শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব
🌟পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং🌟


কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। 

⭐কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং  –এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

⭐ভর্তির যোগ্যতাঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রয়োগ হয়ে থাকে।


⭐ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মানঃ
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।  


⭐একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং আয়ঃ
ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পন্নের পর এন্ট্রি লেভেলে প্রতিষ্ঠান ও পদ অনুযায়ী বেতন হতে পারে ২০-৪০ হাজার টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এটা আরও কম। তবে  অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতন বাড়তে থাকে।

⭐ক্যারিয়ার হিসেবে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অটোমোবাইল সেক্টরেও অনেক সুযোগ আছে। দেশে অনেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। প্রত্যেক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপক্ষে একজন করে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়। একজন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অটোমোবাইল শপ করতে পারেন। দেশে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব পরিবহনের কারিগরি বিষয় দেখাশোনার জন্য পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরেকটি বিভাগ হচ্ছে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনার উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে পারেন। এসব পণ্য সার্ভিসিংয়ের জন্যও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও কাজের প্রচুর ক্ষেত্র রয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি নিজেদের কারিগরি দক্ষতা যত বাড়াতে পারবেন, এ খাতে তত ভালো করা সম্ভব। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে কাজের অভাব হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান বেতন স্কেলে দশম গ্রেডে বেতন পাওয়া যাবে। বেসরকারিতে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন ভিন্ন হয়।

mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।   

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব

🔧মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং


মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যান্ত্রিক প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি প্রাচীনতম শাখা। এটি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখাও বটে। যদিও এটি প্রকৌশলে অনেক দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান, কিন্তু উনিশ শতকের প্রথম দিকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি পৃথক শাখা হিসেবে উন্নীত করা হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মূলত প্রকৌশল, পদার্থ, গণিত এবং বস্তু  বিজ্ঞানের নীতি ব্যবহার করে যান্ত্রিক সিস্টেমের ডিজাইন, বিশ্লেষণ, তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে ট্র্যাডিশনাল শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় এবং যুগোপযোগী। জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় নিশ্চিত কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা অনেক বেশি। শিল্পোন্নয়নের সাথে সাথে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী এই বিষয়ে সামগ্রিক  জ্ঞান লাভ করতে পারে। হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে এই জ্ঞান থেকে পেশাগত দক্ষতা অর্জন সম্ভব। এই কোর্সের মাধ্যমে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গাণিতিক এবং বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয় এবং এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেকনোলজি ও ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে সাথে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেয়া হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মূলত যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো হল- মেকানিক্স, গতিবিদ্যা, থার্মোডাইনামিক্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস  এবং ইলেক্ট্রিসিটি। এই মূল বিষয়গুলো ছাড়াও কম্পিউটার-এডেড ডিজাইন (সিএডি), কম্পিউটার-এডেড ম্যানুফ্যাকচারিং (সিএএম) এবং পণ্য জীবনচক্র ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি সম্পর্কেও ধারনা দেয়া হয়।  

🔧কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং –এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

🔧ভর্তির যোগ্যতা:
চার  বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ আট বছর আগের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায়  কমপক্ষে GPA 2.00 পেয়ে পাশ করতে হবে। তবে নীতিমালা পরিবর্তন হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপডেটেড তথ্য প্রযোজ্য হবে।

🔧ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মান:
ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে এর মান স্নাতক এবং বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিক স্তর।  

🔧একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব:
একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোন একটি কাজ সম্পাদনের জন্য কাজটির ধারনাকে সৃজনশীলতা,জ্ঞান এবং বিশ্লেষনধর্মী প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় করার মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দান করেন। একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে যে সকল দায়িত্ব পালন করতে হয় সেগুলো হল-
• প্রকল্পের আবশ্যিক শর্ত নির্ধারন করা।
• যান্ত্রিক উপাদান, ডিভাইস এবং ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা।
• কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন/ মডেলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা।
• টেকনিক্যাল পরামর্শ দেয়া।
• রক্ষণাবেক্ষন এবং মডিফাইয়ের মাধ্যমে যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও এর কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা।
• পণ্যের পরিক্ষণ, মূল্যায়ন, পরিবর্তন এবং পূনঃমুল্যায়ন করা।
• ডাটা এনালাইসিস এবং এর ব্যাখ্যা প্রদান করা।
• ম্যানেজার ও ক্লায়েন্টদের জন্য ডিজাইন উপস্থাপন করা।
• প্রকল্পের ব্যয়, প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ এবং বাজেট প্রণয়নে সহায়তা করা।
• তাত্ত্বিক ডিজাইনকে সিমুলেশনের মাধ্যমে যাচাই করে  প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যকরী করে তোলা।  

🔧মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে প্রায়ই প্রতিটি ক্ষেত্রে। সরকারি, বেসরকারি সেক্টরে এমন কি দেশের বাইরেও তাদের চাহিদা রয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য কিছু কর্মক্ষেত্র হল-  
• ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রান্সপোর্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং, কন্সট্রাকশন এবং প্রসেসিং কোম্পানি।
• পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র সহ অন্যান্য বৃহত্তম সরকারি প্রতিষ্ঠান।
• R & D বেইজড কোম্পানি।
• কনসালটেন্সি এজেন্সি।
• সিভিল সার্ভিস।
• রেলওয়ে, বিমান, অটোমোবাইল, রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রি।
• আর্মড ফোর্স।
• সরকারি এজেন্সি।
• ইউটিলিটিজ ( গ্যাস,পানি, বিদ্যুৎ প্রভৃতি ) কোম্পানি।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যদি বেশ কিছু বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তবে চুক্তিভিত্তিক কাজ এবং কনসালটেন্সির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও সম্ভব।

🔧উচ্চশিক্ষার সুযোগঃ

• মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে B.sc করা যায়।
• A.M.I.E  পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমেও BSc ডিগ্রি অর্জন সম্ভব।
• এছাড়া অনেকেই দেশের বাইরেও যায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য।

🔧ক্যারিয়ার হিসেবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ে সম্ভাবনাময়  ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ রয়েছে। কম্পিউটার, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল ও সিভিল টেকনোলজি সবই মেকানিক্যাল টেকনোলজির সাথে জড়িত। সকল ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য মেকানিক্যাল টেকনোলজি অপরিহার্য। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বিস্তর কর্মক্ষেত্র রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে।
• মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা অর্জনের পর ২য় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ আছে।
• সরকারি, বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হিসেবে।
• সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি দেশের বাইরেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা আছে।
• পছন্দমত  ব্যবসা এবং কনসালটেন্সির মাধ্যমেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
এন্ট্রি লেভেলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করলেও নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রমোশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বলে এক সময় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে অরোহণ করা সম্ভব।

🔧একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ সফলভাবে ডিপ্লোমা পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেল এ চাকরি শুরু করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি সেক্টরে এন্ট্রি লেভেলে সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে বেতন শুরু হয় প্রায় ৩২,০০০ টাকা থেকে। যদিও এটা কোম্পানির উপর নির্ভর করে। যাদের অভিজ্ঞতা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি ১৫,০০০ টাকা শুরু করে থাকে।
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ প্রকৌশলিদের বেসরকারি খাতে আয় মাসে লক্ষাধিক হওয়ারও নজির আছে ।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশ সহ বিশ্বের সকল দেশেই চাকরির বাজারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরির বিভিন্ন সার্কুলারগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে আমরা তাই দেখতে পাই। সুতরাং দেশের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধি আনার জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হতে পারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

তথ্যসূত্রঃ mahbubmahin.blogspot এ প্রকাশিত।   

বিকাশে ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে যা যা করণীয়

বিকাশে ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে যা যা করণীয়
নেক সময় বিকাশে আর্থিক লেনদেনে অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্থিক লেনদেন করায় এই ভুলটি হয়ে থাকে।
এ সমস্যায় পড়ে অনেকেরই টাকা খোয়া যায়। তাই এমন ভুল হয়ে গেলে টাকা ফেরত পেতে কী কী করণীয় তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ কর্তৃপক্ষ প্রথমেই যে পরামর্শ দিচ্ছে তা হলো– টাকা ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে, তা ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে, ভুক্তভোগীর করার কিছুই থাকবে না।
সে জন্য অ্যাকাউন্ট থেকে ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বলেছে বিকাশ। সেখানে ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিকাশ অফিসে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ কর্মকর্তারা জিডি কপি এবং মেসেজ খতিয়ে দেখেন।
এর পর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির বিকাশ অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।
এর পরক্ষণই ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানায়, তখন অফিস থেকেই টাকাটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে দেয় বিকাশ।
আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তা হলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে ভুক্তভোগী প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি চিরতরের জন্য অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং🔭

সাবজেক্ট রিভিউঃ  ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং🔭
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব
🔭সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং



প্রকৌশলের প্রাচীনতম এবং সমৃদ্ধ শাখাগুলোর মধ্যে একটি হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা যেমন – হাইওয়ে, সেতু, টানেল, স্কুল, হাসপাতাল, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য ভবন, স্যুয়েজ সিস্টেম এবং পানি পরিশোধন সিস্টেম সম্পর্কিত পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষন এবং তত্ত্বাবধান এসবই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অন্তর্ভুক্ত। প্রকৌশলের এই শাখাটি শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নতিই করে না, এটি  জনসাধারন এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যগত সংরক্ষনও নিশ্চিত করে।

🔭ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং:

তাদের অবদান আমরা দেখতে পাই এরোস্পেস শিল্পে, জেট-লাইনার এবং স্পেস স্টেশন ডিজাইনে, অটোমোবাইল শিল্পে, একটি চ্যাসিসের লোড বহন ক্ষমতা নিখুঁত- করণ কাজে, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে, পাওয়ার ইন্ডাস্ট্রি, এবং যে কোনও অন্যান্য শিল্পে যেখানে নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ পাওয়া যাবে। এসব কারনে দেশ ও দেশের বাইরে সবখানেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চাহিদা অনেক বেশি। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া সভ্যতার উন্নতি কল্পনা করা যায় না। 
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং  হল একটি ডিপ্লোমা লেভেলের কোর্স। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের আধুনিক সমাজের জন্য সড়ক, সেতু, খাবার পানির যোগান, এনার্জি সিস্টেম, সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর এবং সার্বিকভাবে উন্নত অবকাঠামোর জন্য নকশা, নির্মাণ, এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলো করেন। এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং আরেকটি শাখা পরিবহন প্রকৌশলে সড়ক, রেলপথ, সাবওয়ে সিস্টেম, এবং বিমানবন্দর ডিজাইন ও তৈরি নিয়ে কাজ করে। এভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অবদান।

🔭কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং–এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।

🔭ভর্তির যোগ্যতা:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমার চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে।

🔭ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মান:

ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।

🔭একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব:

• প্রজেক্টের প্ল্যান এবং ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, জরিপ প্রতিবেদন, মানচিত্র এবং অন্যান্য ডেটা বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের পরিকল্পনা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নির্মাণ খরচ, সরকারী বিধিমালা, সম্ভাব্য পরিবেশগত দুর্যোগ এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা।
• স্থাপত্যের ফাউন্ডেশনের পর্যাপ্ত দৃঢ়তা নির্ধারণ করার জন্য সয়েল টেস্টের ফলাফল বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত কংক্রিট, কাঠ, অ্যাসফল্ট বা ইস্পাতের মতো নির্মাণ সামগ্রীগুলির পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা।
• প্রকল্পের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করার জন্য নির্মাণের উপকরণ, সরঞ্জাম, এবং শ্রমিকদের আনুমানিক খরচ নির্ধারণ করা।
• ডিজাইন ব্যবহার করে শিল্প ও সরকারী স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে পরিবহন সিস্টেম এবং কাঠামো পরিকল্পনা করা।
• স্থাপত্য নির্মাণের জন্য স্থান, সাইট লেআউট, রেফারেন্স পয়েন্ট, গ্রেড এবং উচ্চতা সার্ভে কাজগুলোকে পরিচালনা বা তত্ত্বাবধান করা।
• সরকারী ও ব্যক্তিগত অবকাঠামোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং প্রতিস্থাপন পরিচালনা করা।

🔭সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেশ কয়টি শাখা যেমন-নির্মাণ প্রকৌশল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফায়ার প্রটেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জেনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, সেতু প্রকৌশল, ভূমি উন্নয়ন, মেটারিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবহন প্রকৌশল, হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জল সম্পদ প্রকৌশল, পরিবেশ প্রকৌশলে স্পেশালাইজড হতে পারে। তাদের লব্ধ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সরকারি বেসরকারি সকল অবকাঠামোগত নির্মাণ এবং প্রকল্পে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করতে পারেন। যেসব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কাজের সুযোগ পান সেগুলো হল-

• সড়ক ও জনপদ বিভাগ
• গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
• রিয়েল এস্টেট
• নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
• বিভিন্ন সেতু, বাঁধ ও বন্দর নির্মাণ
• পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational company
• দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর
• জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
• ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ
• হাইওয়ে ব্রিজ
• পানি উন্নয়ন বোর্ড
• এলজিইডি(LGED)
• রেলওয়ে
• বিআরটিএ(BRTA)
• পাওয়ার প্লান্ট
• রেলওয়ে
• সিটি করপোরেশন, পৌরসভা
• মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণে
• বিভিন্ন multinational NGO তে প্রোজেক্ট প্রকৌশল হিসেবে
• নিজস্ব নির্মাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

এছাড়া দেশের বাইরেও নির্মাণ সংক্রান্ত কর্মক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যপক চাহিদা আছে।

🔭উচ্চ শিক্ষার সুযোগ:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষে একজন শিক্ষার্থী দেশের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে বিএসসি করতে পারে।
• বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
• বিএসসি ইন আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
• বিএসসি ইন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং
• বিএসসি ইন এনভায়রোমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
• ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং
• এছাড়া AMIE সার্টিফিকেট সহ বিদেশেও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ আছে।

🔭একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমা শেষে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে উপ-সহকারি প্রকৌশল হিসেবে যোগ দিলে বেতন শুরু হতে পারে ৩০,০০০ টাকা থেকে। প্রতিষ্ঠান ও পদ ভেদে এই অংক ২০ – ৪০ হাজার হতে পারে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন বেড়ে ৫০,০০০ – ১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
দেশের বাইরে একজন দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন আরও লোভনীয়। তবে এসব ক্ষেত্রে বিএসসি সম্পন্ন করা আবশ্যক।
এছাড়া কন্সালটেনসি এবং ব্যক্তিগত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও অনেকে ক্যারিয়ার গড়ছে।

🔭ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং:

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং দেশের সার্বিক কাঠামোগত উন্নয়নের কারনে বিভিন্ন ধরনের কাঠামোগত স্থাপত্য তৈরি চলছেই এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই এই ধরনের কাজগুলোর পরিকল্পনা থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু তদারকি করতে হয়। যার কারনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কখনো কমে না। সভ্যতার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত কখনই তাদের কর্মসংস্থানের কমতি ছিলোনা। সুতরাং, দেশেত বটেই দেশের বাইরেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।তবে এ পেশায় উন্নতি করতে হলে দরকার সৃজনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার। যদি কেউ সৃজনশীল এবং পরিশ্রমী হয় তাহলে এই পেশায় সফলতার শীর্ষে উঠা তার পক্ষে সম্ভব।

তথ্যসুত্রঃ mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত।  

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবজেক্ট রিভিউঃ ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: উচ্চ শিক্ষা, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব-

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার :
 বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কলেজ ভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অনেকেই বেকার বসে আছেন। গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে যারা চান গ্রাজুয়েশনের পর দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশ করতে তাদের জন্য ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই আকর্ষনীয় একটি প্লাটফর্ম। আমাদের মত শিল্পায়ননির্ভর দেশে কারিগরি ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। S.S.C পরীক্ষার পর পরই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমাতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

🌼একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মক্ষেত্রে কি কি কাজ করেন ?
ইলেকট্রিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সাধারণত ইলেক্ট্রিসিটি, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রম্যাগনেটিজমের বিদ্যা এবং প্রয়োগ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা হয়।
• একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের নকশা, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তারা শুধুমাত্র মানের উপরেই ফোকাস করেন না, পণ্য এবং সিস্টেম টেকসই কিনা তাও নিশ্চিত করেন।
• একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অফিস, ল্যাবস, এমনকি শিল্পকারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেম থেকে শুরু করে সিগন্যাল প্রসেসিং, কম্যুনিকেশন সিস্টেমে  কাজ করতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একজন মাল্টিটাস্কার – ক্রমাগত  ডিটেইল মডেল তৈরি করা, তাদের বাস্তবায়ন, পরীক্ষা করা এবং এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হয় তাদের। সুতরাং যদি আপনার টেকনিক্যাল বিশদের ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকে এবং কাজ করতে আপনি পছন্দ করেন তবে  ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য আপনি উপযুক্ত।

🌼ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র:
• বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন-  PDB, DESCO, BWBD, পল্লী বিদ্যুৎ,  শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি মিল এবং ফ্যাক্টরি, Operation and Circuit Oriented কোম্পাণীগুলোতে।
• অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ কোম্পানি, হাউজিং কোম্পানি, Circuit-Oriented কোম্পানি, প্রাইভেট  পাওয়ার প্রোডাকশন কোম্পানি, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
• ইন্সট্রাকটর হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজগুলোতে।
• শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
• মোবাইলফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে।
• দেশের বাইরে সুপারভাইজার অথবা হেড ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবেও কাজের সুযোগ আছে।

🌼কেমন হতে পারে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আয়:

ডিপ্লোমা শেষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ২য় শ্রেণির গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে তিতাস, ডেসকোর মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দিলে তার আয় হতে পারে ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্ট্রি লেভেলে আয় শুরু হয় ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে। তবে বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে আয় কম বেশি হয়।
আর যাদের অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে সেই সব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের আয় বেসরকারি খাতে এবং কন্সালটেন্সিতে বেশ ভালো হয়ে থাকে।

🌼কোথায় করবেন ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি  সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং –এ ডিপ্লোমা করার। তাছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে।

🌼ভর্তির যোগ্যতা:
চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ এবং এইচএসসি পরীক্ষার পাসকৃত শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে তবে এক্ষেত্রে পলিটেকনিকের ভর্তি নীতিমালা দেখে নিতে হবে। প্রতি বছর নীতিমালা পরিবর্তন আসতে পারে।
এইচএসসি (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৩য় সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারবে এবং এইচএসসি( ভোকেশনাল) শিক্ষার্থীরা সরাসরি চতুর্থ সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারবে তবে এক্ষেত্রে নীতিমালা লক্ষ্য করতে হবে। নীতিমালা পরিবর্তন হলে এরকম নাও হতে পারে।

🌼উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ:
একজন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার  ডিপ্লোমা কোর্সের পর EEE  টেকনোলজিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এজন্য DUET (Dhaka University of Engineering & Technology), SUST (সিলেট), JUST(যশোর), RSTU (রাজশাহী) এর মত বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুযোগ  রয়েছে। এছাড়া AMIE (Associate Member of the Institution of Engineers) ডিগ্রীসহ বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগও তাদের রয়েছে।


🌼জেনারেল এডুকেশন সিস্টেম ছেড়ে কেন ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ?
ভবিষ্যতে গতানুগতিক গ্রাজুয়েশন করতে অনিচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের জন্য এই কোর্সটি আকর্ষনীয়। আর্থিকভাবে কম শক্তিশালী কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রদের জন্যও একটি সম্ভাবনাময় পথ এবং এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি চাকরির বিজ্ঞপ্তিগুলো খেয়াল করলে দেখা যায় যে, ডিপ্লোমা এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাকরির বাজারে যোগ্যতার তেমন পার্থক্য নেই।
যেখানে বিবিএ, অনার্সের শিক্ষার্থীরা ভাল ভার্সিটিতে পড়েও বেকার, সেখানে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক কম কিন্তু সুযোগ অনেক বেশি।
তবে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করার পর উচ্চতর শিক্ষা না চাকরি কোনটি বেছে নিবেন সেটা অবশ্যই আলোচনা করে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি ভাল সুযোগ সুবিধাসহ কোন চাকরির সম্ভাবনা না থাকে তবে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের জন্য উচ্চতর শিক্ষা এবং প্রশিক্ষনই শ্রেয়। 
প্রায়শই বলা হয়, “ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি সকল শিল্পের মাতা”, অর্থ হল বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি সব শিল্প কারখানার প্রধান চালিকাশক্তি। আমাদের দেশে বিদ্যুতের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু হচ্ছে যার ফলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের  চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের দক্ষ প্রকৌশলীদের চাহিদা পূরণের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র এটি। সবশেষে বলা যায়, যদি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যাপারে যথেষ্ঠ আগ্রহ থেকে থাকে, তবে ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি আপনার জন্য অন্যতম সম্ভাবনার দ্বার।

তথ্যসূত্রঃ mahbubmahin.blogspot.com এ প্রকাশিত। 

🖥কম্পিউটার টিপসঃ রান কমান্ড লিস্ট

🖥কম্পিউটার টিপসঃ রান কমান্ড লিস্ট
কম্পিউটারে Windows অপারেটিং সিষ্টেমে জেনে নিই গুরুত্বপূর্ণ Run Command গুলো



আজকে আমি কম্পিউটারের Run command সর্ম্পকে বলবো, Windows অপারেটিং সিষ্টেমে Start মেনুতে Run command এমন একটি অপশন যা কম্পিউটার ব্যবহার কারীদের বিভিন্ন কাজকে করে তুলে গতিশীল। কম্পিউটারে আমরা যে সকল কাজ করি তার মধ্যে অনেক কাজই এই অপশনটি দ্বারা করা সম্ভব। নিচে কিছু কমান্ডের নাম ও কাজ গুলো উল্লেখ করা হল-

০১. ফোল্ডার প্রপার্টিস = Control Folder

০২. ফন্টস = control fonts

০৩. ফন্টস ফোল্ডার = fonts

০৪. গেম কন্ট্রোলস = joy.cpl

০৫. গ্রুপ পলিসি এডিটর = gpedit.msc

০৬. হেল্প এন্ড সাপোর্ট = helpctr

০৭. হাইপার টার্মিনাল = hypertrm

০৮. Word প্যাড = write

০৯. উইন্ডোস এক্সপি টুর = tourstart

১০. উইন্ডোস ভার্শন = winver

১১. উইন্ডোস মেসেঞ্জার = wsmsgs

১২. উইন্ডোস মিডিয়া প্লেয়ার = wmplayer

১৩. উইন্ডোস মেনেজমেন্ট = wmimgmt.msc

১৪. উইন্ডোস ফায়ারওইয়াল = firewall.cpl

১৫. Windows এক্সপ্লোরার = explorer

১৬. টাস্ক মেনেজার = taslmgr

১৭. টিসিপি টেস্টার = tcptest

১৮. ইউটিলিটি মেনেজার = utilman

১৯. উইন্ডোস এড্রেস বুক = wab

২০. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার = iexplore

২১. ক্যালকুলেটর = calc

২২. কমান্ড প্রোম্পট = cmd

২৩. কন্ট্রোল প্যানেল = control

২৪. এডমিনিস্ট্রাটিভ টুলস = control admin tools

২৫. ডিস্ক ক্লিনাপ = cleanmgr

২৬. ডিস্ক পার্টিশন মেনেজার = diskpart

২৭. ডিক্স মেনেজমেন্ট = diskmgmmt.msc

২৮. ডিভাইস মেনেজার =devmgmt.msc

২৯. ইউজার একাউন্ট = control userpasswords2

৩০. ডিস্ক চেক = chkdsk

৩১. ডিসপ্লে প্রপারটিজ = control desktop

৩২. ইন্টারনেট প্রপারতিজ = inetcpl.cpl

৩৩. উইন্ডোস লগ অফ = logoff

৩৫. মাইক্রোসফট চ্যাট = winchat

৩৬. উইন্ডোস মুভি মেকার = moviemk

৩৭. মাইক্রোসফট পেইন্ট = mspaint

৩৮. কীবোর্ড প্রপারটিজ = control keyboard

৩৯. মাউস প্রোপার্টিজ = control mouse

৪০. নেট মিটিং = conf

৪১. নোটপ্যাড = notepad

৪২. নেটওয়ার্ক কানেকশন = netsetup.cpl

৪৩. অবজেক্ট পেজ মেকার = packager

৪৪. লোকাল সিকিউরিটি সেটীংস = secpol.msc

৪৫. সার্ভিসেস = services.msc

৪৬. রেজিস্যট্রি এডিটর = regedit

৪৭. রিমোট ডেস্কটপ = mstsc

৪৮. প্রিন্টার এন্ড ফ্যাক্স = control printers

৪৯. পাওয়ার কনফিগারেশন = powercfg.cpl

৫০. ফোন ডায়ালার = dialer

আজ এপর্যন্তই,  ধন্যবাদ সবাইকে  ☺