বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী? এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?

কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী? এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?

কখনো কখনো টিভি স্ক্রিনে কিছু নম্বর লেখা দেখা যায়, এই নম্বরের অর্থ কী?
এই নম্বর কেন টিভিতে আসে ?





যখন আমরা টিভি দেখি, তখন অনন্য এক নম্বর এলোমেলোভাবে স্ক্রিনে উপস্থিত হয় যা 000-8769-1545-99 আকারে থাকে। এই নম্বরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থিত হয় এবং আমাদের স্ক্রিনে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই সংখ্যার কারণে, আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা লাইভ ম্যাচ দেখতে সমস্যা হয়। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই সংখ্যার অর্থ কী এবং কেন এটি আমাদের পর্দায় ঘন ঘন প্রদর্শিত হয়? এগুলি ছাড়াও যে কেউ এই নম্বরের মাধ্যমে আপনার বাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন। যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অবহিত থাকেন তবে এই নিবন্ধটি পড়ার পরে আপনি জানতে পারবেন যে টিভি পর্দায় প্রদর্শিত অনন্য সংখ্যার অর্থ কী এবং এই নম্বরটির মাধ্যমে কেউ কীভাবে আপনার বাড়িতে পৌঁছতে পারে?

টিভি স্ক্রিনে এলোমেলোভাবে প্রদর্শিত যে অনন্য নম্বরটি, আমরা যখন টিভি দেখি তখন বিভিন্ন ব্যবহারকারীর পক্ষে আলাদা। আপনি এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেক করতে পারেন। পরের বার আপনি যখন কোনও প্রোগ্রাম দেখছেন, তারপরে আপনার টিভির পর্দায় প্রদর্শিত অনন্য নম্বরটি নোট করুন, এখন আপনার বন্ধুটিকে তাত্ক্ষণিকভাবে তার টিভিতে একই প্রোগ্রামটি দেখতে বলুন এবং তার টিভি স্ক্রিনে প্রদর্শিত অনন্য নম্বরটি নোট করতে বলুন। আপনি দেখতে পাবেন যে টিভি পর্দায় প্রদর্শিত উভয় অনন্য নম্বর একে অপরের থেকে পৃথক। এর কারণ হ'ল পৃথক পৃথক সংখ্যাগুলি বিভিন্ন সেট টপ বক্সগুলির জন্য তৈরি করা হয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ স্ক্রিন রেকর্ড করে স্ট্রিম না করতে পারে।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০

ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ?

ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ?

ঘড়ি কে তৈরী করেন ? কে প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল ? 



ঘড়ি  আবিস্কার করেছিল তা ইতিহাসে পাতায় কোথাও লেখা নেই । তবে এর পিছনে আছে তিন হাজার বছরের ইতিহাস। ওই সময়ে মিশরীয়রা আবিস্কার করল জমি মাপজোক করার পদ্ধতি আর মাপজোক সন্মন্ধ্যে তাদের মধ্যে ধারনা জন্মে গেল সময়কেও তারা পরিমাপ করতে চাইল। আসল ‘সূর্য ঘড়ি’ বা ‘ছায়া ঘড়ি’। ‘সূর্যঘড়ি’ বানাতে তখন মানূষ একটা লাঠি পূতে রাখল খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়। চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানা প্রহর বুজায়। লাঠির ওপর সূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়তো মাটিতে সেখান থেকে সংকেত নির্দেশিত চক্রে আর সেখান থেকে সময় নির্ধারন হত। এমন একটি ঘড়ি আজো বার্লিন মিউজিয়ামে রক্ষিত।
দিনের বেলা না হয় সূর্যের আলো দেখে সময় পাওয়া গেল কিন্তু রাতের বেলা কিভাবে সময় পাওয়া যাবে ভাবিয়ে তুলল মানূষকে। চোখ গেল রাতের আকাশে। তারা রাতের আকাশে এমন এক নক্ষত্রের সন্ধান করতে লাগল যা সব সময় এক দিক থেকে অন্যদিকে যাবে। অবশেষে পাওয়া গেল। দেখতে খুব উজ্জল আর একটু লম্বা। এটা আকাশের উত্তর দিকে ওঠে আর ধীরে ধীরে দক্ষিন দিকে এগিয়ে যায়, শুধু তাই না তারা মেরু কে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাটার মত ঘুরতে থাকে যা দিয়ে অনায়াসে সময় নির্ধারন করা যায়। এর নাম ‘ক্যাসিওপিয়া’। দেখতে অবিকল ইংরেজী W অক্ষরের মত। এই ‘তারাঘড়ি’ প্রথম আবিস্কার করে জার্মানরা। তারা ঘড়ির পর আসে ‘পানিঘড়ি’। খ্রীষ্ট পূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিশরীয়রা প্রথম পানি ঘড়ি আবিস্কার করেন । একটি ফানেলের মধ্যে পানি ভরা হল, সেই ফানেলের নীচে লাগানো হল এক সরু পাইপ। ফানেলের পানি এক সরু পাইপ বেয়ে যেয়ে পড়ত একটি জারে। সেই জারের মধ্যে একটা হাল্কা কর্ক রেখে দিত তারা। পাত্রের অপর প্রান্তে লাগিয়ে দেয়া হত দাত যুক্ত একটা সময় নির্দেশক কাটা। ফানেল থেকে ধীরে ধীরে পানি চলে আসত জারে, জারে যত পানি পড়ত কর্ক ততই ভেসে উঠত। সেই সঙ্গে সময় নির্দেশক কাটা ঘুরতে আরম্ভ করত। যা বলে দিত সময়। গ্রীকরা একে বলত ‘ক্লিপসেড্রা’। এরপর এল ‘বালুঘড়ি’। প্রায় বারোশ বছর আগে এর প্রচলন শুরু হয়। বালু ঘড়ি ছিল কিছুটা পানি ঘড়ির মত। তবে এ ঘড়ির জন্য প্রয়োজন হয় একটা ফানেল যার মাজখানটা চ্যাপ্টা। এবার ফানেলের ওপর দিয়ে কিছুটা বালি ফানেকের মধ্যে ঢেলে দিল, সেই বালি ফানেলের মাঝখানে যেয়ে বাধা পেল। অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালি ফানেলের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে নিচে পড়া শুরু হল। ফানেলের নীচের অংশে আকা থাকত স্কেল। বালুর জমা হবার পরিমান নির্নয় করত নির্দিষ্ট সময়। রাতের বেলা মানূষ ঘড়ির বিকল্প হিসাবে মানূষ আবিস্কার করে ফেলল ‘মোমঘড়ি’। চীন দেশেই প্রথম আবিস্কার হয় ‘মোম ঘড়ি’। সূর্য ঘড়ির পদ্ধতিতে এই ঘড়ি তারা ব্যাবহার করত। অন্ধকার ঘরে তারা একটা মোমবাতি জ্বালাত। সেই আলোর কাছাকাছি তারা রেখে দিত কোন মানদন্ড। মোমের আলো গিয়ে পড়ত সেই মানদন্ডে। মানদন্ডের সামনের অংশ আলোকিত হত আর পিছনের অংশে পড়ত তার ছায়া। মোম যত ছোট হত ছায়া তত দীর্ঘ হত। এই ছায়া পরিমাপ করে মানূষ সময় পরিমাপ করত।

যন্ত্র ঘড়ি কে আবিস্কার করেন তা অজানা, তবে অনেকে মনে করেন আর্কিমিডিসের হাতে প্রথম যন্ত্র ঘড়ি জীবন পায়। যেটুক তথ্য এই মুহুর্তে আছে তাতে জানা যায় ‘গ্রেটটম’ নামে ১২৮৮ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল লন্ডনে। ফ্রান্সের রাজা চার্লস ডির জন্য ১৩৬০ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল যা আজো সচল। আমেরিকায় প্রথম ফিউজ স্পন্সর তৈরী করেন হাত ঘড়ি। বর্তমানে পারমানবিক ঘড়ি আছে যে ঘড়ি সেকেন্ডের দশ কোটি ভাগের এক ভাগ ও সময় হের ফের করেনা।
এ রকম দুটি ঘড়ি আছে ইউ এস এন বি এস ল্যাব্রেটরিতে।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

404 Error কি ,  কেনো ?

404 Error কি , কেনো ?

ওয়েবপেজ খুঁজে না পাওয়া গেলে “404 Not Found” লেখা দেখা যায়? ‘404’ দিয়ে কী বোঝায়?

আপনি অবশ্যই জানেন, ইন্টারনেটের মধ্যে দুই প্রকারের কম্পিউটার থাকে —একটি ক্লায়েন্ট এবং আরেকটি সার্ভার। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার হলো আপনার আমার পার্সোনাল কম্পিউটার, যে কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুক ব্রাউজিং করি বা আপনি Trickbd থেকে আর্টিকেল পড়েন।
আর সার্ভার হলো ঐ কম্পিউটার গুলো, যেগুলো ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে পেজ সরবরাহ করে, ফাইল সরবরাহ করে। ইনটারনেট নিয়ে লেখা বিস্তারিত আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি চমৎকার ভাবে বর্ণিত করেছি! যাই হোক, যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, অবশ্যই এইচটিটিপি (HTTP) সম্পর্কে জানেন, কিংবা অন্তত এটি লেখা থাকতে দেখেছেন, কেনোনা প্রত্যেকটা ওয়েব অ্যাড্রেসের পূর্বে অবশ্যই এইচটিটিপি থাকতেই হয়। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন (ওয়েব ব্রাউজার) এইচটিটিপি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভারের সাথে কানেকশন তৈরি করে।

[][][][][][]=[][][][][][][][][][]=[][][][][]

একই প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট পর্যন্ত রেসপন্স ডাটা, কনটেন্ট যেমন- ওয়েব পেজ এবং কিছু প্রোটোকল ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি এইচটিটিপি রিকয়েস্টের রেসপন্সের সাথে একটি কোড নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেটা রেসপন্সের রেজাল্ট বর্ণনা করে।

এই রেজাল্ট কোড গুলো বিশেষ করে তিন ডিজিট নাম্বারে হয়ে থাকে এবং এদের বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। যদিও প্রত্যেকটি রেজাল্ট কোড ব্রাউজার আপনাকে প্রদর্শিত করে না, তবে আমি নিশ্চিত এর মধ্যে কিছু কোড আপনি অবশ্যই দেখে থাকবেন, যেমন- ৪০৪ এরর (এর মানে পেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি)!
১. কোড ১০০-১৯৯ ; ইনফরমেশন্যাল স্ট্যাটাস
২. কোড ২০০-২৯৯ ; সাকসেস স্ট্যাটাস
৩. কোড ৩০০-৩৯৯ ; রিডাইরেকশন স্ট্যাটাস
৪. কোড ৪০০-৪৯৯ ; ক্লায়েন্ট এরর
৫. কোড ৫০০-৫৯৯ ; সার্ভার এরর

তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন এরর কোডের রেঞ্জ কতো গুলো, কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র কিছু কোডই সাধারণত দেখতে পাওয়া যায়। পেজ লোড করার সময় ক্লায়েন্টে একসাথে অনেক এরর কোড আসতে পারে, কিন্তু সেগুলো ইউজারের কাছে হাইড রাখা হয়, যাই হোক, আপনি যেহেতু 404 এরর নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, তাই সেটা নিয়েই এবার কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা করছি!

HTTP Error 404 “Not Found”
৪০৪ এরর কোডের অর্থ হচ্ছে, ক্লায়েন্ট থেকে আসা রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ওয়েব সার্ভার সেই রিকোয়েস্ট করা পেজটি, ফাইল, বা আলাদা কনটেন্ট খুঁজে পায় নি। তবে ৪০০ এরর মানে কিন্তু ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে নেটওয়ার্ক কানেকশন ঠিক ছিল, কানেকশন সফল হয়েছে, ব্যাট পেজটি সার্ভারে নেই!
এই এরর তখন দেখা যায়, যখন আপনি ব্রাউজারে ভুল ইউআরএল প্রবেশ করান, অথবা সাইট অ্যাডমিন সার্ভার থেকে পেজটি ডিলিট করে দেয়, কিংবা পেজটি আলাদা কোন ইউআরএল এ ট্র্যান্সফার করে নিয়ে যায়, কিন্তু রিডাইরেকশন ব্যবহার করেনা। ইউজারকে এই প্রবলেম ফিক্স করার জন্য অবশ্যই ইউআরএল পরিবর্তন করতে হবে।

এছাড়াও কিছু কমন এরর কোড হচ্ছে, ৪০০, ৪০১, ৪০৩; এখানে ৪০০ হচ্ছে ব্যাড রিকোয়েস্ট। ক্লায়েন্ট থেকে প্রোটোকল ডাটাতে এরর থাকলে সার্ভার এই কোড সেন্ড করে। অনেক সময় আপনার ইন্টারনেট সমস্যার জন্য সার্ভারের কাছে ব্রাউজার থেকে ঠিকঠাক মতো রিকোয়েস্ট সেন্ড হতে পারে না, কিংবা ডাটা করাপ্টেড হয়ে যায়, তখন ৪০০ রেসপন্স কোড সেন্ড করা হয়।

আবার রিকোয়েস্টে ব্যাড সাইনট্যাক্স কোড থাকলেও ৪০০ এরর আসতে পারে। ৪০১ হচ্ছে আনঅথরাইজড এরর কোড; এখানে ব্রাউজার সার্ভারের কাছে এমন কোন রিসোর্সের রিকোয়েস্ট করে, যেটা সার্ভারে হয়তো রয়েছে, কিন্তু সেটা অ্যাক্সেস করার জন্য পারমিশন নেই। অবশ্যই প্রথমে ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে লগইন করতে হবে বা ভ্যালিড ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে হবে, তবেই রিসোর্সটি অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে।
যদি ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড ভুল হয়, এবং সেই ভুল ক্রেডিনশিয়াল নিয়েই ক্লায়েন্ট সার্ভারের কাছে রিসোর্স রিকোয়েস্ট করে, সেক্ষেত্রে ৪০৩ ফরবিডেন এরর কোড সেন্ড করা হয়। অথবা কোনভাবেই রিসোর্টটি অ্যাক্সেস করার পারমিশন নেই ক্লায়েন্টের, সেক্ষেত্রেও ৪০৩ এরর কোড সেন্ড করা হয়।