বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ।

বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ।

 

****বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম:



১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে ‘দুর’ (‘দুর’ উপসর্গ) বা ‘দু+রেফ’ হবে।
যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।
২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে।
যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।
৩. পদের শেষে ‘-জীবী’ ঈ-কার হবে।
যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।
৪. পদের শেষে ‘-বলি’ (আবলি) ই-কার হবে।
যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।
৫. ‘স্ট’ এবং ‘ষ্ট’ ব্যবহার: বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন—পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে ‘ষ্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।
৬. ‘পূর্ণ’ এবং ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/
পুনরায়) ব্যবহার ‘পূর্ণ’ (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে।
যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি।
‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re-অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে।
যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন,
পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।
৭. পদের শেষে’-গ্রস্থ’ নয় ‘-গ্রস্ত’ হবে।
যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।
৮. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।
৯. ‘কে’ এবং ‘-কে’ ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে ‘কে’ (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়।
যেমন— হৃদয় কে? প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে ‘-কে’ এক সাথে ব্যবহার হবে।
যেমন—হৃদয়কে আসতে বলো।
১০. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না।
যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।
১১. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে ‘অ্যা’ ব্যবহার হয়।
যেমন— অ্যান্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স(Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট(Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি।
অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে ‘এ’ হয়। যেমন—এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।
১২. ইংরেজি বর্ণ S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে ‘স’ এবং sh, -sion, -tion শব্দগুচ্ছে ‘শ’ হবে।
যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।
১৩. আরবি বর্ণ ﺵ ( শিন)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে ‘শ’ এবং ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর বাংলা বর্ণ
রূপ হবে ‘স’। ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর উচ্চারিত রূপ মূল শব্দের মতো হবে এবং বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ‘স’ ব্যবহার হবে।
যেমন— সালাম, শাহাদত, শামস্, ইনসান ইত্যাদি। আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা থেকে আগত শব্দসমূহে ছ, ণ ও ষ ব্যবহার হবে না।
১৪. শ ষ স তৎসম শব্দে ষ ব্যবহার হবে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে ষ ব্যবহার হবে না। বাংলা বানানে ‘ষ’ ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ষত্ব-বিধান, উপসর্গ, সন্ধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বাংলায় অধিকাংশশব্দের উচ্চারণে ‘শ’ বিদ্যমান। এমনকি ‘স’ দিয়ে গঠিত শব্দেও ‘শ’ উচ্চারণ হয়। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র- ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে ‘স’-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়।
যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত, শ্রী,
আশ্রম ইত্যাদি।
১৫. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচন রূপী শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না।
যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ),
আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি। এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।
১৬. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।
১৭. উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশাঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার।
১৮. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
এক্ষেত্রে উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— কিংবদন্তী, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত,
সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।
[দ্রষ্টব্য: বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার (ং) দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।]
১৯. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।
কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত
প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়।
যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?
কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে।
যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
২০. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।

" জেনে রাখা ভালো "

" জেনে রাখা ভালো "

 



" জেনে রাখা ভালো "
১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন, তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে। এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন বের হয়, যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে রাখাই ভালো।
২. চা পানের পরেই পানি পান করা উচিত নয়। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়।
৩. দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কান খুঁচাবেন না।
অপরপাশ থেকে যে কারো ধাক্কা লেগে বিপদ হতে পারে৷
৪. একই টুথব্রাশ তিন মাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷
প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলানো দরকার।
তাছাড়া মাঝে মধ্যে গরম পানি দিয়ে টুথব্রাশ ভালো করে ধুয়ে রাখা উচিৎ।
৫. খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়৷ এটি গ্যাসের জন্য ক্ষতিকর৷
৬. টি.ভি দেখার সময় লাইট বন্ধ করা উচিৎ নয়।
লাইট বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে, যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
৭. ঔষধ নয়,
মুখের দাগ দূর করতে শশা অথবা আলু চাক, চাক করে কেটে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ধীরে ধীরে দাগ দুর হবে।
৮. গবেষণায় দেখা গেছে, আদা ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে।
তাইতো প্রতিদিন কিছুটা হলেও আদা খাওয়া উচিত।
৯. একটি সাদা চুল তুললে, সেখান থেকে দুটি সাদা চুল গজায়।
এমন ধারনা একেবারেই ভুল।
১০. কানে তেল দেওয়া,
খুঁচাখুঁচি করা,একেবারেই অনুচিত।
এতে উপকার তো হয়-ই না, বরং ক্ষতির সম্ভাবনা প্রচুর।
আমাদের মনে রাখা উচিৎ,
কান এমনই একটা জায়গা,যেখানে পরিস্কার করার কোন প্রয়োজন নাই। নিজের থেকেই তা পরিস্কার হয়ে যায়।

আপনি জানেন কি ? (মানব দেহ )

আপনি জানেন কি ? (মানব দেহ )

 



আমাদের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি.। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা যাওয়া করলে যে দূরত্ব অতিক্রান্ত হবে, তার সমান।

আর DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্ঠা সংখ্যা হবে ৫০০।
আমাদের দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন। লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন।
ছবিটি ঠিক চামড়ার নিচের অংশ। এভাবেই যদি দুনিয়াতে পাঠাতেন, সুন্দর চামড়ার আবরণ না থাকতো কেমন হতো তখন? কাউকে দেখে মায়া ভালবাসা তৈরি হতো না। থাকতো না হাসি কান্নার এই অভিব্যক্তি।
দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭০০০ কি.মি. লম্বা।
একটু চিন্তা করুন তো! এক হাত লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও জট পাকিয়ে যায়। কিন্তু আপনার দেহের ৯৭০০০ কি.মি. ব্লাড ভেসেল কখনোই জট পাকিয়ে যায় নি।
দীর্ঘ এই ব্লাড ভেসেলগুলো কী অদ্ভুত সুক্ষ্মভাবে তৈরি। নেই কোন কম্প্লিকেশন বা জটিলতা।
সুবহানআল্লাহ ❤️
"এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা চিন্তাভাবনা করে।"
(সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৪)
পৃথিবীর কোন কারখানা অন্ধকারে চলে না। কোন প্রোডাক্ট অন্ধকারে তৈরি হয় না। কিন্তু আমাদের সৃষ্টি যে কারখানায়, সেই মায়ের পেটে, তিন স্তর বিশিষ্ট অন্ধকারে ঘেরা। অথচ সেই সৃষ্টি কত নিখুঁত, কত অদ্ভুত সুন্দর!
আশেপাশের সব পুড়ে যাওয়ার পর মসজিদ বা কুরআন পুড়লো কিনা, আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ সেখানে খোঁজার প্রয়োজন নেই। পশু পাখির গায়ে তাঁর নাম অংকিত রয়েছে কিনা, মেঘের ভাঁজে তাঁর নাম ফুটে উঠেছে কিনা, প্রয়োজন নেই তা দেখার।
তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ আমরা নিজেরাই। তিনি আল্লাহ ❤️ আমাদের এই শরীরের নির্মাতা।
“আর তোমাদের মধ্যেই রয়েছে নিদর্শন, তোমরা কি দেখো না?”
(সূরা যারিয়াত,আয়াত : ২১)
ধন্যবাদ,কষ্ট করে পড়ার জন্য।

MegaBit vs MegaBite !

MegaBit vs MegaBite !



 বাসায় #ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ নেয়ার পরবর্তীতে সবারই একটা প্রশ্ন থাকে যে আমি লাইন নিলাম 1Mbps কিন্তু যখন ডাউনলোড দিই তখন ডাউনলোড স্পিড দেখায় 200 কেবিপিএস বা 128 কেবিপিএস বা তার একটু বেশি।তাহলে কি #Internet #Service #Provider রা আমাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পিড দিচ্ছে না?তারা কি আমাকে ধোকা দিচ্ছে?

তো চলুন এই বিষয়টা আজকে একটু ক্লিয়ার করি।
প্রথমে আমাদের জানা দরকার B ও b কি?
অবাক হইয়েন না,দুইটা অক্ষর একই হলেও ছোট অক্ষর ও বড় অক্ষরের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
B=Byte এবং b=Bit.
বড় হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Byte আর ছোট হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Bit.
তো চলুন এবার MB এবং Mb নিয়ে কথা বলি।
MB=Megabyte এবং Mb=Megabit
Bit হচ্ছে ডাটা ট্রান্সফারের সর্বকনিষ্ঠ একক,যার মধ্যে শুধু মাত্র 0 or 1 রয়েছে।
গান,মিউজিক,পিকচার যে কোনো ফাইল ইত্যাদির সাইজ পরিমাপ করা হয় MB অর্থাৎ Megabyte দিয়ে।
আর ইন্টারনেটের গতি পরিমাপ করা হয় Mb/Mbps অর্থাৎ Megabits Per Second.
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কত Bit=Byte?
দেখুন এটা তো আমরা জানি যে Bit থেকে Byte বড়।
তো
Bit=0 or 1
1Byte=8Bit.
তারমানে হচ্ছে 8 টি Bit নিয়ে 1 Byte.
তারমানে ফাইলের Megabytes ইন্টানেটের Megabits থেকে 8 গুণ বড়।
তাহলে এবার আলোচনাকরি কেন আমরা পর্যাপ্ত পরিমান স্পিড পাই না কোনো ফাইল ডাউনলোড করার সময়।
এটা সম্পর্কে শুধুমাত্র দু লাইন বললেই বুঝে যাবেন।সেটা হচ্ছে সংযোগ প্রদানকারীররা আপনাকে যে লাইন প্রদান করে তার হিসাব হয় Mb তে অর্থাৎ megabit এ।আর আপনি যেটা ডাউনলোড করেন সেটার হিসাব হয় MB তে অর্থাৎ Megabyte এ।আপনি যদি আপনার ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড ও ডাউনলোড স্পিড চেক করবেন তখন দেখবেন সেটা Mbps এ দেখাবে(ছোট হাতের b) অর্থাৎ Megabit Per Second. আর যদি ডাউনলোড তখন সেটা দেখাবে MBps এ (বড় হাতেরB) অর্থাৎ Megabyte Per Second.
Wait…..এখানে থামুন আর ৩০ সেকেন্ড মনে মনে ভাবুন।
হ্যা আপনি যা ভাবছেন তাই।
আমি আগেই বলছি যে কোনো ফাইলের ক্ষেত্রে হিসাব হয় Megabyte এ আর ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে হিসাব হয় Megabit এ।
তো মনে করুন আপনার 1Mbps এর একটি লাইন আছে, তো এখান থেকে আপনি ডাউনলোড স্পিড পাবেন 1÷8=0.125MBps.
অথবা মনে করুন আপনার কাছে 10 Mbps এর একটি লাইন আছে,তো এখান থেকে আপনি এক সেকেন্ডে ডাউনলোড স্পিড পাবেন 10÷8=1.25 MBps.
এভাবে আপনি যদি 1MB File এক সেকেন্ডে ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনার Link Speed লাগবে 8Mbps.
অথবা মনে করুন আপনার কাছে 100Mbps এর কানেকশন আছে তো আপনি 100 MB এর একটি ফাইল ডাউনলোড করতে চান। তাহলে কত সময় লাগবে?
দেখুন আপনার কাছে স্পিড আছে 100Mbps,যদি এটাকে MB তে কনভার্ট করি তাহলে হবে 100÷8=12.5 MBps
তাহলে 12.5 MB ফাইল ডাউনলোড হয়
১ সেকেন্ডে।
অতএব 100MB ফাইল ডাউনলোড হবে
100÷12.5 =8 Sce.
অর্থাৎ 100Mbps স্পিড থেকে 100 MB সাইজের একটি ফাইল ডাউনলোড হতে সময় লাগবে ৮ সেকেন্ড।
এভাবে হিসাব হব
1Mbps = 128KB Max
2Mbps = 256KB Max
3Mbps = 384KB Max
4Mbps = 512KB Max
Mbps = (M)ega (b)its (p)er (s)econd
Kb= (k)ilo (b)its But, If
KB= (K)ilo (B)yte
So, b= bit and B=Byte
আমরা যখন কিছু ডাউনলোড দেই তখন দেখি ডাউনলোড দেখাচ্ছে KB বা MB
মনে রাখবেন 8bit = 1Byte
So, 1 M(b)ps = 1024 K(b)ps = 1024K(bit) / 8bit = 128K(Byte)
তাই YouTube, BDIX/Movie Server/ FTP Server বাদে অন্য সকল সাইট থেকে ডাউনলোড দিলে এই দেখাবে....
যাদের লাইন Speed নিচে যথাক্রমে-
1Mbps = 128KB Max
2Mbps = 256KB Max
3Mbps = 384KB Max
4Mbps = 512KB Max
.... .... ….
8Mbps = 1024KB / 1MB Max
আশাকরি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন,যদি না বুঝে থাকেন তাহলে পোস্টটি আরেকবার পড়ুন তাহলেই বুঝে যাবেন।

(সংগৃহিত )

 "চোখের পানি ".... কোনো সাধারন পানি নয়!!


"চোখের পানি ".... কোনো সাধারন পানি নয়!!
চোখের পানি নিয়ে উইলিয়াম ফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন। গবেষণা শেষে তিনি বলেছেনঃ
"চোখের পানি কোনো সাধারণ কিছু নয়। এটি পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ।
.
এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
.
এটি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়।
.
এটি চোখের জন্য ওয়াইপার হিসেবে কাজ করে, যা চোখকে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে।"
.
চোখের পানি যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত!
.
আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিত।
.
চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতির লক্ষ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার এক বিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণু মুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
.
চোখের পানির এই ব্যাপারটা চিন্তা করলেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক অবনত হয়ে যায়।
.
সুবহান'আল্লাহ্!
এক চোখের পানিতেই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কত-শত অনুগ্রহ দেখিয়েছেন, কত সুক্ষ্ম, কত পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করেছেন!ভাবনার মোড়কে আটকানো অসম্ভব!
.
فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
"অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"
|সূরাহ আর-রহমান,আয়াত-১৩|

ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড কি ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে ?

ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড কি ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে ?


ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড কি ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে?





 আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে আপনার ব্যাংকিং সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই। আসুন ক্লিয়ার করি বেপারটা।

কার্ড দুই টাইপ- ১. ডেবিট ২.ক্রেডিট
আম-জনতা যেগুলা কে বলে মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড আসলে মাস্টারকার্ড ও ভিসা দুটি কোম্পানির নাম।
এরা ইন্টারন্যাশনালি টাকা লেনদেন গুলো দেখে থাকে । এরা নিজেরা কোন কার্ড প্রভাইড করেনা বিভিন্ন ব্যাংক এর মাধ্যমে এ সেবা দিয়ে থাকে।
মাস্টার কার্ড হোক আর ভিসা দুই ধরনের কার্ড আছে ভিসা /মাস্টার কার্ড ডেবিট, ভিসা/মাস্টার কার্ড ক্রেডিট।
এই গুলোর আবার দুই টাইপ হয় এক হচ্ছে লোকাল আরেকটি ইন্টারন্যাশনাল ডুয়েল কারেন্সি।
আপনার যদি লোকাল ভিসা/মাস্টার কার্ড - ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকে তা শুধু আপনি নিজ দেশে ব্যাবহার করতে পারবেন। বাহিরে ব্যবহার করতে পারবেন না । আর যদি আপনার টা ডুয়েল কারেন্সি হয় তাহলে দেশ ও দেশের বাহিরে সব যায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রায় অনেক ব্যাংকই ডেবিট /ক্রেডিট কার্ড ইসু করে থাকে ডাচবাংলা, সিটি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক ইত্যাদি। এখন যদি আপনার লোকাল ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড হয় মাস্টার অথবা ভিসা আপনি যখন অনলাইনে কেনাকাটার সময় দেখবেন যে ভিসা কার্ড এ পেমেন্ট করা যায় তাহলে আপনি যে কোন ব্যাংক এর ভিসা কার্ড দিয়ে তা পেমেন্ট করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল হলে বাহিরেও আপনি লেনদেন করতে পারবেন।
ভিসা আর মাস্টার কার্ড এর পার্থক্য?
কোন পার্থক্য নেই শুধু আলাদা দুটি কোম্পানি। এছারাও আছে আমেরিকান এক্সপ্রেস। সব একি শুধু কোম্পানি আলাদা।
ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড এর পার্থক্য?
ডেবিট কার্ড- ডেবিট কার্ড অনেকটা আপনার মানি ব্যাগ এর মত এতে টাকা থাকলে আপনি খরচ করতে পারবেন না থাকলে নাই। তেমনি কার্ড এ টাকা থাকলে আপনি খরচ করতে পারবেন না থাকলে নাই।
ক্রেডিট কার্ড- ক্রেডিট হচ্ছে আপনার কার্ড এ একটা ক্রেডিট লিমিট থাকবে। ধরেন ৯০ হাজার আপনার কাছে টাকা না থাকা শর্তেও আপনি ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত কেনাকাটা ও নগদ অর্থ উঠাতে পারবেন। পরে আপনার সুদ সহ সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
কিভাবে করবেন ক্রেডিট ডেবিট কার্ড -
যেসকল ব্যাংক কার্ড দিয়ে থকে তদের সাথে যোগাযোগ করুন। যেমন, ডাচবাংলা, ইউসিবি, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক ইত্যাদি।
ধন্যবাদ। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।