমন একটা ছবি উঠবে যা সত্যিই অন্যরকম দেখাবে।

> যদি কোনোভাবে রিফ্লেক্সন তুলতে পারেন তাহলে ছবির গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যাবে। অর্থাৎ ছবির মধ্যে কোনো রিফ্লেকশন তুলে ধরার চেষ্টা করুন।

> স্মার্টফোন সাধারণত অনেকক্ষণ হাতে, পকেটে বা ব্যাগে থাকে। তাই লেন্সের ওপর তেল ময়লা জমতে পারে। ছবির ওভারল্যাপিং বন্ধ করতে লেন্স পরিষ্কার করুন। লেন্স পরিষ্কার করার সময় যাতে দাগ না পড়ে, সেদিকেও সতর্ক থাকুন।

> ছবি তোলা বা ভিডিও করার সময় অবশ্যই মোবাইল ফোনটি অনুভূমিকভাবে বা আড়াআড়ি ধরবেন। যে কোনো দিকে ধরে ছবি তুললে ছবি কখনোই ভালো হবে না।