ইনশাআল্লাহ না বললে কি হয়..?
মুসলমান মাত্রই যেকোনো নেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে থাকেন।এবং কোনো পরিকল্পনা সংকল্প ইচ্ছা আশা পোষণকালে বলে থাকেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনি জানেন কি এই “ইনশাআল্লাহ” অর্থাৎ “যদি আল্লাহ চান” এটি না বললে আপনার কি হতে পারে..?
চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নেই ইনশাআল্লাহ না বলায় মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত সুলায়মান (আ.) কে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে সহিহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত ঘটনার সারমর্ম এই যে একবার হযরত সুলায়মান (আঃ) মনোস্থির করলেন যে সকল স্ত্রী সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রত্যেকের গর্ভে থেকে একটি করে পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করবে। সেই সন্তানরা পরে আল্লাহর পথে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে জিহাদ করবে।কিন্তু এ সময় তিনি ইনশাআল্লাহ ( অর্থঃ যদি আল্লাহ চান) বলতে ভুলে গেলেন।
নবীর এ ত্রুটি আল্লাহ পছন্দ করলেন না। ফলে মাত্র একজন স্ত্রী গর্ভে থেকে একটি অপূণাঙ্গ ও মৃত শিশু ভূমিষ্ট হল ( মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/৫৭২০ ক্বিয়ামতের অবস্থা অধ্যায় সৃষ্টির সূচনা ও নবীগণের আলোচনা অনুচ্ছেদ ৯)
এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে সুলায়মান বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতা সম্পন্ন বাদশাহ হলেও এবং জিন, বায়ু, পক্ষীকুল ও সকল জীবজন্তু তাঁর হুকুম পালন করলেও মূলত আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই করার ক্ষমতা ছিল না তাঁর।
অতএব তাঁর ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে যাওয়াটা ছোটখাট কোন অপরাধ নয়। এ ঘটনায় এটাও স্পষ্ট হয় যে যারা যত বড় পদাধিকারী হবেন তাদের ততবেশি আল্লাহর অনুগত হতে হবে এবং সর্বাবস্হায় সকল কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। সর্বদা বিনীত হয়ে চলতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই অহংকার করা চলবে না।
ভাবুন বন্ধুরা যদি একজন নবীর ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ না বলায় এতোটা নারাজ হতে পারেন তাহলে আপনার আমার মতো গুনাহগার বান্দার উপর আল্লাহ কতটুকু অসন্তুষ্ট হতে পারে…? হতে পারে হয়তো এই ইনশাআল্লাহ না বলার কারণে আমাদের আশা গুলো পূরণ হয়না আমাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়না।