Iphone লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Iphone লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

আইফোন ১৫ এক ঘণ্টায় পূর্ণ চার্জ হবে!

আইফোন ১৫ এক ঘণ্টায় পূর্ণ চার্জ হবে!

 

আইফোন ১৫ এক ঘণ্টায় পূর্ণ চার্জ হবে!



আইফোন ১৫ নিয়ে এরই মধ্যে অনেক গুঞ্জন বাজারে ছড়িয়েছে। মোটামুটি ফোনের পুরো স্পেসিফিকেশনই ফাঁস হয়ে গেছে! বড় পরিবর্তনগুলোর একটি হলো লাইটনিং কানেক্টরের পরিবর্তে এতে থাকবে ইউএসবি–সি। এবার নাইন–টু–ফাইভ ম্যাক বলছে, আইফোন ১৫ ফোনটি ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করবে। এটি ৩৫ ওয়াট চার্জিং সমর্থন করার মানে হলো এযাবৎকালের যে কোনো আইফোন মডেলের চেয়ে এটি দ্রুত চার্জ হবে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লগটি জানিয়েছে, আইফোন ১৫–এর কিছু মডেল ৩৫ ওয়াট চার্জিং সমর্থন করবে। যেখানে বর্তমানে আইফোন ১৪ প্রো সর্বোচ্চ ২৭ ওয়াট সমর্থন করে। আর আইফোন ১৪ সমর্থন করে ২০ ওয়াট। এই সক্ষমতায় আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স সম্পূর্ণ চার্জ হতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নেয়।

গত বছর অ্যাপল একটি নতুন ৩৫ ওয়াট ডুয়াল ইউএসবি–সি চার্জার বাজারে এনেছে।  এটি আইফোনের বর্তমান সব মডেলেই ব্যবহার করা যায় এবং এটি বেশ দ্রুত গতিতে ব্যাটারি রিচার্জ করতে সক্ষম।

অ্যাপল ৩০ ওয়াটের ইউএসবি–সি চার্জারও বিক্রি করে। এটি মূলত ম্যাকবুক এয়ারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে আইফোন এবং আইপ্যাডেও এটি কাজ করে।

এই চার্জার দিয়ে নতুন আইফোন কত দ্রুত পূর্ণ রিচার্জ করা যাবে সেটি বুঝতে স্যামসাংয়ের সর্বশেষ সংস্করণের ফ্ল্যাগশিপের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা ৪৫ ওয়াট পর্যন্ত ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে। একেবারে ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ হতে স্যামসাংয়ের এই ফোনে সময় লাগে ১ ঘণ্টারও কম। সে হিসাবে নতুন আইফোনগুলো ৩৫ ওয়াটে রিচার্জ হতে এর চেয়ে কিছুটা বেশি সময় নেওয়ার কথা। এরপরও আইফোন ১৪–এর তুলনায় এটি বড় উন্নতিই বলা চলে।

এখনো একটি বিষয় স্পষ্ট নয় যে, ৩৫ ওয়াট চার্জিং সক্ষমতা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি আইফোন ১৫ লাইনআপের সব ফোনেই কাজ করবে।

নতুন আইফোনে আরও যা থাকছে

আইফোন ১৫ মডেলগুলোর প্রান্ত সামান্য বাঁকা (কার্ভ) হতে পারে। ক্যামেরার বাম্পটি বড় হবে এবং ডিসপ্লের বেজেল হবে বেশ ছোট। প্রো মডেলগুলোর জন্য অ্যাপল একটি নতুন অ্যাকশন বাটন আনার কথা বলছে। এটি হচ্ছে মিউট/রিং সুইচ। এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব ডিজাইনের এ১৭ বায়োনিক চিপ, নতুন টাইটেনিয়াম ফ্রেম। আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে থাকবে পেরিস্কোপ লেন্সসহ আরও উন্নতমানের ক্যামেরা।

অ্যাপল আনছে বেজেলহীন আইফোন!

   অ্যাপল আনছে বেজেলহীন আইফোন!

 

অ্যাপল আনছে বেজেলহীন আইফোন!



আমাদের অনেকেই যখন নতুন আইফোন সিরিজ ১৫ দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন আইফোন নিয়ে একেবারেই নতুন একটি তথ্য সামনে এসেছে। তবে সেটা নিশ্চিতভাবেই আইফোন ১৬ নিয়ে নয়। বরং ভবিষ্যৎ আইফোন দেখতে কেমন হবে, সেটাই বলা হয়েছে তাতে।

বলা হচ্ছে, আগামীর আইফোন হবে সম্পূর্ণ ‘বেজেল-লেস’ তথা খাঁজ বা কিনারাহীন। অর্থাৎ তাতে একেবারেই কোনো খাঁজ থাকবে না। সেটা হবে ফুল স্ক্রিন আইফোন। এছাড়া এতে আন্ডার ডিসপ্লে ফেস আইডিও থাকবে।

ফোন বা টিভির স্ক্রিনের চারপাশে যে ফাঁকা জায়গা থাকে তাকে বেজেল বলে। আইফোনের ওপরের দিকে এমন একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। ২০১৭ সালে অ্যাপল আইফোন এক্স লঞ্চ হয়েছিল। এতে সুপার স্লিম সাইড বেজেল, সেলফি ক্যামেরা ও ফেস আইডি রাখার জন্য ডিসপ্লের ওপরে একটি অপেক্ষাকৃত পুরু নচ ছিল, যা অ্যাপলের ইতিহাসে প্রথম।

গত বছর অ্যাপল আইফোন ১৪ সিরিজ পর্যন্ত ডিজাইন কমবেশি একই রকম ছিল। বর্তমান আইফোন মডেলে কোম্পানি নচের ডিজাইন পরিবর্তন করেছে এবং সেই জায়গায় একটি নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে, যাকে কোম্পানি ‘ডায়নামিক আইল্যান্ড’ বলছে।

তবে মনে করা হচ্ছে, আইফোনে শিগগিরই বদল আসবে এবং আল্টিমেট এজ-টু-এজ ডিসপ্লে এক্সপেরিয়েন্সের জন্য নচ ও বেজেল ছাড়াই আইফোন বাজারে আসবে। চীনভিত্তিক আইস ইউনিভার্স জানিয়েছে, অ্যাপল এরই মধ্যে জিরো-বেজেল বা নচহীন আইফোন নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আরও জানিয়েছে, বেজেল বা নচহীন ওএলইডি স্ক্রিন তৈরি করার জন্য অ্যাপল স্যামসাং ও এলজির সঙ্গে কাজ করছে। ইউপিসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি নতুন এই আইফোনগুলো দেখতে হবে এক টুকরো কাঁচের মতো।

এছাড়া আইস ইউনিভার্স আরও জানিয়েছে, অ্যাপলের নতুন আইফোনের বডি হবে পুরোটাই হবে কাঁচের। যা একটি নতুন ধরণের অতি-শক্তিশালী কাঁচ ব্যবহার করে তৈরি করা হবে। এর ফলে নতুন আইফোনগুলো একটি বন্ধ ক্রিস্টাল বক্সের মতো দেখাবে। যার মাধ্যমে এটি ‘ভবিষ্যতের মোবাইল ফোন’ হয়ে উঠবে।

চলতি বছর আইফোন সিরিজের নতুন আইফোন ১৫ বাজারে আসার কথা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এটি লঞ্চ করার থাকলেও আরও এক বা দুই মাস পেছাতে পারে বলে জানিয়েছে কোম্পানি। অ্যাপলের সবচেয়ে বড় চমক আইফোন সিরিজ। যার জন্য প্রতীক্ষা করেন বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারী। প্রত্যেক সিরিজেই নতুন কিছু চমক দেয় অ্যাপল। আইফোন ১৫-তেও তেমনটাই আশা করা হচ্ছে।

আইফোন ১৫ লঞ্চ না হলেও এরই মধ্যে এর কিছু ফিচার্স তথা বৈশিষ্ট্যের কথা ফাঁস হয়ে গেছে। যা নিয়ে টেক মহলে চলছে জোর আলোচনা। জানা যাচ্ছে, আইফোন ১৫ সিরিজের মতো এতেও থাকবে চারটি মডেল। মডেলগুলো হলো, আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স।

এর মধ্যে আইফোন ১৫ প্রো-তে আগের চেয়ে আরও পাতলা বেজেল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে আইফোনের বেজেল আরও পাতলা বা একেবারেই বাদ দেয়ার ব্যাপারেই আগ্রাহী অ্যাপল। বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপল যদি শেষ পর্যন্ত আইফোন থেকে পাতলা বেজেল সরাতে পারে তবে এটি একটি অত্যাশ্চর্য ডিজাইন হয়ে উঠবে।

অ্যাপল তার ভবিষ্যৎ আইফোনের ব্যাপারে আরও যে বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটা হচ্ছে এর ফেস আইডি যা সম্পূর্ণভাবে এর ডিসপ্লের অধীনে থাকবে। ফেস আইডি নিয়ে আসার খবর অবশ্য নতুন নয়। বেশ আগে থেকেই এ নিয়ে জল্পনা চলছে।