কম্পিউটার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কম্পিউটার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!

সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!

 

সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ!




সস্তায় বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপ বাজারে এলো। এই ল্যাপটপ এনেছে জেবরোনিক্স নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মডেল প্রো সিরিজ ওয়াই। এই ল্যাপটপ দেশটির বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ হাজার ৯৯০ রুপিতে।

প্রো সিরিজ ওয়াই সিলভার বা সেজ গ্রিন রঙে কিনতে পারবেন, অন্যদিকে প্রো সিরিজ জেড স্পেস গ্রে, মিডনাইট ব্লু এবং ব্লু রঙে পাওয়া যাবে।

জেবরোনিক্স তাদের নতুন ল্যাপটপে অনেক অভিনব ফিচার এবং সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট, মসৃণ মেটাল বডি, ইন্টেল প্রসেসর, উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ১৬ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম এবং ১ টিবি স্টোরেজ। এই ল্যাপটপের ডিজাইনও বেশ চমকপ্রদ।

জেব্রোনিক্স প্রো সিরিজ ওয়াই মডেলের ল্যাপটপে একটি প্রিমিয়াম মেটালিক ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। ওজনও মাত্র ১.৭ কেজি। এতে একটি ১৫.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে ব্য়বহার করা হয়েছে। এই ল্যাপটপে ১১ তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৩ বা ৫ প্রসেসর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১৬ জিবি র‌্যাম ও ৫১২জিবি স্টোরেজ।

জেব্রোনিক্স প্রো সিরিজ ওয়াই ল্যাপটপে ডুয়াল-ড্রাইভার স্পিকার এবং একটি ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক রয়েছে। এছাড়া টাইপ-সি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করতে পারবেন। ৬৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ফিচারও রয়েছে। কানেকশনের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, মিনি এইচডিএমআই, টাইপ ৩.২ পোর্ট এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট।




















কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?

 

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভের আগে এ, বি ড্রাইভ নেই কেন ?




কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কখনোই ‘A’ কিংবা ‘B’ ড্রাইভ থাকে না। ড্রাইভগুলোর নাম ‘C’ থেকে শুরু হয়। কিন্তু কেন?

আপনি যদি কম্পিউটারের শুরুর দিককার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনার জানার কথা। কিন্তু আপনি যদি বর্তমান প্রজন্মের ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার মনে এই প্রশ্ন উদয় হয় যে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ড্রাইভের নাম ‘C’ থেকে শুরু কেন?

অর্থাৎ কম্পিউটারের মূল ড্রাইভ সর্বদা ‘C’ থেকে শুরু হয় এবং এরপর অন্যান্য ড্রাইভগুলো ধারাবাহিকভাবে ‘D’, ‘E’, ‘F’ এরকম হয়ে থাকে। আর যদি কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি ‘G’ এবং ‘H’ হয়ে থাকে। সুতরাং ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভের কী হলো?

যা হোক, এবার উত্তরটি জেনে নিন। কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে, তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। কম্পিউটারে স্টোরেজ হিসেবে শুরুর দিকে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো। ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রাথমিক অবস্থায় ‘A’ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের মাপের ছিল  ৫ ১/৪ ইঞ্চি এবং ৩ ১/২ ইঞ্চি। ফলে কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তা ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ নামে ছিল।

এরপর ১৯৮০ সালের দিকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন সেটি ধারাবাহিকতা অনুসারে ‘C’ ড্রাইভ নামে ব্যবহৃত হতে থাকে। কারণ তখনো কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ ছিল। হার্ডডিস্কে সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় অতি অল্প স্টোরেজ ক্ষমতার ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার কম্পিউটার কমতে থাকে। এবং পরবর্তী সময়ে ফ্লপি ডিস্ক পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ায়, কম্পিউটার থেকে থেকে বিদায় নেয় ফ্লপি ডিস্ক এবং ‘A’ এবং ‘B’ নাম দুইটি। কিন্তু হার্ডডিস্ক আজও অক্ষুণ্ন থাকায় মূল ড্রাইভ হিসেবে হার্ডডিস্ক ‘C’ নামেই রয়েছে।

তবে আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ড্রাইভটি যে ‘C’ হিসেবেই আজীবনের জন্য নির্ধারিত তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে ড্রাইভের নাম ‘A’ করতে নিতে পারবেন।

স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!

   স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!

 

স্মার্টফোনের ওয়াইফাই হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়!



বর্তমান সময়ে ওয়াইফাই এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওয়াইফাই মূলত একটি তারবিহীন প্রযুক্তি যা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। ওয়াইফাই রাউটার এর সাহায্যে ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করে সেলুলার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেক্ট করা হয়।

অনেক সময় আমাদের স্মার্টফোনের ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি সাধারণত নানা কারনে হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়াইফাই ইন্টারফেসের র‍্যান্ডম গ্লিচ, নেটওয়ার্ক সেটিংসের মধ্যে ঝামেলা কিংবা রাউটারের ভুল সেটাপ। আজকের আর্টিকেলে আমরা আমাদের স্মার্টফোনের ওয়াইফাই মাঝে মাঝে বিঘ্নিত হবার সমস্যা এবং এটি থেকে বাঁচার জন্য করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

এ্যারো প্লেন মোড চালু ও বন্ধ করা

স্মার্টফোনের অপ্রত্যাশিত ইন্টারনেট সংযোগ জনিত সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হলো এ্যারো প্লেন মোড চালু ও বন্ধ করা। কাজটি করার জন্য আপনার স্ক্রিনের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সোয়াপ ডাউন করে কুইক সেটিংস প্যানেল নামিয়ে নিন। এরপরে সেখানে এ্যারো প্লেন বা ফ্লাইট মোড অপশনটিতে ট্যাপ করে চালু করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। কিছু সময় পরে পুনরায় সেখান থেকে এ্যারোপ্লেন বা ফ্লাইট মোড বন্ধ করে দিন।

সিগন্যালের শক্তি চেক করা

নির বিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রাউটার কিংবা এক্সেস পয়েন্ট এর কাছাকাছি অবস্থানে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। আপনার মোবাইল ফোনের ওয়াইফাই ইন্ডিকেটরকে সব সময় দুই তৃতীয়াংশ ভরাট রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি বাহ্যিক অবকাঠামো কিংবা ওয়্যারলেস ইন্টারফেস এর কারনে কোনো প্রকার এলোমেলো সংযোগ বিচ্ছিন্নের সম্মুখীন হবেন না।

নেটওয়ার্ক মুছে ফেলে নতুন করে সংযুক্ত করা

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক মুছে ফেলে পুনরায় সংযুক্ত করার ফলে আপনি খুব সহজেই ওয়াইফাই সংযোগ হবার বিচ্ছিন্ন হবার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন। তবে এটি মূলত একটি নির্দিষ্ট ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হলে করা শ্রেয়। এটি করার উপায় –

  • সেটিংস অ্যাপ ওপেন করুন। 
  • সেখানে থাকা নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এবার ইন্টারনেট সেকশনে গিয়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এর নামের পাশে থাকা গিয়ার আইকনে ক্লিক করুন।
  • এখানে আপনি ফরগেট অপশনটি পেয়ে যাবেন। সেটি ট্যাপ করুন।
  • পুনরায় চালু করার জন্য ওয়াইফাই অপশন অন করে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নামে ক্লিক করুন।
  • ওয়াইফাই এর নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড প্রদান করে পুনরায় ওই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যোগদান করুন।

অবাঞ্চনীয় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো মুছে ফেলা

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যদি অনেকগুলো ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সেভ থাকে তাহলে এটির কারণেও হঠাৎ করে আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেট কানেকশন স্ক্রিনে পুনরায় গিয়ে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে সেভ থাকা পুরাতন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক যেগুলো আপনার আর কোনো প্রয়োজন নেই সেগুলো মুছে ফেলুন।

ওয়াইফাই রাউটার অথবা মডেম রিস্টার্ট করা

রাউটারের কিংবা মডেমের গ্লিচগুলি সমস্ত ধরণের সংযোগ জনিত সমস্যা তৈরি করে। যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ বজায় রাখতে সমস্যা হতে থাকে তবে রাউটারটি পুনরায় চালু করুন। সাধারণত এটি আপনার এই সমস্যা ঠিক করতে সহায়তা করে। আপনার রাউটারের কাছে গিয়ে পাওয়ার বাটনে প্রেস করে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে পুনরায় চালু করুন।

এন্ড্রয়েড ফোন রিবুট করা

আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ওয়াইফাই যদি যেকোনো নেটওয়ার্ক এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ওয়াইফাই ইটারফেস এ কোনো প্রকার সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ডিভাইস রিবুট করা সাহায্য করতে পারে। এজন্য আপনার পাওয়ার বাটন প্রেস করে ধরে রাখুন এবং রিস্টার্ট এ ট্যাপ করুন। কিছু কিছু এন্ড্রয়েড ফোনে আপনাকে একই সাথে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ অথবা ডাউন বাটন চেপে ধরে রাখলে রিস্টার্টের অপশন আসে। আপনার ফোনের ক্ষেত্রে যেভাবে রিস্টার্ট করা যায় সেটি বিবেচনা করে এন্ড্রয়েড ফোন রিস্টার্ট করুন। 


এডাপটিভ ওয়াইফাই এবং এডাপটিভ কানেকশন বন্ধ করা

কিছু কিছু এন্ড্রয়েড ফোনে এডাপটিভ কানেকশন নামে একটি ফিচার রয়েছে। এটি ওয়াইফাই এর সিগন্যাল এর শক্তির উপর ভিত্তি করে ওয়াইফাই ম্যানেজ করে থাকে যার কয়ারনে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল দীর্ঘায়িত হয়। এই ফিচারটি বন্ধ করে দিলে হুট হাট ওয়াইফাই কানেকশন বন্ধ হয়ে যাবার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে। এটি করার উপায়-

  • সেটিংস অ্যাপ ওপেন করুন। 
  • সেখানে থাকা নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এবার এখানে থাকা এডাপটিভ কানেক্টিভিটি সেকশনে প্রবেশ করুন।
  • এই সেকশনে প্রবেশ করে এডাপটিভ কানেক্টিভিটি অফ করে দিন।

আপনার ওয়াইফাই কানেকশন বিশ্লেষণ করে পুনরায় কনফিগার করা

যদি আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সমস্যাটি একটি নির্দিষ্ট ওয়াইফাই কেন্দ্রিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপমার ওয়াইফাই বিশ্লেষন করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে চ্যানেল বা গিগা হার্জ ব্যান্ড পরিবর্তন করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি রাউটারটি ২.৪ গিগা হার্জ ব্যান্ডে সম্প্রচার করে, কিন্তু নেটওয়ার্কটি ওয়াইফাই হটস্পটগুলির আশেপাশে ওভারল্যাপ করে, আপনি ১, ৬, এবং ১১ চ্যানেলগুলি ব্যবহার করতে বা ৫ গিগা হার্জ ব্যান্ডে যেয়ে দেখতে পারেন।


রাউটার ফার্মওয়্যার আপডেট বা রিসেট করা

যদি সমস্যাটি একটি প্রাইভেট ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এটি করার জন্য আপনার রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে যান। সেখানে রাউটার আপডেট ট্যাব বা অপশনটি খুঁজুন। এর পর অনলাইনে আপডেট রয়েছে কিনা সেটি চেক করুন অথবা রাউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ফার্ম ওয়্যার ফাইল আপলোড করুন। 

ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা

নতুন ওএস আপডেট অনেক সময় সফটওয়্যার প্রব্লেম সমাধান করে যার কারনে ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার মতো ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের বা আইফোনের সফটওয়্যার আপডেট সম্পর্কে জানতে এবং ইন্সটল করতে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস মেনুতে যেয়ে সিস্টেম সেকশনে থাকা সিস্টেম আপডেট বা সফটওয়্যার আপডেট ট্যাপ করুন।

নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করা

যদি উপরে বর্ণিত কোনো উপায়েই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান না করতে পারেন তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করতে পারেন। আপনার ফোনে যদি এমন কোনো সেটিংস অন থাকে যেটি আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে ব্যবহৃত হচ্ছে তাহলে এই নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার মাধ্যমে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।


এটি করার উপায়-

  • সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
  • সেটিংসে থাকা সিস্টেম সেকশনে প্রবেশ করুন।
  • এখানে রিসেট অপশনে ঢুকলে আপনি রিসেট ওয়াইফাই, মোবাইল এবং ব্লু টুথ অপশন দেখতে পারবেন।
  • সেটিতে ক্লিক করে রিসেট সেটিংস এ ট্যাপ করুন।

আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস ফ্যাক্টরি রিসেট করার পরে সেটিংস এ গিয়ে নেটওয়ার্ক এন্ড ইন্টারনেট অপশন থেকে ইন্টারনেট ট্যাপ করে ম্যানুয়ালি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এ পুনরায় সংযুক্ত করে ফেলুন।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়াইফাই অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। হঠাৎ করে ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। নিত্য নতুন টেকনোলজি বিষয়ক আর্টিকেল এবং নানা ধরনের টিপস পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কেমন কম্পিউটার ভাল হবে?



ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার কথা মাথায় আসলে একটি প্রশ্ন সচরাচর সবার মনে জাগে। সেটি হচ্ছে  ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনব নাকি ডেস্কটপ কিনব? এক কথায় এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ কম্পিউটারের কনফিগারেশন নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন তার উপর। তাছাড়া ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের আলাদা আলাদা কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা এক কথায় বোঝানো সম্ভব নয়। আমাদের আজকের আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কেমন ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং একক কোনো একটি বিষয় নয়, এখানে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন কনফিগারেশন এর কম্পিউটার প্রয়োজন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য যে কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে, একজন ওয়েব ডেভেলপার এর জন্য সেই কনফিগারেশন এর প্রয়োজন হবে না। আবার একজন ওয়েব ডেভেলপারের যে কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে একজন আর্টিকেল রাইটার এর সেই কনফিগারেশনের দরকার হবে না। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের কাজ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

একজন এসইও এক্সপার্ট এর অনেকগুলো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে, একটি  ব্রাউজারে অনেকগুলো ট্যাব নিয়ে কাজ করতে হবে, মাল্টিটাস্কিং করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারে র‍্যাম এর বেশি প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি একটি এসএসডি থাকতে হবে যেন দ্রুত সবকিছু অ্যাক্সেস করা যায়। এধরনের মাল্টিটাস্কিং সম্পর্কিত কাজগুলো যারা করবেন তারা কম্পিউটার কনফিগারেশনে RAM এবং এসএসডির কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখবেন। এক্ষেত্রে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে যেকোনো কোম্পানির কম্পিউটার সেটাপ করলেই তা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যথেষ্ট হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার অবশ্যই ভালো মানের একটি কম্পিউটার সেটআপ থাকতে হবে, কেননা এখানে এডোবি ফটোশপ এবং এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর মত ভারি ভারি সফটওয়্যার ইউজ করতে হবে যা সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে ডিজাইনিং রিলেটেড কাজ করতে চাইলে এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড কম্পিউটারে থাকতে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের প্রসেসর ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি মনিটর কেনার সময় চেষ্টা করবেন কমপক্ষে  ২১ ইঞ্চি সাইজের মনিটর কিনতে এবং সেখানে যেন অন্তত ১৯২০ x ১০৮০ অর্থাৎ ফুল এইচডি রেজুলেশন থাকে। আপনার বাজেটের মধ্যে যে কোন ব্র্যান্ডের মনিটরই নিতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইন এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ করতে হলে আপনার বাজেট ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার থাকতে হবে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত কম্পিউটার সেটআপ হলেই আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। এই সেক্টরে খুব ভারী কোন সফটওয়্যার ইউজ হয় না বিধায় সহজেই সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে কম্পিউটার কোডিং করতে পারবেন। তবে কম্পিউটারের সাথে একটি ভাল মানের এসএসডি যুক্ত হলে আপনার কাজের গতিকে আরও বৃদ্ধি করবে। এবং ২১ ইঞ্চি ভালো মানের একটি মনিটর হলে ওয়েব ডেভেলপ করতে আপনার সুবিধা হবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি কম্পিউটার সেটআপ হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য কম্পিউটার সেট আপ

লেখালেখি করে ইনকাম করার জন্য অতি অত্যাধুনিক ফিচারের কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই এ কথাটি অনেকাংশ সত্য হলেও কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কিছু আলাদা ফিচার সমৃদ্ধ কম্পিউটার কেনা আপনার জন্য লাভজনক হবে। কন্টেন্ট রাইটিং এ বিষয়বস্তুর উপর গবেষণা করার জন্য অনেক বেশি মাত্রায় ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হয় বিধায় একটি ভালো র‍্যাম সমৃদ্ধ কম্পিউটার আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। এছাড়া কন্টেন্ট রাইটিং এ যেহেতু আপনাকে অনেক ফাইল নিয়ে কাজ করতে হবে তাই আপনার কম্পিউটারের স্টোরেজ যাতে বেশি থাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে কী বোর্ডের ব্যবহার অত্যাধিক থাকায় ব্যাকলাইট সম্পন্ন কী বোর্ড কেনার চেষ্টা করুন। যাতে করে আপনি অন্ধকার বা কম আলোর মধ্যেও ভালো ভাবে টাইপিং করতে পারবেন। আপনি মোটামুটি ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে কম্পিউটার সেটআপ দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। এর পর কাজের বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন বাড়াতে পারেন।


বেসিক কম্পিউটার শেখার জন্য কম্পিউটার সেটআপ 

তবে যারা প্রাথমিকভাবে কাজ শেখার জন্য কম্পিউটার কিনবেন তারা নিজেদের বাজেটের মধ্যে সেরা কনফিগারেশনটিই কেনার চেষ্টা করবেন। কাজ শিখে পরবর্তীতে নিজের টাকায় অনেক দামি কম্পিউটারও কেনা যাবে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটি কম্পিউটার সেটআপ হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।


শুরুতেই দামী কম্পিউটার কেনার জন্য বাবা মাকে চাপ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বাস্তব জীবনে আমরা অনেককেই দেখেছি যারা বাড়িতে চাপ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা বলে দামী কম্পিউটার কিনে নিয়ে পরবর্তীতে আর ফ্রিলান্সিং পেশায় সফল হয়ে আসতে পারেনি। তাই সকলের প্রতি পরামর্শ থাকবে সাধ্যমতো যে কম্পিউটারটি কিনতে পারবেন সেরকম কম্পিউটার কিনে কাজ শেখা শুরু করা। পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ আপনি নিজের টাকায় অনেক দামী কম্পিউটার কিনতে পারবেন।


ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি আমার জন্য ভালো হবে?

কম্পিউটার কেনার কথা মাথায় আসলেই একটা বিষয়ে আমাদেরকে দ্বিধার মধ্যে ফেলে দেয় সেটি হচ্ছে ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি নেব ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য। উভয় প্রকার কম্পিউটারেরই আলাদা আলাদা কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। 


প্রথমেই যে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে যে আপনি কোন কাজে কম্পিউটারটি ব্যবহার করবেন এবং আপনার বাজেট কেমন। ল্যাপটপ কিনলে যে সুবিধাটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে যে কোন জায়গায় এটি  বহনযোগ্য। অর্থাৎ আপনি সব জায়গা থেকেই আপনার কাজ করতে পারছেন একটি ল্যাপটপ থাকলে। 


যদিও ভারী কাজ করাটা সহজ হবে না কম বাজেটের ল্যাপটপে। আপনি যদি বেশি পাওয়ারফুল ল্যাপটপ নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকাও অনেক বেশি খরচ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য ডেস্কটপ নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বর্তমান বাজারে  ৩০/ ৪০  হাজার টাকার মধ্যে আপনি যে মানের ল্যাপটপ পাবেন, সেই টাকা দিয়ে এর চাইতে অনেক ভাল মানের একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব।  

শেষ কথা

সবদিক বিবেচনায় ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনা সাধারণত সুবিধার হয়ে থাকে। কেননা এটি আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করবে। তবে এটি একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য আলাদাভাবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কোনটি প্রয়োজন সেটি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। আপনার যেটি ভালো লাগে সেটিই ব্যবহার করবেন। কাজ করে আপনি নিজের কাজের পরিধি বুঝে যাবেন এবং তখন আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছা মতো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কনফিগার করে কিনে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি ভালো হবে এবং কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন এ সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। নিত্য নতুন প্রযুক্তি ভিত্তিক সকল প্রকার নতুন ধরনের তথ্য এবং টিপস সহ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে। 

কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিন সহজেই, ব্যবহার করুন ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টেশন!

   কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিন সহজেই, ব্যবহার করুন ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টেশন!

 

কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিন সহজেই, ব্যবহার করুন ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টেশন!


একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার ডিভাইসটির সর্বোচ্চ স্পিড অবশ্যই নিশ্চিত করতে চাইবে যেকেউ। আর উইন্ডোজ কম্পিউটারের স্পিড বাড়ানোর একটি অসাধারণ উপায় হলো হার্ড ড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্টেশন।

এই পোস্টে ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। মূলত উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারে ডিফ্র্যাগমেন্টেশন কিভাবে কাজ করে ও এটি ব্যবহার করে কিভাবে কম্পিউটারের স্পিড বাড়াবেন সে সম্পর্কে জানবেন এই পোস্টে।

ডিফ্র‍্যাগিং কি?

মনে করুন আপনার হার্ড ড্রাইভে থাকা সকল তথ্য লন্ড্রির স্তুপ। এখানে অনেক রকমের ও অনেক কালারের কাপড় রয়েছে এবং ধোওয়ায় সময় সব একসাথে মিশে যায়। আপনার সকল কাপড় তো এখানে রয়েছে, কিন্তু সব মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে যা অনেক জায়গা দখল করেছে। একই ধরনের ব্যাপারটি হার্ড ড্রাইভের সাথেও হয়ে থাকে।

হার্ড ড্রাইভে থাকা সকল তথ্য এদিক সেদিক ছড়ানো ছিটানো থাকে, আলাদা বা ফ্র‍্যাগমেন্টেড হয়ে যায় এবং কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনের সময় এসব ফাইল খুঁজে বের করা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। লন্ড্রি শেষ করার পর কিন্তু আমরা দকল কাপড়কে আবারো গুছিয়ে ক্লজেট বা ড্রেসারে রাখি। হার্ড ড্রাইভ যখন ডিফ্র‍্যাগ করা হয় তখন কম্পিউটারও একই ধরনের কাজ করে থাকে। এটি কম্পিউটারে রাখা ফাইলগুলো সহজে খুঁজে পেতে সাহায্য করে ও ফ্রি থাকা স্পেসের সুব্যবহার করে।

ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন কেনো করবেন

কম্পিউটার ডিফ্র‍্যাগিং করলে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হয়, সাথে আবার অনেক ধরনের সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আপনার কম্পিউটার যদি বেশ স্লো হয় বা চালু করার পর ঠিকভাবে কাজ করতে ঝামেলা করে, তবে এর মানে হলো আপনার হার্ড ড্রাইভ বেশিই ফ্র‍্যাগমেন্টেড হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় কম্পিউটার পুরাই ফ্রিজ হতে পারে বা কাজ করাই বন্ধ করে দিতে পারে। এমন অবস্থায় ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টেশন বেশ কাজে আসতে পারে কম্পিউটারকে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে।


ডিফ্র‍্যাগ করার নিয়ম – উইন্ডোজ ১১, ১০ ও ৮

উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ৮ চালিত কম্পিউটারে হার্ড ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগ করা বেশ সহজ। এর মাধ্যমে আপনার হার্ড ড্রাইভে থাকা ফাইলগুলো অরগানাইজ হয়ে যাবে। উইন্ডোজ ১০ ও উইন্ডোজ ৮ চালিত কম্পিউটারে ডিফ্র‍্যাগ করতে নিচে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন:

  • স্ক্রিনের বামদিকের নিচের কর্ণারে থাকা স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন ও Defrag শব্দটি লিখে সার্চ করুন
  • এরপর Defragment অপশনটি সিলেক্ট করুন
  • লিস্টে থাকা অপশন হতে Optimize Drives সিলেক্ট করুন
  • এরপর Optimize অপশনে ক্লিক করুন
  • এবার আপনার ডিস্কের ফ্র‍্যাগমেন্টেশন লেভেল এনালাইজ করা হবে ও ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন প্রসেস শুরু হবে
  • এই প্রক্রিয়া চলতে কয়েক ঘন্টা সময়ও লাগতে পারে। প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কম্পিউটারে কোনো ধরনের ভারি টাস্ক করা থেকে বিরত থাকুন
  • ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে Cureent status কলামে OK দেখতে পাবেন

এভাবে বেশ সহজে উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ ১০ ও উইন্ডোজ ১১ চালিত কম্পিউটারে ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ডিফ্র‍্যাগ করার নিয়ম – উইন্ডোজ ৭

উইন্ডজ ৭ চালিত কম্পিউটারেও ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন ব্যবহার করে এর স্পিড বাড়ানো যেতে পারে। উইন্ডোজ ৭ চালিত কম্পিউটারে ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন করতে নিচে বর্ণত প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন:

  • স্ক্রিনের বামদিকের নিচের কর্ণারে থাকা স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন ও Defrag শব্দটি লিখে সার্চ করুন
  • Disk defragmenter অপশনটি সিলেক্ট করুন
  • Defragment disk অপশনে ক্লিক করে ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন প্রক্রিয়া চালু করুন
  • কম্পিউটারে যদি অনেক বেশি ফাইল থাকে বা এর আগে কোনো সময় ডিফ্র‍্যাগ না করা হয়ে থাকে তবে বেশ লম্বা সময় ধরে চলবে এই প্রসেস
  • প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কম্পিউটারে কোনো ধরনের ভারি কাজ করা থেকে বিরত থাকুন

এভাবে বেশ সহজে উইন্ডোজ ৭ চালিত কম্পিউটারে ডিস্ক ডিফ্র‍্যাগমেন্টেশন করতে পারবেন।